Book Name:Asma ul Husna (ALLAH Pak Ke Pyare Naam)
আমার মাহবুবের নামানুসারে, এতদসত্বেও তুমি গুনাহ করেছিলে, তোমার কি লজ্জা হয়নি? এটা শুনে ওই ব্যাক্তি লজ্জায় মাথা ঝুকিয়ে নিবে এবং নিজের কৃত গোনাহের কথা স্বীকার করে বলবে: হে আল্লাহ পাক! আমি গুনাহ করেছি। এবার আল্লাহ পাক জিব্রাইল আমীন عَلَیْہِ السَّلَام কে বলবেন: হে জিব্রাইল! আমার এই বান্দার হাত ধরো এবং তাকে জান্নাতে নিয়ে যাও কারণ মুহাম্মদ নামক ব্যাক্তিকে আজাব দিতে আমার লজ্জা হয়। (আল আসনা ফি শরহি আসমাইল হুসনা ও সিফাতিহি, পৃঃ ৫০-৫১)
(২) আল্লাহ পাককে আসমায়ে হুসনা দ্বারা ডাকো!
হে আশেকানে রাসূল! আসমায়ে হুসনার আয়াত যা শুরুতে আমরা শোনেছিলাম, এতে আসমায়ে হুসনার উল্লেখ করে আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন:
فَادْعُوْہُ بِہَا কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: সুতরাং তোমরা তাঁকে সেসব নামেই ডাকো।
আল্লাহ পাককে আসমায়ে হুসনা দ্বারা ডাকো!!!
প্রিয় ইসলামি ভাইয়েরা! আল্লাহ পাককে তাঁর মধুর মধুর, সুন্দর সুন্দর আসমায়ে হুসনা দ্বারা ডাকুন ô যখনি দোয়া করবেন তখন আসমায়ে হুসনা দ্বারা আল্লাহ পাককে ডাকবেন ô ইয়া আল্লাহ বলুন ô ইয়া রাহমান বলুন ô ইয়া রহীম! ইয়া করীম! ইয়া গাফফার! ইয়া সাত্তার বলুন ô এমনিভাবে আল্লাহ পাকের যিকির করার সময় আসমায়ে হুসনা দ্বারাই আল্লাহ পাকের যিকির করুন ô কথা বলার সময় আল্লাহ পাকের আলোচনা হলে তখনো আল্লাহ পাকের আসমায়ে হুসনার মাধ্যমেই আল্লাহ পাকের আলোচনা করুন, আমাদের প্রিয় আল্লাহ পাক রহমান, রহীম, জাওয়্য়াদ, করীম, হালীম, গাফুর, মাজীদ, সাত্তার, রায্যাক। এসব হলো আল্লাহ পাকের আসমায়ে হুসনা, সুতরাং পরস্পর যখন কথাবার্তা হয় তখনো পূর্ণ আদব সহকারে আল্লাহ পাকের যিকির করুন, যেমন এভাবে বলুন আল্লাহ রাহমানুর রহীম বলেছেন ô আমি গাফ্ফার ও সাত্তারের বান্দা ô আল্লাহ পাক তাওওয়াব অনেক তাওবা কবুল করেন। মোটকথা; আল্লাহ পাককে যখনি ডাকা হয়, আল্লাহ পাকের যিকির করা হয় তখন তাঁকে আসমায়ে হুসনা দ্বারা ডাকুন এবং যিকির করুন।
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
আসমায়ে হুসনার বরকতে দোয়া কবুল হয়
প্রিয় ইসলামি ভাইয়েরা! اَلْحَمْدُ لِلّٰه আল্লাহ পাকের আসমায়ে হুসনা দ্বারা যে দোয়াই করা হয় তা কবুল হয়। হাদীসে পাকে রয়েছে: আল্লাহ পাকের শেষ নবী রাসূলে হাশেমী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: আল্লাহ পাকের ৯৯ টি নাম রয়েছে, যে ব্যাক্তি সেগুলোর মাধ্যমে দোয়া করবে আল্লাহ পাক তার দোয়া কবুল করবেন। (জামে সগীর, পৃঃ ১৪৩, হাদিসঃ ২৩৭০)