Book Name:Farooq e Azam Ke Ala Ausaf

        ঐ সকল সাহাবায়ে কিরাম عَلَیْہِمُ الرِّضْوَان যাঁরা প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর দরবারে নিজেদের আওয়াজ প্রশমিত  রাখতেন, বিশেষকরে হযরত আবু বকর সিদ্দিক رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এবং হযরত ওমর ফারুকে আযম رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর   ব্যাপারে উক্ত আয়াতে করীমায় বলা হয়েছে যে, আল্লাহ পাক তাঁদের অন্তর তাকওয়া ও পরহেযগারীতার জন্য পরীক্ষা করে নিয়েছেন, তাঁদের জন্য আখিরাতে ক্ষমা ও মহান সাওয়াব রয়েছে। (তাফসীরে জালালাঈন মাআ হাশিয়ায়ে সাভী, পারা ২৬, হুজরাত, ৩ ও ৪নং আয়াতের পাদটিকা, ৫ম অংশ, ৩/৩২৩)

                        سُبْحٰنَ الله! জানা গেলো যে, হযরত আবু বকর সিদ্দিক ও হযরত ওমর ফারুকে আযম رَضِیَ اللهُ عَنْہُمَا এর ক্ষমা নিশ্চিত, তাঁরা অকাট্য নিশ্চিত জান্নাতী কারণ আল্লাহ পাক উক্ত আয়াতে করীমায় তাঁদের ক্ষমার এবং তাঁদের জন্য মহান সাওয়াবের ঘোষণা দিয়েছেন।

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

ফারুকে আযম رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর কতিপয় উত্তম গুণাবলী

(১) ফারুকে আযম এবং দ্বীনের উপর অটলতা

        হাদীসে পাকের প্রসিদ্ধ কিতাব বুখারী ও মুসলিম শরীফের হাদীসে পাক হলো: একদিন আল্লাহ পাকের প্রিয় ও  সর্বশেষ নবী, রাসূলে হাশেমী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: আমি ঘুমাচ্ছিলাম, আমি স্বপ্নে দেখলাম (মনে রাখবেন! প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর শুধুমাত্র চক্ষু ঘুমায়, অন্তর ঘুমায় না এবং নবীদের স্বপ্ন সত্য হয়ে থাকে, যাক! প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم কি স্বপ্ন দেখলেন? ইরশাদ করেন:) আমার সামনে মানুষদের উপস্থাপন করা হলো, প্রত্যেকে জামা পরিধান করে ছিলো, কারো জামা বুকের উপর পর্যন্ত ছিলো, কারো এর চেয়ে নিচে (অপর এক বর্ণনায় রয়েছে: কারো জামা বুক পর্যন্ত ছিলো, কারো নাভী পর্যন্ত, কারো হাঁটু পর্যন্ত, কারো অর্ধ গোছা পর্যন্ত (আসাওয়ায়িকুল মুহরিকা, ১১৯ পৃষ্ঠা, হাদীস ৪১), অতঃপর আমাকে ওমর ফারুক (رَضِیَ اللهُ عَنْہُ) কে দেখানো হলো, তাঁর জামা তাঁর পায়েরও নিচে ছিলো যে, হাঁটার সময় হেঁচড়াচ্ছিলো। সাহাবায়ে কিরাম عَلَیْہِمُ الرِّضْوَان জিজ্ঞাসা করলেন: ইয়া রাসূলাল্লাহ صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم! আপনি এর ব্যাখ্যা কি করেছেন? ইরশাদ করলেন: দ্বীন। (বুখারী, ৭৬ পৃষ্ঠা, হাদীস ২৩)

        অর্থাৎ ঐ সকল লোক, যাদের জামা বুক পর্যন্ত, তারা দূর্বল দ্বীনদার ছিলো, যাদের জামা নাভী পর্যন্ত ছিলো, তারা তুলনামুলক শক্তিশালী দ্বীনদার, যাদের জামা হাঁটু পর্যন্ত ছিলো, তারা আরো পরিপূর্ণ দ্বীনদার, যাদের অর্ধ গোছা পর্যন্ত ছিলো, তাদের দ্বীন পূর্ববর্তীদের চেয়ে আরো শক্তিশালী এবং সেই দেখানো লোকদের মধ্যে সবচেয়ে দৃঢ় দ্বীনদার হযরত ওমর ফারুকে আযম رَضِیَ اللهُ عَنْہُ ছিলেন কারণ তাঁর জামা পায়ের নিচ পর্যন্ত হেঁচড়াচ্ছিলো।

        প্রসিদ্ধ মুফাসসীরে কুরআন, হাকীমুল উম্মত, মুফতী আহমদ ইয়ার খান নাঈমী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ উক্ত হাদীসে পাকের আলোকে বলেন: প্রবল ধারণা এটাই যে, (স্বপ্নে প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর সামনে) উপস্থাপন কৃত মানুষের মধ্যে হযরত আবু বকর সিদ্দিক رَضِیَ اللهُ عَنْہُ ছিলেন