Ikhtiyarat e Mustafa

Book Name:Ikhtiyarat e Mustafa

করা যায় যে, আল্লাহ পাক তাঁর প্রিয় হাবীব صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم কে কিরূপ মহান মর্যাদা দান করেছেন যে, শরীয়াতের আহকাম নির্ধারীত হওয়ার পরও সেই আহকামগুলোর সম্পূর্ণ ক্ষমতা নবীদের সরদার, উভয় জাহানের মালিক ও মুখতার صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم কে সমর্পন করে দিয়েছেন। যেমন- মুহাক্কিক আলাল ইতলাক হযরত শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দীস দেহলভী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: সঠিক ও মনোনীত আকীদা হচ্ছে যে, আহকাম হুযুর নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর কাছে সমর্পিত। যাকে যা ইচ্ছা আদেশ করবেন। একটি কাজ কারো উপর হারাম কারবেন আবার কারো উপর মুবাহ (অর্থাৎ জায়িয) তিনি আরো বলেন: আল্লাহ পাক শরীয়তকে নির্ধারীত করে সম্পূর্ণ তাঁর প্রিয় হাবীব صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم কে সমর্পন করে দিলেন (যে, এতে যেভাবে চান পরিবর্তন ও বর্ধিত করুন) (মাদারিজুন নবুয়ত, ২/১৮৩) তাই আমাদের উচিৎ, রাসূলে আকরাম, নূরে মুজাস্সাম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর অন্যান্য ফযীলত ও উৎকর্ষতার উপর পূর্ণ বিশ্বাস রাখার সাথে সাথে হুযুর পুরনূর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর ক্ষমতার উপরও বিশ্বাস স্থাপন করা। তা ছাড়া এই ধরণের মন মানসিকতাকে আপনার মনে কখনো স্থান দিবেন না যে, যেই জিনিসকে কুরআনুল কারীমে হালাল বলা হয়েছে শুধুমাত্র তাই হালাল এবং যেই জিনিসকে কুরআনুল কারীমে হারাম করা হয়েছে শুধুমাত্র তাই হারাম। বরং বিশ্বাস এটা হওয়া চাই যে, হুযুরে আনওয়ার صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর বাণী ও হাদীস শরীফ ও কোন কিছুকে হালাল ও হারাম করাকে কুরআনুল কারীমের মতো প্রমাণ ও যুক্তি রাখে। যেমন- স্বয়ং নবী করীম, রউফুর রহীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর ক্ষমতার প্রতি আপত্তিকারী দূর্ভাগাদের ভীতি প্রদর্শন করতে গিয়ে ইরশাদ করেন: হতে পারে যে, কোন ব্যক্তি নিজের আসনে ভালভাবে ঠেক লাগিয়ে বসে এবং আমার হাদীস থেকে কোন হাদীস বর্ণনা করার পর (লোকদের বিশ্বাস নষ্ট