Book Name:Farooq e Azam Ke Ala Ausaf

না (যদি থাকতেন তবে তাঁর জামা ফারুকে আযম رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর চেয়েও বেশি লম্বা দেখা যেতো কারণ তিনি ফারুকে আযম رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর চেয়েও বেশি উত্তম, বেশি দৃঢ় দ্বীনদার ও ঈমানদার) (মিরআতুল মানাজীহ, ৮/৩৬৩) 

দ্বীনের ব্যাপারে সবচেয়ে কঠোর সাহাবী

                        سُبْحٰنَ الله! প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! উক্ত হাদীসে পাক থেকে জানা গেলো যে, হযরত ফারুকে আযম رَضِیَ اللهُ عَنْہُ দ্বীনের ক্ষেত্রে খুবই দৃঢ় এবং অনেক শক্তিশালী ঈমানদার ছিলেন। একটি হাদীসে পাকে রয়েছে: রাসূলে পাক صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: اَشَدُّهُمْ فِیْ دِیْنِ اللهِ عُمَرُ অর্থাৎ দ্বীনের ব্যাপারে সকল সাহাবীর (رَضِیَ اللهُ عَنْہُمْ اَجْمَعِين) চেয়ে বেশি কঠোরতা প্রদর্শনকারী হলো ওমর (رَضِیَ اللهُ عَنْہُ) (ইবনে মাজাহ, ৩৮ পৃষ্ঠা, হাদীস ১৫৪) অপর এক  বর্ণনায় রয়েছে: اَشَدُّ اُمَّتِی فِیْ اَمْرِ اللهِ عُمَرُ অর্থাৎ আল্লাহ পাকের আহকামের ব্যাপারে আমার সবচেয়ে দৃঢ় উম্মত হলো ওমর ফারুক। (আত ত্বাবকাতুল কুবরা লিইবনে সাআদ, ৩/২২০)

(২) ফারুকে আযমের পছন্দনীয় ইবাদত

        হযরত ওমর ফারুকে আযম رَضِیَ اللهُ عَنْہُ বলেন: ৪টি কাজ করার সময় আমার খুবই আনন্দ অনুভুত হয়: (১)  আল্লাহ পাকের ফরয সমূহ আদায় করার সময় (২) আল্লাহ পাকের হারামকৃত বিষয় থেকে বিরত থাকার সময় (৩) সাওয়াব অর্জনের জন্য নেকীর দাওয়াত দেয়ার সময় (৪) এবং খোদাভীতির কারণে মানুষকে মন্দকাজ থেকে নিষেধ করার সময়।

(কিতাবুল লুমা’, ১৭৫ পৃষ্ঠা)

 

        প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! জানা গেলো; এটাই হলো হযরত ফারুকে আযম رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর সুন্দর গুণাবলী, তাঁর  দ্বীনের ব্যাপারে কণা পরিমাণও অলসতা সহ্য হতো না, তিনি দ্বীনি আহকামের উপর শক্তভাবে আমল করতেন, আল্লাহ পাকের নিষেধকৃত বিষয় থেকে বিরত থাকতেন, নেকীর দাওয়াত ও মন্দকাজ থেকে নিষেধ করতেন।

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

(৩) ফারুকে আযমের বড় মন

        প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! মুসলমানদের দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর ফারুকে আযম رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর পবিত্র গুণাবলীর  মধ্যে একটি অনন্য গুণ হলো যে, তিনি খুবই বড় মনের অধিকারী ছিলেন, কোউ তাঁকে ভাল বিষয়ের দিকে মনযোগ আকর্ষণ করলে তবে তিনি খুশিও হতেন এবং তার কথাকে গ্রহণও করে নিতেন। তিনি বলেন: اَحَبُّ النَّاسِ اِلَيَّ مَنْ رَّفَعَ اِلَيَّ عُيُوْبِيْ অর্থাৎ আমার নিকট সবচেয়ে বেশি পছন্দনীয় ব্যক্তি হলো সেই, যে আমাকে আমার দোষত্রুটি বলে দেয়। (আত ত্বাবকাতুল কুবরা লিইবনে সাআদ, ৩/২২২)

মহিলাটি সঠিক বলেছে

        একবার একজন মহিলা ভরা মজলিশে তাঁর অভিমতের বিরোধিতা করলো এবং তাঁর বিপরীতে নিজের মত উপস্থাপন করলো, তিনি খুবই সহনশীলতার সাথে, মনযোগ সহকারে তার