Asma ul Husna (ALLAH Pak Ke Pyare Naam)

Book Name:Asma ul Husna (ALLAH Pak Ke Pyare Naam)

আল্লাহ পাকের নাম সমূহকে ইলহাদ কী?

          হে আশেকানে রাসূল! আল্লাহ পাকের ভালো ভালো পবিত্র নাম সমূহের ব্যাপারে ইলহাদ অর্থাৎ সত্যের সীমা থেকে দূরে সরার অনেক দিক রয়েছে যেমন: আল্লাহ পাকের শানে এমন শব্দ ব্যবহার করা যা তাঁর সম্মান ও মর্যাদার উপযুক্ত নয় যেমন: কতিপয় অমুসলিম আল্লাহ পাককে আল্লাহর পানাহ! اَبٌ (অর্থাৎ পিতা) বলে, এটা আসমায়ে হুসনার মাঝে ইলহাদ * এমনিভাবে এমন শব্দাবলি যেগুলোর ভালো অর্থও রয়েছে এবং খারাপ অর্থও রয়েছে, আল্লাহ পাকের শানে এই ধরনের শব্দাবলি ব্যবহার করা নিষেধ, উদাহরণস্বরূপ আল্লাহ পাককে شَافِی (আরোগ্য দানকারী) বলা যাবে তবে طبیب বলা যাবে না طبیب পেশাদার ডাক্তারকে বলা হয়। অনেক লোক আল্লাহ মিঞা বলে থাকে, মিঞা শব্দটির অনেক অর্থ রয়েছে, এর একটি অর্থ হলো স্বামী, এই কারণে আল্লাহ পাককে আল্লাহ মিঞা বলা সঠিক নয়। (তাফসীরে নঈমী, পারা ৯, সুরা আরাফ, আয়াত ১৮০, খন্ড ৯ পৃঃ ৩৮৮) * তাফসীরে সীরাতুল জিনানে রয়েছে: আল্লাহ পাকের ওই সকল পবিত্র নাম যা আল্লাহ পাকের জন্যই নির্দিষ্ট, ওই মোবারক নাম সমূহ মাখলুখের জন্য ব্যবহার করাটাও আল্লাহ পাকের নামের মাঝে ইলহাদের মধ্যে অর্ন্তভূক্ত, যেমন- কারো নাম রহমান, কুদ্দুস, কাদীর ইত্যাদি রাখা।

(তাফসীরে সীরাতুল জিনান, পারা ৯, সুরা আরাফ, আয়াত ১৮০, খণ্ড ৩, পৃঃ ৪৮১)

          আজকাল সমাজে নাম রাখা ও অপরকে ডাকার ক্ষেত্রে খুবই অসতর্কতা বেড়েই চলছে। কতিপয় মূর্খ্য ইলমে দ্বীনের স্বল্পতার কারণে নিজের বাচ্চাদের নাম রহমান রেখে দেয় এটা সঠিক নয়, এর স্থলে নাম রাখা উচিত আব্দুর রহমানএমনিভাবে এই ব্যাধিও খুবই ব্যাপক যে, যার নাম যেমন আব্দুর রহমান, তাকে শুধুমাত্র রহমান বলেই ডাকা হয় আব্দ বাদ দিয়ে দেয়। এটা হারাম এটা থেকে বাচা আবশ্যক।

(তাফসীরে সীরাতুল জিনান, পারা ৯, সুরা আরাফ, আয়াত ১৮০, খণ্ড ৩, পৃঃ ৪৮১)

          সর্বদা মনে রাখবেন! আল্লাহ পাকের সকল নাম تَوقِیْفِی অর্থাৎ যে পবিত্র নাম সমূহ কোরআনে করীমে এসে গেছে, হাদিসে পাকে বর্ণিত হয়েছে, শরীয়ত নির্ধারণ করে দিয়েছে, আল্লাহ পাককে ওই সকল নাম সমূহ দ্বারা ডাকা যাবে, কেউই নিজের পক্ষ থেকে আল্লাহ পাকের কোন নাম রাখতে পারবে না। (তাফসীরে নঈমী, পারা ৯, সুরা আরাফ, আয়াত ১৮০, খণ্ড ৯, পৃঃ ৩৮৮)

          আল্লাহ পাক আমাদেরকে ইলমে দ্বীন শিখার এবং এর উপর আমল করার তৌফিক দান করুন اٰمِين بِجا هِ خَاتَمِ النَّبِيّٖن  صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم

 

৯৯ আসমায়ে হুসনা মুখস্ত করার ফযীলত

          বুখারী শরীফের হাদীস, নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন اِنَّ لِلّٰہِ تِسْعَۃً وَّ تِسْعِیْنَ اَسْمَآءً مِئَۃً غَیْرَ وَاحِدٍ مَنْ اَحْصَاہَا دَخَلَ الْجَنَّۃَ অর্থাৎ: নিশ্চয় আল্লাহ পাকের ৯৯ অর্থাৎ এক কম ১০০টি নাম রয়েছে, যে ব্যাক্তি সেগুলো মুখস্ত করে নিলো সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (বুখারী, পৃঃ ৭১০, হাদীসঃ ২৭৩৬)

          ওলামায়ে কেরামগন বলেন: আল্লাহ পাকের সর্বমোট আসমায়ে হুসনা ৯৯টি নয়, সেগুলো তো অসংখ্য, উপরোক্ত হাদীসে পাকে আল্লাহ পাকের সেই ৯৯ আসমায়ে হুসনার উল্লেখ রয়েছে, যেগুলো মুখস্ত করে নেওয়াটা জান্নাতি হওয়ার মাধ্যম। হাকীমুল উম্মত হযরত মুফতী