Book Name:Farooq e Azam Ke Ala Ausaf

(পারা ১২, সূরা ইউসুফ, আয়াত ৮৪)         কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: এবং তার চক্ষুদ্বয় শোকে সাদা হয়ে গেলো। সে রাগ সংবরণ করছিলো।

        যখন হযরত ওমর ফারুকে আযম رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এই আয়াতে করীমা পড়লেন তখন তিনি অঝোড়ে কাঁদতে লাগলেন, কাঁদতে রইলেন, কাঁদতে রইলেন, অতঃপর অনেক্ষণ পর রুকু করলেন।

(কানযুল উম্মাল, ১২তম অংশ, ২৬৪ পৃষ্ঠা, হাদীস ৩৫৮২৮)

কান্নার কারণে নিশ্বাস আটকে গেলো

        অনুরূপভাবে হযরত হাসান رَضِیَ اللهُ عَنْہُ থেকে বর্ণিত: একবার আমীরুল মু’মিনীন হযরত ওমর ফারুকে আযম رَضِیَ اللهُ عَنْہُ সূরা তুর এর ৭ ও ৮নং আয়াতে তিলাওয়াত করলেন:

اِنَّ عَذَابَ رَبِّکَ  لَوَاقِعٌ ۙ(۷) مَّا لَہٗ  مِنْ  دَافِعٍ ۙ(۸)

(পারা ২৭, সূরা তুর, আয়াত ৭ ও ৮)              কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: নিশ্চয় তোমার প্রতিপালকের শাস্তি অবশ্যম্ভাবী; সেটা কেউ দূরীভূত করতে পারবে না।

 

        উক্ত আয়াত পাঠ করে তাঁর উপর খোদাভীতি প্রাধান্য বিস্তার করলো এবং এমন ভাবাবেগের সৃষ্টি হলো, এমন ভাবাবেগের সৃষ্টি হলো যে, কাঁদতে কাঁদতে তাঁর নিশ্বাস আটকে গেলো এবং ২০ দিন পর্যন্ত তিনি رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এমন অবস্থাতেই ছিলেন। (কানযুল উম্মাল, ১২তম অংশ, ৬/২৬৪, হাদীস ৩৫৮২৭)

        হে আশিকানে রাসূল! ইনিই হলেন ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা, আমীরুল মু’মিনীন হযরত ওমর ফারুকে আযম رَضِیَ اللهُ عَنْہُ...! তাঁর কুরআনে করীমের প্রতি কিরূপ ভালবাসা ছিলো, তিনি কিরূপ ভালবাসা সহকারে, কিরূপ প্রেম সহকারে, কুরআনে করীমের অর্থ ও ব্যাখ্যায় ডুবে, খোদাভীতি সহকারে কুরআনে করীমের তিলাওয়াত করতেন, আমরাও اَلْحَمْدُ لِلّٰه মুসলমান * আমরা একটু আমাদের দিকেও উঁকি দিয়ে দেখি * প্রত্যেকে নিজের ব্যাপারে ভাবি যে, আমার অন্তরে কুরআনে করীমের কতটুকু ভালবাসা রয়েছে? * এটা আমাদের দায়িত্ব যে, আমরা নিজেকে জিজ্ঞাসা করি যে, কতদিন হয়ে গেছে কুরআনে করীম খুলে দেখেছি, * এটা কুরআন, এটা আল্লাহ পাকের পবিত্র বাণী, যা আল্লাহ পাক আমাদের হেদায়তের জন্য অবতীর্ণ করেছেন * এই কুরআন, যা হলো শিফা * এই কুরআন, যা শারীরিক অসুস্থতার জন্যও শিফা * যা বাতেনী রোগের জন্যও শিফা * এই কুরআন যাতে আমাদের প্রতিপালক আমাদের জন্য জীবন পদ্ধতি বর্ণনা করেছেন, আমরা এই কুরআনে করীমকে, এই পবিত্র আল্লাহর কালামকে কতটুকু পড়ি, তা বুঝার কতটুকু চেষ্টা করি। * হায়! আমাদেরও যেনো কুরআন করীমের ভালবাসা নসীব হয়ে যায় * হায়! আমরাও যেনো কুরআনে করীমের তিলাওয়াতকারী হয়ে যাই * হায়! আমরাও যেনো কুরআনে করীমকে বুঝতে পারি * হায়! ফারুকে আযম رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর সদকা যেনো নসীব হয়ে যায় * হায়! আমাদের জীবন যেনো কুরআনে করীমের প্রতিবিম্ব হয়ে যায়।  

কুরআন জান্নাতে নিয়ে যাবে

        হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ رَضِیَ اللهُ عَنْہُ বলেন: নিশ্চয় কুরআনে করীম শাফায়াতকারী এবং এর শাফায়াত কবুলও করা হবে, ব্যস যারা কুরআনকে নিজের ইমাম ও নেতা বানিয়ে নিবে,