Shair e Khuda Ka Zuhad

Book Name:Shair e Khuda Ka Zuhad

বললেন: না। এতে আ'লা হযরত رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: একদা আপনার মর্যাদাবান দাদা, মুসলমানদের চতুর্থ খলিফা, হযরত আলীউল মুরতাদ্বা, শেরে খোদা رَضِیَ اللهُ عَنْہُ নির্জনে তাঁর মুখের উপর হাত বুলিয়ে বললেন:  হে দুনিয়া! অন্য কাউকে ধোঁকা দাও, আমি তোমাকে এমন তালাক দিয়েছি যাতে পুনরায় প্রত্যাবর্তনের (দ্বিতীয়বার মীমাংসা করার) কোন সুযোগ নেই। অতঃপর তিনি  رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বললেন, শাহজাদা হুজুর! এই পবিত্র বাণীর পরেও কি সৈয়্যদ বংশের পবিত্র শাহজাদাদের অভাব অনটন ও দরিদ্রতায় লিপ্ত হওয়া অদ্ভুত কোন ব্যাপার? সৈয়্যদ সাহেব বললেন: আল্লাহ পাকের শপথ! আপনার এই কথাগুলো আমাকে মানসিক শান্তি দিয়েছে, اَلْحَمْدُ لِلّٰه এরপর শাহজাদা আর কখনো তাঁর দারিদ্র্যতার অভিযোগ করেননি।

(মালফুযাতে আ'লা হযরত, ১২৭ পৃষ্ঠা)

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                     صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

          প্রিয় ইসলামী বোনেরা! উক্ত ঘটনায় আমাদের জন্য অনেক কিছু শেখার আছে, যেমন; * সায়্যিদি আ'লা হযরত ইমামে আহলে সুন্নাত رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বুঝানোর মোহনীয় ধরন দেখুন! একজন সৈয়্যদ সাহেব তাঁর দারিদ্র্যতার অভিযোগ করতেন, 'লা হযরত رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ কি দারুন কৌশলে  তাঁকে বুঝিয়ে দিলেন যে, সৈয়্যদ সাহেবের সম্মানও বহাল রইলো এবং তাঁকে এমনভাবে বুঝিয়ে দিলেন যে, কথাগুলো তার অন্তরে বিদ্ধ হয়ে গেল এবং দুঃখ দুর্দশা দূর হয়ে গেল।

          আমাদেরও উচিত কৌশলে নেকীর দাওয়াত দেয়া, কখন, কোথায়, কি কথা বলতে হবে? কাকে কিভাবে বোঝাতে হবে? এই বিষয়েও চিন্তা-ভাবনা করুন এবং এই জিনিস গুলি শিখুন। শায়খে তরিকত, আমীরে আহলে সুন্নাত হযরত আল্লামা মাওলানা মুহাম্মাদ ইলইয়াস আত্তার কাদেরী دَامَتْ بَرَکَاتُہُمُ الْعَالِیَہ এর লিখিত অনন্য কিতাব নেকীর দাওয়াত এতে নেকীর দাওয়াত দেয়ার ফযীলত, নেকীর দাওয়াত বর্জনের ক্ষতি সমূহ এবং নেকীর দাওয়াত কিভাবে দিতে হবে? এর পদ্ধতিগুলো লেখা আছে, এই গ্রন্থটি পড়ুন! اِنْ شَآءَ الله দারুন এবং কার্যকর মুবাল্লিগা হতে অনেক সহায়তা  করবে, আল্লাহ পাক আমাদেরকে আমল করার তৌফিক দান করুন।

          * এই ঘটনায় আমাদের জন্য আরো একটি শিক্ষণীয় বিষয় রয়েছে যে, মুসলমানদের চতুর্থ খলিফা, আলীউল-মুরতাদ্বা, শেরে খোদা رَضِیَ اللهُ عَنْہُ যাঁকে দুনিয়াতেই জান্নাতের সুসংবাদ দেওয়া হয়েছিল, যার শাহজাদা, ইমাম হাসান ও ইমাম হোসাইন رَضِیَ اللهُ عَنْہُمَا ছিলেন জান্নাতী যুবকদের সর্দার, সেই আলীউল-মুরতাদ্বা رَضِیَ اللهُ عَنْہُ যার দুয়ার থেকে সমস্ত জগত কৃপা লাভ করে, যিনি বিপদ-আপদ দূর কারী, প্রয়োজন পূরণকারী, যিনি প্রত্যেক মুসলমানের মাওলা (প্রিয় ও সাহায্যকারী), সেই মাওলায়ে কায়েনাত, মওলা আলী মুশকিল কুশা, শেরে খোদা  رَضِیَ اللهُ عَنْہُ দুনিয়ার প্রতি কেমন বিমুখ ছিলেন? আমাদের এই ইমামগণ যখন দুনিয়া ও তার ভালোবাসাকে অপছন্দ করেছেন, তখন আমাদেরও দুনিয়ার মোহকে হৃদয়ে স্থান দেওয়া উচিত নয়।

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                     صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد