Book Name:Shair e Khuda Ka Zuhad
হযরত আলী رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
‘প্রিয় ইসলামী বোনেরা! হযরত মাওলা আলী رَضِیَ اللهُ عَنْہُ মুসলমানদের চতুর্থ খলিফা, তিনি মক্কায় জন্ম গ্রহণ করেন, ১০ বছর বয়সে ইসলাম গ্রহণ করেন। (কারামতে শেরে খোদা, ১২ পৃষ্ঠা) তাঁর মা তাঁর নাম রাখেন হায়দার, আর তাঁর পিতা তাঁর নাম রাখেন আলী, রাসূলে আকরাম নূরে মুজাসসাম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم তাঁকে আসাদুল্লাহ উপাধিতে ভূষিত করেছেন। আসাদুল্লাহ অর্থ হলো: আল্লাহর সিংহ । (মিরাতুল মানাজিহ, ৮/৪১২)
মাওলা আলী رَضِیَ اللهُ عَنْہُ ছিলেন প্রাথমিক মুহাজিরীন (অর্থাৎ যারা শুরুতে হিজরত করেছিলেন) এবং আশারায়ে মুবাশশরার (অর্থাৎ সেই ১০ জন সাহাবী, যাদেরকে প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছিলেন) মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। তিনি বদর, উহুদ প্রভৃতি যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। (উসদুল গাবা, ৪/৮৮) * তার সাহসিকতা ও বীরত্ব খুবই প্রসিদ্ধ ও সমাদৃত * মুসলমানদের তৃতীয় খলিফা হযরত ওসমান গনি رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর শাহাদাত বরণের পর তিনি খেলাফতের আসনে সমাসীন হন। (তারিখুল খোলাফা, ১১১ পৃষ্ঠা) * তিনি চার বছর ৮ মাস ৯ দিন যাবত খেলাফতের দায়িত্ব অত্যন্ত সুষ্ঠু ও সুন্দর ভাবে পালন করেন। (কারামতে শেরে খোদা, ১৩ পৃষ্ঠা) * ১৭ বা ১৯ রমযানুল মুবারক ৪০ হিজরীতে একজন জঘন্য খারেজীর প্রাণঘাতী আক্রমণে তিনি গুরুতর আহত হন এবং ২১ রমজান রবিবার রাতে তিনি শাহাদাতের অমিয় সুধা পান করেন। (মারেফাতুস সাহাবা, ১/১০০) আল্লাহ পাকের রহমত তাঁর প্রতি বর্ষিত হোক এবং তাঁর সদকায় আমাদের বিনা হিসাবে ক্ষমা হোক। اٰمین بِجاہِ خاتَمِْالنَّبِیّٖن صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم
মাওলা আলীর মর্যাদা সম্বলিত প্রিয় নবীর ৩টি বাণী
মুসলমানদের চতুর্থ খলিফা, মওলা আলী মুশকিল কোশা رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর মর্যাদা অতি মহান, তাঁর গুণাবলী আকাশের তারা এবং বালির কণার মতো সীমাহীন ও অগণিত।
(১) প্রিয় নবী রাসূলে আরবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: مَنْ كُنْتُ مَوْلَاهُ فَعَلِى مَوْلَاهُ অর্থাৎ আমি যার মাওলা, আলী তাঁর মাওলা। অতঃপর প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم দোয়া করলেন, اللَّهُمَّ وَالِ مَنْ وَالاهُ وَ عَادِمَنْ عَادَاهُ অর্থাৎ হে আল্লাহ পাক! যে আলীকে ভালোবাসে তুমি তাকে ভালোবেসো এবং যে আলীর সাথে শত্রুতা পোষণ করে তুমিও সে তার সাথে শত্রুতা পোষণ করো। (মুসান্নাফ ইবনে আবিশ শায়বা, কিতাবুল ফাযাইল, ৭/৪৯৯, হাদীস ২৮)
(২) হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ رَضِیَ اللهُ عَنْہُ থেকে বর্ণিত, সর্বশেষ নবী, রাসূলে আরবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: اَلنَّظْرُ اِلیٰ وَجْہِ عَلِیٍّ عِبَادَۃٌ অর্থাৎ আলীর মুখের দিকে তাকানো ইবাদত। (মুস্তাদরাক, কিতাবু মারেফাতিস সাহাবা, ৪/১১৮, হাদীস ৪৭৩৭) (৩) মুসলিম শরীফের হাদীস এবং এর রাবী (অর্থাৎ হাদীসের বর্ণনাকারী) নিজেই হযরত আলীউল মুরতাদ্বা رَضِیَ اللهُ عَنْہُ থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন: সেই সত্তার শপথ! যিনি দানাকে বিদীর্ণ (অর্থাৎ দানা থেকে চারা বের) করেন, সেই সত্তার শপথ! যিনি রূহ (আত্মা) সৃষ্টি করেছেন, নিশ্চয়ই নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم আমাকে