Book Name:Farooq e Azam Ke Ala Ausaf

ফারুকে আযম رَضِیَ اللهُ عَنْہُ সৎকর্মপরায়ণ মুমিন

        সুলতানুল মুফাসসিরীন হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস رَضِیَ اللهُ عَنْہُمَا বলেন: একদিন প্রিয় নবী, মক্কী মাদানী মুস্তফা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم কোনো ব্যাপারে চিন্তিত ছিলেন, হযরত ওমর ফারুকে আযম رَضِیَ اللهُ عَنْہُ আরয করলেন: ইয়া  রাসূলাল্লাহ صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم! চিন্তার কী আছে, আল্লাহ পাক আপনার সাথে রয়েছেন, ফেরেশতারা আপনার সাথে রয়েছেন, হযরত জিব্রাইল, হযরত মিকাইল عَلَیْہِمَا السَّلَام আপনার সাথে রয়েছেন, হযরত আবু বকর সিদ্দিক رَضِیَ اللهُ عَنْہُ আপনার সাথে রয়েছেন, আমিও আপনার খেদমতে উপস্থিত রয়েছি, সকল মুসলমান আপনার সাথে রয়েছে। 

        হযরত ফারুকে আযম رَضِیَ اللهُ عَنْہُ যখন আপন প্রিয় মাহবুব صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর মনতুষ্টির ব্যবস্থা করলেন তখন  আল্লাহ পাক ফারুকে আযম رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর সত্যায়নে নিম্নোক্ত আয়াতে করীমা অবতীর্ণ করেন এবং ইরশাদ হলো:  (মুসলিম, ৫৬৩ পৃষ্ঠা, হাদীস ১৪৭৯)

فَاِنَّ اللّٰہَ  ھُوَ مَوْلٰىہُ  وَ جِبْرِیْلُ وَ صَالِحُ الْمُؤْمِنِیْنَ ۚ

(পারা ২৮, সূরা তাহরীম, আয়াত ৪)                    কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: তবে নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর সাহায্যকারী এবং জিব্রাইল ও সৎকর্মপরায়ণ মুমিনগণ।

        ইমাম জালালুদ্দীন সূয়ুতী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ উক্ত আয়াতের তাফসীরে বলেন: صَالِحُ الْمؤْمِنِیْنَ اَبُوْ بَکْرٍ وَّ عُمَرَ অর্থাৎ উক্ত আয়াতে নেককার মুমিন দ্বারা উদ্দেশ্য হলো আবু বকর সিদ্দিক এবং ওমর ফারুকে আযম رَضِیَ اللهُ عَنْہُمَا

(তাফসীরে দুররে মনসুর, ৮/২২৩)

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

ফারুকে আযম رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

        প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! হযরত ওমর ফারুকে আযম رَضِیَ اللهُ عَنْہُ হলেন মহান সাহাবীয়ে রাসূল * দুনিয়ায় তাঁর নাম  মুবারক হলো ওমর *আসমানে তাঁকে ফারুক নামে পরিচিত * আসমানী কিতাব তাওরাত শরীফে তাঁর নাম مَنْطِقُ الْحَقْ (অর্থাৎ হক বক্তা) * ইঞ্জিল শরীফে তাঁর নাম কাফি * এবং জান্নাতে তাঁর পবিত্র নাম হবে সিরাজ। (আর রিয়াদ্বুন নাদ্বরাতু, ২৩৫ পৃষ্ঠা) * তিনি ৫৮৩ খ্রীষ্টাব্দে, মদীনায় হিজরতের ৪১ বছর পূর্বে মক্কায়ে পাকে জন্মগ্রহন করেন * প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর নবুয়ত ঘোষণার ষষ্ট বছর ৬১৪ খ্রীষ্টাব্দে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন * রাসূলে  পাক صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم তাঁর ইসলাম গ্রহণের জন্য দোয়া করেন, তাই তাঁকে মুরাদে রাসূলও বলা হয়। (ফয়যানে ফারুকে আযম, ১/৫৪) * হযরত ওমর
رَضِیَ اللهُ عَنْہُ’র ইসলাম গ্রহণ করাতে ইসলামের সম্মান ও আধিপত্য বৃদ্ধি পায়, মুসলমানদের