Book Name:Ba Wazu Rehne Ke Fazail
আসবাবপত্র পরিষ্কার রাখা ইত্যাদি। উন্নত বৈশিষ্ট্যের অনুসরণ: সময়ের নিয়মানুবর্তিতা ঘর ও নিজের বা অন্য কারো গাড়িতে বসার সময় বিনা কারণে জোরে দরজা বন্ধ না করা, নিজের ঘর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস বা কারো কাছ থেকে যে জিনিস অনুমতি হওয়া অবস্থায় নেয়া অতঃপর সেই জায়গায় রেখে দেয়া ইত্যাদি)।
আল্লাহ পাক আমাদেরকে নেক আমলের পুস্তিকা নিয়মিত পূরণ করার তৌফিক দান করুন। আমীন
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
দাওয়াতে ইসলামীর "দান বক্স" বিভাগের পক্ষ থেকে একটি বক্সের ব্যবস্থা করা হয়েছে, এই দান বক্সটি দোকান, কারখানা, মার্কেট, শপিং মল, মেডিকেল স্টোর এবং অফিস ইত্যাদিতে রাখার পাশাপাশি ঘরেও রাখা হয়, যাতে আমরা অতি সহজেই প্রতিদিন কিছু না কিছু অর্থ সেই বক্সে ফেলতে পারি এবং সদকা করার সাওয়াব অর্জন করতে পারি। যারা দোকানদার তারা ভালো ভালো নিয়্যত সহকারে নিজেদের গ্রাহকদেরকে একক প্রচেষ্টার মাধ্যমে আল্লাহর পথে ব্যয় করার প্রতি উৎসাহ প্রদান ও ফযীলত বর্ণনা করে তাদেরকেও এই নেক কাজে অংশগ্রহণ করার প্রতি উদ্বুদ্ধ করলে মদীনা মদীনা হবে।
পরামর্শ স্বরূপ আরয় হলো, আমরাও প্রতিদিন একটি অর্থ নির্দিষ্ট করে নিই যেমন, ৫ টাকা, তারপর সেই অনুযায়ী আমরা প্রতিদিন দান করতে থাকি এবং দান বক্স বিভাগের নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসারে এই দান-অনুদান জমা করি। দোকান ইত্যাদিতে যে বক্সগুলো রাখা হয় সেগুলোকে বলা হয় দান অনুদান বক্স'' এবং যে বক্সগুলো ঘরে রাখা হয় সেগুলোকে ঘরোয়া দানবক্স' বলা হয়।
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! বয়ানের পরিশেষে আসুন নফল রোযার কতিপয় ফযীলত ও কিছু মাদানী ফুল শ্রবণ করার সৌভাগ্য লাভ করি:
প্রথমে প্রিয় নবী হুযুর পূরনূর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم’র দু'টি বাণী লক্ষ্য করুন:
(১) যে সাওয়াবের আশায় একটি নফল রোযা রাখলো, আল্লাহ পাক তাকে দোযখ থেকে ৪০ বছরের (অর্থাৎ পথ চলার সমান) দূরত্বে রাখবেন। (কানযুল উম্মাল, ৮/২৫৫ হাদীস: ২৪১৪৮) (২) যদি কেউ একদিন নফল রোযা রাখে এবং পৃথিবীর সমপরিমাণ স্বর্ণ তাকে দেয়া হয়, তবুও এর সাওয়াব পরিপূর্ণ হবে না, এর সাওয়াব তো কিয়ামতের দিনই পাওয়া যাবে। (আবু ইয়ালা, ৫/৩৫৩, হাদীস নং- ৬১০৪) * অধিক হারে নফল রোযা রাখা আমাদের প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم'র সুন্নাত। * হযরত সায়্যিদুনা সুলাইমান عَلَیْہِ السَّلَام মাসের শুরুতে তিন (৩) দিন, মাঝখানে তিন (৩) দিন এবং মাসের শেষে তিন (৩) দিন রোযা রাখতেন। (কানযুল উম্মাল, ৮/৩০৪, হাদীস : ২৪৬২৪) * যদি অসুস্থতার ভয়ে পিতা-মাতা তাদের ছেলেকে নফল রোযা রাখতে নিষেধ করে তবে তাকে পিতামাতার