Book Name:Farooq e Azam Ke Ala Ausaf

কথা শুনলেন, অতঃপর তার অভিমত গ্রহণ করে বললেন: اِمْرَاَةٌ اَصَابَتْ وَ رَجُلٌ اَخْطَاَ অর্থাৎ মহিলা সঠিক বলেছে এবং একজন পুরুষ ভুল করেছে।

(কানযুল উম্মাল, ১৬তম অংশ, ২২৬ পৃষ্ঠা, হাদীস ৪৫৭৯২)

আমীরে আহলে সুন্নাত হলেন ফারুকী চরিত্রের প্রতিচ্ছবি

                        اَلْحَمْدُ لِلّٰه শায়খে তরীকত, আমীরে আহলে সুন্নাত دَامَتْ بَرَکَاتُہُمُ الْعَالِیَہ হলেন ফারুকী চরিত্রের প্রতিচ্ছবি, তিনি তাঁর মুরীদদের এবং সকল ভক্তদের সামনে নিজের সত্তাকে একটি খোলা কিতাবের মতোই রেখেছেন, তিনিও সবাইকে এই বিষয়ের অনুমতি দিয়ে রেখেছেন যে, যদি আমার সত্তায় কোন শরীয়ত বিরোধী বিষয় দেখেন, তবে দ্রুত আমাকে সংশোধন করুন, এমনকি তিনি যখন মাদানী মুযাকারা (প্রশ্নোত্তরের অনুষ্ঠান) করেন তখন এর শুরুতেই বলে দেন: আপনারা প্রশ্ন করুন, আমি প্রত্যেক প্রশ্নের উত্তর দিতো পারবো তা আবশ্যক নয়, যদি ভুল করি তবে দ্রুত আমাকে সংশোধন করুন, আমাকে আমার অবস্থানের উপর অযথা অটল নয় বরং কৃতজ্ঞতার সহিত মান্যকারী হিসেবে পাবেন। তাঁর এই উচ্চ মানসিকতার কারণে আজ পুরো পৃথিবীতে তাঁর লক্ষ লক্ষ মুরীদ রয়েছে, যারা তাঁর বাণীর উপর মন ও প্রাণ দিয়ে আমল করে থাকে, আল্লাহ পাক মানুষের অন্তরে তাঁর ভালবাসা এমনভাবে গেঁথে দিয়েছেন যে, অনেকে না দেখেই তাঁর মুরীদ হয়ে যায়।

 

        প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আমাদের এই পদ্ধতিটি অবলম্বন করে নেয়া উচিৎ, সংশোধনের ব্যাপারে সর্বদা ওপেন ডোর পলিসি (Open Door Policy) রাখা উচিৎ, অর্থাৎ যে কেউ ছোট হোক বা বড় আমাকে সংশোধন করতে চাইলে তবে তার জন্য দরজা খোলা রাখা উচিৎ, اِنْ شَآءَ الله এর অনেক উপকারীতা হবে, এর বরকতে একে তো আামদের ভুল কম হবে, আচরণ সুন্দর হবে, সংশোধন হতে থাকবে এবং পাশাপাশি এই পদ্ধতির বরকতে মানুষের অন্তরে ভালবাসাও বৃদ্ধি পাবে, সম্মানও বৃদ্ধি পাবে। اِنْ شَآءَ الله আল্লাহ পাক আমাদেরকে আমল করার তৌফিক দান করো।

اٰمین بِجاہِ خاتَمِْالنَّبِیّٖن صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم

 

(৪) ফারুকে আযম এবং কুরআনে করীমের প্রতি ভালবাসা

        প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! হযরত ফারুকে আযম رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর একটি সুন্দর গুণ হলো যে, তিনি কুরআনে করীমের প্রতি অতিশয় ভালবাসা পোষণ করতেন, কুরআনে করীমের তিলাওয়াত প্রবল আগ্রহ ও ভক্তি সহকারে করতেন, অনেকবার তো তিলাওয়াত করার সময় তাঁর অবস্থা পরিবর্তন হয়ে যেতো এবং তিনি খোদাভীতির কারণে অঝোড়ে কান্না করতে থাকতেন। হযরত আব্দুল্লাহ বিন শাদ্দাদ رَضِیَ اللهُ عَنْہُ বলেন: একবার হযরত ওমর ফারুকে আযম رَضِیَ اللهُ عَنْہُ ফজরের নামায পড়াচ্ছিলেন, তিনি সূরা ইউসুফ তিলাওয়াত শুরু করলেন, পড়তে পড়তে তিনি সূরা ইউসুফের ৮৪নং আয়াতে পৌঁছলেন, আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন: 

وَ ابْیَضَّتْ عَیْنٰہُ مِنَ الْحُزْنِ فَہُوَ کَظِیْمٌ (۸۴)