Book Name:Shair e Khuda Ka Zuhad
সম্পর্ক নেই, তোমারও তার সাথে কোন সম্পর্ক নেই...!! (হে আলী) আল্লাহ পাক তোমাকে গরীবদের ভালোবাসা দান করেছেন। (হিলয়াতুল আউলিয়া ১/১১৩, হাদীস:২২৩)
سُبْحٰنَ الله! প্রিয় ইসলামী বোনেরা! উক্ত পবিত্র হাদীসে পাক থেকে জানা গেলো; দুনিয়া বিমুখতা হলো সৌন্দর্য আর সৌন্দর্যও কোনটি? আল্লাহ পাকের নেককার বান্দাদের সৌন্দর্য, যে সৌন্দর্য আল্লাহ পাক পছন্দ করেন আর মাওলা আলী শেরে খোদা رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর মর্যাদার প্রতি উৎসর্গ হোন যে, আল্লাহ পাক তাঁকে স্বীয় পছন্দনীয় সাজে সজ্জিত করেছেন।
আহ! আমরাও যেন দুনিয়া বিমুখ হতে পারি! আহ! দুনিয়ার মোহ যেন হৃদয় থেকে বের হয়ে যায়, আল্লাহ ও রাসূলের ভালোবাসা হৃদয়ে এমনভাবে ধারণ হয়ে যায় যাতে অন্য কিছুর জন্য হৃদয়ে কোন জায়গা না থাকে।
উম্মতকে দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তির নির্দেশ
আল্লাহ পাক পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন:
لَا تَمُدَّنَّ عَیْنَیْکَ اِلٰی مَا مَتَّعْنَا بِهٖۤ اَزْوَاجًا مِّنْهُمْ
(পারা ১৪, সূরা হাজর, আয়াত ৮৮) কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: আপন চক্ষুদ্বয় প্রসারিত করে ওই বস্তুর প্রতি তাকাবেন না, যা আমি তাদের কিছু সংখ্যক যুগলকে উপভোগ করার জন্য প্রদান করেছি।
ওলামায়ে কেরাম বলেন: এ নির্দেশটি মূলত আমাদের জন্য। অর্থাৎ আমরা মুসলমানদেরকে বলা হয়েছে যে, হে মাহবুবের গোলামেরা! তোমাদেরকে মাহবুব صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর ওসিলায় কেমন কেমন নেয়ামত দান করেছেন, তোমাদেরকে ঈমান দান করা হয়েছে, ইসলাম দান করা হয়েছে, কুরআন শরীফ দান করা হয়েছে, এমন প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর দয়ালু আঁচলের সাথে সম্পৃক্ততা দান করা হয়েছে, অতঃপর প্রিয় নবী, রাসূলে আরবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর ওসিলায় اِنْ شَآءَ الله তোমাদেরকে জান্নাতের চিরস্থায়ী নেয়ামত দান করা হয়েছে, এসব কিছু থেকে অমুসলিমদের জন্য কোথায়...! তাই অমুসলিমরা যে পার্থিব ও নশ্বর সম্পদ পেয়েছে তার দিকে তাকিও না! তাকে কখনও লোভনীয় দৃষ্টিতে দেখো না!
দুনিয়া নশ্বর, পরকাল অবিনশ্বর
এটাই সত্য! পৃথিবীটা নশ্বর, শীঘ্রই ধ্বংস হয়ে যাবে, এখানে যতই ভোগ বিলাসিতায় মত্ত থাকুন না কেন, যতই সম্পদ জমা করেন না কেন, ধ্বংসের ঘাঁটিতে নামতেই হবে, শূন্য হাতেই পৃথিবী ত্যাগ করতে হবে। এটা আমরা সবাই জানি কিন্তু হায়, পৃথিবীর ঐশ্বর্য আর নশ্বর নেয়ামতের মোহ আমাদের হৃদয়ে বাসা বেঁধে নিয়েছে, হায়! আফসোস! আমরা যেন দুনিয়ার পরিবর্তে পরকালের প্রত্যাশী হয়ে যাই। আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন:
قُلْ اَؤُنَبِّئُکُمْ بِخَیْرٍ مِّنْ ذٰلِکُمْ ؕ لِلَّذِیْنَ اتَّقَوْا عِنْدَ رَبِّهِمْ جَنّٰتٌ تَجْرِیْ مِنْ تَحْتِهَا الْاَنْهٰرُ خٰلِدِیْنَ فِیْهَا