Maut Ke Qasid

Book Name:Maut Ke Qasid

করার ও চেষ্টা করতে হবে। আজ আমাদের কাছে সুযোগ রয়েছে। কিন্তু আমল করার দিকে আমাদের অন্তর ধাবিত হয় না কাল মৃত্যুর পর দুনিয়াতে সৎ কাজ না করার কারণে আফসোস করতে হবে এবং অন্তর চাইবে যে, আমাকে কিছু সময়ের জন্য আবার দুনিয়ায় পাঠানো হোক যে সৎ কাজ করতে পারি কিন্তু ঐ সময়ে আফসোস এবং লজ্জিত হওয়া ছাড়া আর অন্য কোন উপায় থাকবে না। তাই আজকে কালকের উপর প্রধান্য দিয়ে নেক আমল শুরু করে দিব এবং প্রতিটি মূর্হুতে নিজের মৃত্যুকে সামনে রাখবো কেননা মৃত্যুকে স্বরণ করা মৃত্যুর প্রস্তুতির ক্ষেত্রে বিরাট কাজ দেয়।

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! যদি আমরা চায় যে, মৃত্যুর স্বরণ আমাদের অন্তরে সর্বদা বিদ্যমান থাকুক এবং আমার সময়ে সময়ে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকি। এবং এটা ছাড়া অন্যান্য গুনাহ সমূহ থেকে ও বেঁচে থাকি, তাহলে এর জন্য আমাদের এমন একটি পরিবেশ প্রয়োজন যে পরিবেশে আমরা গুনাহের শাস্তি এবং নেকীর পুরস্কার সমূহ সমন্ধে অবহিত করা হয়। اَلْحَمْدُ لِلّٰه বর্তমান সময়ে দাওয়াতে ইসলামী সুগন্ধিময় দ্বীনি পরিবেশে গুনাহের প্রতি ঘৃণা এবং নেকীর প্রতি ভালবাসার উৎসাহ দেয়া হয় তাই আপনি ও দাওয়াতে ইসলামীর দ্বীনি পরিবেশের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে যান এবং মৃত্যু সম্পর্কে আরো অধিক জানার জন্য মাকতাবাতুল মদীনার কিতাব “ইহ্ইয়াউল উলুমুদ্দীন” ৫ম খন্ড থেকে “মৃত্যু এবং তার পরের বর্ণনা” তাছাড়া মাকতাবাতুল মদীনার ৪৪ পৃষ্ঠা বিশিষ্ট  রিসালাহ “মৃত্যুর ধ্যান” পড়ে নিবে اَلْحَمْدُ لِلّٰه অসংখ্য উপকারী জ্ঞান অর্জিত হবে।

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! পবিত্র শাবান মাস অতিবাহিত হতে চলেছে এবং ১৫ই শাবানও খুব নিকটবর্তী, ১৫ই শাবানের একটি বিশেষ ফযীলত রয়েছে, আসুন! শ্রবণ করি এবং রোযা রাখার মন মানসিকতা তৈরি করি।

 

১৫ই শায়াবানের রোযা

          হযরত আলী মুরতাদ্বা শেরে খোদা کَرَّمَ اللهُ وَجْہَہُ الْکَرِیْم থেকে বর্ণিত; নবী করিম, রাউফুর রহীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: “যখন ১৫ ই শায়াবান এর রাত আসে তখন এটার মধ্যে কিয়াম (অর্থাৎ ইবাদত করা) করো এবং দিনের বেলায় রোজা রাখো। নিশ্চয় আল্লাহ পাক সূর্য অস্ত যাওয়া থেকে নিকট বর্তী আসমানে তাজাল্লী দিতে থাকে এবং বলতে থাকে। ক্ষমা তালাশ করার জন্য কেউ আছে আমি তাকে ক্ষমা করে দিব। জীবিকা তালাশ করার জন্য কেউ আছে আমি তাকে জীবিকা দান করবো? কেউ বিপদ গ্রস্থ আছে আমি তাকে তা থেকে মুক্তি দান করবো? কেউ এরকম আছে? কেউ এরকম আছে? এবং সেই সময় পর্যন্ত বলতে থাকে যে, ফজর উদিত হয়।” (সুনামে ইবনে মাজাহ, ২/১৬০ পৃষ্ঠা, হাদীস নং ১৩৮৮)

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد