Book Name:Ba Wazu Rehne Ke Fazail
اَلْحَمْدُ لِلّٰه! অযুকারীর গুনাহ্ ঝড়ে যায়, এই প্রসঙ্গে এক ঈমান দীপ্তিময় ঘটনা বর্ণনা করে হযরত আল্লামা আব্দুল ওয়াহাব শা'রানী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: একদা সায়্যিদুনা ইমামে আযম আবু হানীফা رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ কুফার জামে মসজিদের অযুখানায় আসলেন, তখন তিনি এক যুবককে অযু করতে দেখলেন, তার অযুর অঙ্গ প্রত্যঙ্গ থেকে ফোঁটা ফোঁটা পানি ঝড়তে দেখে বললেন: হে বৎস! তুমি পিতা-মাতার অবাধ্যতা থেকে তাওবা করো। তৎক্ষণাৎ যুবকটি বললো: আমি তাওবা করলাম। অপর ব্যক্তিকে দেখলেন, তার অঙ্গপ্রত্যঙ্গ থেকে অযুর ফোঁটা ফোঁটা পানি ঝড়ছে। তিনি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ তাকে বললেন: হে আমার ভাই! তুমি ব্যভিচারের গুনাহ্ থেকে তাওবা করো। লোকটি বললো: "আমি তাওবা করলাম। অন্য একজন লোকের অযুর পানি ঝড়তে দেখে তিনি তাকে বললেন: মদপান ও গান-বাজনা শুনা থেকে তাওবা করো।" লোকটি বললো: "আমি তাওবা করলাম।" হযরত সায়্যিদুনা ইমামে আযম আবু হানীফা رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ'র অন্তর্দৃষ্টির কারণে মানুষের দোষ-ত্রুটি প্রকাশ হয়ে যেতো। এজন্য তিনি আল্লাহ্ পাকের দরবারে তাঁর কাশফ বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার জন্য দোয়া করলেন। আল্লাহ্ পাক তাঁর দোয়া কবুল করলেন। এরপর থেকে অযুকারীর গুনাহ ঝড়ে যাওয়ার দৃশ্য তাঁর চোখে পড়া বন্ধ হয়ে গেলো।
(মীযানুল কুবরা, ১/১৩০ পৃষ্ঠা)
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! এই ঈমান উজ্জীবিত ঘটনা থেকে আমরা ২টি মাদানী ফুল শিখতে পারলাম: (১) একটি হলো, অযুর বরকতে গুনাহ ঝড়ে যায় (২) দ্বিতীয় মাদানী ফুল, এটাও জানা গেলো যে, মহান আল্লাহর নেক বান্দারা অন্যের দোষত্রুটি দেখাও পছন্দ করেন না। দেখুন! ইমামে-আযম رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ কারামত হিসেবে অন্যের দোষ-ত্রুটি দেখতে পেতেন, তখন তিনি দোয়া করলেন যে, তাঁর কাছ থেকে যেন এই কারামত ফিরিয়ে নেওয়া হয়।
হায়! এখন আমাদের অবস্থা সম্পূর্ণ উল্টো, আল্লাহ ওয়ালারা চেষ্টা করতেন যে, তাঁদের যেন অন্য কারো দোষ দৃষ্টিগোচর না হয়, আর এখন মানুষ অন্যের দোষ অনুসন্ধান করে, চেষ্টা করা হয় যেনো কোনো না কোনোভাবে অমুকের দোষ বের হয়ে আসে এবং আমি তাদের নিয়ে সমালোচনা করে তাদের দূর্নাম ছড়াবো। আল্লাহ পাক আমাদের অবস্থার উপর রহম করুন। হায়! আমরা যদি অন্যের দোষ অনুসন্ধানকারী না হয়ে বরং অন্যের দোষ ত্রুটি গোপনকারী হতে পারি।
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
একবার মুসলমানদের চতুর্থ খলিফা, আমীরুল-মু'মিনীন, শেরে খোদা হযরত আলীউল-মুরতাদ্বা رَضِیَ اللهُ عَنْہُ তাওয়াফ করছিলেন, এমন সময় কেউ তাঁর কাঁধে হাত রেখে বললো: "আলি জাহ! একটি প্রশ্ন জিজ্ঞেস করার ছিলো। হযরত আলীউল-মুরতাদ্বা رَضِیَ اللهُ عَنْہُ নীরবতা অবলম্বন করলেন এবং তাওয়াফ চালিয়ে গেলেন, তাওয়াফের ৭টি চক্কর সম্পন্ন করে, তারপর হাতিমে কাবায় ২ রাকাত তাওয়াফের নামায আদায় করলেন।