Book Name:Asma ul Husna (ALLAH Pak Ke Pyare Naam)

হয়ে যান, তাঁর প্রিয় প্রিয় আসমায়ে হুসনার মাধ্যমে দোয়া করুন, اِنْ شَآءَ الله আল্লাহ পাক আমাদের অন্তরের বাসনার প্রতি দয়ার দৃষ্টি দান করবেন।

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

আসমায়ে হুসনার বরকত

          প্রিয় ইসলামি ভাইয়েরা! যেমনিভাবে আসমায়ে হুসনার বরকতে দোয়া কবুল হয় তেমনিভাবে আসমায়ে হুসনার আরো অনেক বরকত রয়েছে। বিভিন্ন সমস্যা ও বিপদ আপদ ইত্যাদি সমাধানের জন্য আসমায়ে হুসনার ওয়াজিফাও করা হয়। শায়খে ত্বরীকত আমীরে আহলে সুন্নাত হযরত আল্লামা মাওলানা মুহাম্মদ ইলইয়াস আত্তার কাদেরী রযভী دَامَتْ بَرَکَاتُہُمُ الْعَالِیَہ এর খুবই সুন্দর কিতাব মাদানী পাঞ্জেসূরাএর ২৪৬-২৫৯ পৃষ্টায় ৯৯ আসমায়ে হুসনার সহজ ও সংক্ষিপ্ত ওয়াজিফা উল্লেখ রয়েছে, যেমন * যে ব্যাক্তি প্রত্যেক নামাযের পর ১০০ বার یَا اللهُ পাঠ করবে তার বাতিন প্রশস্ত হয়ে যাবে * যে ব্যাক্তি প্রত্যেক নামাযের পর ৭বার ھُوَ اللهُ الرَّحِیْم পাঠ করে নিবে সে শয়তানের ক্ষতি থেকে বেঁচে থাকবে এবং ঈমানের সাথে মৃত্যু হবে * যে গরীব ব্যাক্তি প্রতিদিন یَا مَلِکُ পাঠ করবে اِنْ شَآءَ الله অভাব থেকে মুক্তি পাবে * یَاسَلَامُ ১১১ বার পাঠ করে রোগীর উপর ফুঁক দিলে اِنْ شَآءَ الله আরোগ্য লাভ করবে * یَا مُہَیْمِنُ ২৯ বার প্রতিদিন পাঠকারী সকল প্রকার বিপদ আপদ থেকে اِنْ شَآءَ الله নিরাপদ থাকবে * یَاوَہَّابُ যে প্রতিদিন ৭ বার পাঠ করবে তার প্রত্যেক দোয়া কবুল হবে। এই ধরনের সংক্ষিপ্ত সংক্ষিপ্ত ৯৯ রুহানী চিকিৎসা মাদানী পাঞ্জেসূরায় লিখা রয়েছে। মাকতাবাতুল মদীনা থেকে মাদানী পাঞ্জেসূরা সংগ্রহ করুন, ঘরে রাখুন, সেটা পড়ুন এবং বরকত হাসিল করুন, আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে তৌফিক দান করুন

اٰمِين بِجا هِ خَاتَمِ النَّبِيّٖن  صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم

 

৩: আসমায়ে হুসনার ব্যাপারে সত্য থেকে সীমালংঘন কারী

          প্রিয় ইসলামি ভাইয়েরা! পারা ৯, সূরা আরাফে আসমায়ে হুসনা সংক্রান্ত আয়াতে করীমা যা আমরা শুরুতে শুনেছি, ওই আয়াতে করীমায় আমাদের দ্বিতীয় হুকুম এটা দেওয়া হয়েছে।

وَ ذَرُوا الَّذِیْنَ یُلْحِدُوْنَ فِیْۤ اَسْمَآئِہٖ ؕ سَیُجْزَوْنَ مَا کَانُوْا یَعْمَلُوْنَ

(পারা ৯, সুরা আরাফ, আয়াত: ১৮০)          কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: আর ওই সব লোককে বর্জন করো, যারা তাঁর নাম সমূহের মধ্যে সত্যের সীমা থেকে বেরিয়ে যায়, এবং তারা শিঘ্রই তাদের কৃত কর্মের ফল পাবে।

 

          আয়াতে করীমার এই অংশের একটা উদ্দেশ্য এটা যে, ওই সকল লোক যারা আল্লাহ পাকের নামের ব্যাপারে সত্যের সীমা থেকে বেরিয়ে যায় তাদের সাদৃশ্যতা করো না, তাদের থেকে দূরে থাকো, শীঘ্রই আল্লাহ পাক তাদেরকে এর জন্য শাস্তি দিবেন।

(তাফসীরে বায়যাবি, পারা ৯, সুরা আরাফ, আয়াত ১৮০, খন্ড ৪, পৃঃ ৩৩৬)