Book Name:Asma ul Husna (ALLAH Pak Ke Pyare Naam)

হবে? ডাকাত বললো: আমিতো তোমার সম্পদ নেবোই কিন্তু তোমাকেও অবশ্যই হত্যা করবো। এতটুকু বলার পর যখন ওই ডাকাত হামলা করতে সামনে অগ্রসর হলো তখন সাহাবীয়ে রাসূল رَضِیَ اللهُ عَنْہُ বললেন: যদি তুমি আমাকে হত্যা করার ইচ্ছা করেই থাকো তবে আমাকে একটু সময় দাও যাতে আমি আমার রব্বে করীমের দরবারে সিজদা করতে পারি। ডাকাত বললো, যা করার তাড়াতাড়ি করো, আমি তোমাকে অবশ্যই হত্যা করবো। এবার সাহাবীয়ে রাসূল رَضِیَ اللهُ عَنْہُ অযু করলেন চার রাকাত নামায পড়লেন এরপর সিজদাবনত অবস্থায় আল্লাহ পাকের দরবারে এইভাবে দোয়া করলেন:

یَا وَدُوْدُ! یَا ذَاالْعَرْشِ الْمَجِیْد! یَا فَعَّالُ لِّمَا یُرِیْدُ! اَسْئَلُکَ بِعِزِّکَ الَّذِیْ لَا یُرَامُ
وَمُلْکِ الَّذِیْ لَایُضَامُ ، بِنُوْرِکَ الَّذِیْ مَلَأَ اَرْکَانَ عَرْشِکَ اَنْ تَکْفِیَنِیْ شَرَّ ھٰذَا اللِّصِّ،
 یَا مُغِیْثُ اَغِثْنِیْ! یَا مُغِیْثُ اَغِثْنِیْ! یَا مُغِیْثُ اَغِثْنِی!

          অর্থাৎ হে ওয়াদুদ! হে আরশে মাজীদের মালিক! হে ওই সত্তা, সদা সর্বদা যা ইচ্ছা তাই সম্পাদনকারী, তোমার সম্মান যেটার কোন সীমা নেই, আমি তোমার ওই সম্মানের দোহাই দিচ্ছি, হে এমন সাম্রাজ্যের মালিক! যার উপর কেউ ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে না, ওই নূর যেটার দ্বারা তোমার আরশ আলোকিত, আমি তোমাকে ওই নুরের দোহাই দিচ্ছি, হে আমার পাক পরওয়ারদেগার! আমাকে এই ডাকাতের অনিষ্টতা থেকে রক্ষা করো। হে সাহায্যকারী, আমাকে সাহায্য করো, হে সাহায্যকারী, আমাকে সাহায্য করো, হে সাহায্যকারী, আমাকে সাহায্য করো। সাহাবীয়ে রাসূল খুবই একাগ্রতা ও বিনয়ের সাথে কান্নাকাটি করে তিনবার এইভাবে দোয়া করলেন, এখনো তিনি দোয়া থেকে পৃথক হননি হঠাৎ একব্যাক্তি ঘোড়ার উপর আরোহী হয়ে হাতে বল্লম নিয়ে উপস্থিত হলেন এবং এক আঘাতেই ডাকাতকে হত্যা করে ফেললেন। এরপর ওই ঘোড়ার আরোহী ব্যাক্তি সাহাবীয়ে রাসূল رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর নিকট আসলেন। সাহাবীয়ে রাসূল رَضِیَ اللهُ عَنْہُ ওই আগন্তুক ব্যাক্তিকে জিজ্ঞাসা করলেন। হে মহান ব্যাক্তি! আজ এই মুছিবতে তুমি আমাকে সাহায্য করেছো, তুমি কে? আরোহী বললেন, আমি আল্লাহ পাকের ফেরেস্তাদের মধ্যে হতে একজন ফেরেস্তা, আর চতুর্থ আসমান থেকে আপনাকে সাহায্য করার জন্য এসেছি। জান্নাতি সাহাবী হযরত আনাস বিন মালেক رَضِیَ اللهُ عَنْہُ বলেন: যে ব্যাক্তি অযু করে চার রাকাত নামায পড়ে এই বাক্যগুলির মাধ্যমে দোয়া করবে যেই বাক্য গুলো দ্বারা সেই সাহাবী رَضِیَ اللهُ عَنْہُ দোয়া করেছেন তার দোয়া কবুল করা হবে।

(মাওসুআ’তুল ইমাম ইবনে আবিদ দুনিয়া, খণ্ড:২, পৃঃ ৩২২-৩২৩, হাদিসঃ ২৩)

          হে আশেকানে রাসূল! সাহাবায়ে কেরাম عَلَیْہِمُ الرِّضْوَان গণের সুউচ্চ মর্যাদা দেখুন যে, ওই সাহাবী رَضِیَ اللهُ عَنْہُ আসমায়ে হুসনা দ্বারা দোয়া করেছেন তো চতুর্থ আসমানের ফেরেস্তা তাঁর সাহায্যের জন্য চলে আসলো- سُبْحٰنَ الله! سُبْحٰنَ الله

 

          প্রিয় ইসলামি ভাইয়েরা! আমাদেরও এই অভ্যাস গড়া উচিত যে, যখনই কোন বিপদ-আপদ, দুশ্চিন্তা, অভাব অনটন, অসুস্থতা, ঋণগ্রস্থতা হোক তখন আল্লাহ পাকের দরবারে উপস্থিত