Book Name:Imam Hussain Ki Seerat
রাসূলের নাতি, হযরত ইমাম হোসাইন رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর ব্যাপারে বর্ণিত রয়েছে যে, তিনি যখন কবর দেখতেন তখন বলতেন: উপর থেকে এই কবরগুলো কতই না ভালো লাগে, কিন্তু বিপদ তো এগুলোর ভেতরেই, আল্লাহ! আল্লাহ! হে আল্লাহর বান্দারা...! দুনিয়ায় লিপ্ত হয়ে যেও না! নিঃসন্দেহে কবর হলো আমলের ঘর (অর্থাৎ সেখানে আমলই সাথে যাবে), নেক আমল করে নাও! এর থেকে উদাসীন হয়ো না...!!
(বুস্তানুল ওয়ায়েজিন, ১৫৭ পৃষ্ঠা)
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! জানা গেল; ইমামে আলী মকাম, ইমাম হোসাইন رَضِیَ اللهُ عَنْہُ কবরস্থানেও যেতেন, আমাদেরও উচিত যে, শিক্ষা নেওয়ার জন্য কবরস্থানে যাওয়া, সেখানে সমাধিস্থ মুসলমানদের জন্য ফাতিহা শরীফও পাঠ করা, তাদের জন্য মাগফিরাতের দোয়াও করা আর পাশাপাশি শিক্ষাও গ্রহণ করে নেয়া, সেখানে বসে চোখ বন্ধ করে কল্পনা করুন, ভাবুন যে, অতিশীঘ্রই আমাকেও এখানে আসতে হবে, আহা! আমারও শেষ ঠিকারা এটাই হবে, কবরের এই একাকীত্ব, বিভীষিকা, অন্ধকার...!! হায়! কবর আমার সৌন্দর্য বিনষ্ট করে দিবে, শক্তি ও সামর্থ্য সব শেষ হয়ে যাবে, চোখ গলে প্রবাহিত হয়ে যাবে, মাংস খসে পড়বে, হায়! আমার এই সুন্দর শরীরকে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়া হবে আর এরপর...!! অতঃপর কিয়ামতের দিন উঠতে হবে, আল্লাহ পাকের সামনে উপস্থিত হতে হবে এবং নিজেদের আমলের হিসাব দিতে হবে।
এভাবে শিক্ষা ও উপদেশের জন্য আমরা যেন কবরস্থানে হাজিরির অভ্যাস করি, اِنْ شَآءَ الله অন্তরের মরিচা ঝরে যাবে, গুনাহের প্রতি ঘৃণা নসীব হবে এবং নেকী করার মানসিকতা অর্জিত হবে। আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে আমল করার তৌফিক দান করুন।
اٰمین بِجاہِ خاتَمِْالنَّبِیّٖن صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم
সবশেষে আসুন! ইমামে আলী মকাম, ইমাম হোসাইন رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর একটি শিক্ষামূলক খুতবা শুনুন: তারিখে ইবনে আসাকিরে রয়েছে, কারবালার দিন ১০ই মুহাররামুল হারামের সকালে ইমামে আলী মকাম, ইমাম হোসাইন رَضِیَ اللهُ عَنْہُ খুতবা দিয়ে বললেন: হে আল্লাহর বান্দারা! আল্লাহ পাককে ভয় কর! আর দুনিয়াকে এড়িয়ে চলো! নিঃসন্দেহে এই দুনিয়ায় যদি কেউ চিরকাল বেঁচে থাকতো, তবে অবশ্যই আম্বিয়ায়ে কিরাম عَلَیْهِمُ السَّلَام চিরকাল বেঁচে থাকতেন, কিন্তু আল্লাহ পাক এই দুনিয়াকে পরীক্ষার জন্য সৃষ্টি করেছেন, এখানে বসবাসকারী সব ধ্বংস হওয়ার জন্যই সৃষ্টি করা হয়েছে, দুনিয়ার নতুন নতুন জিনিস পুরানো হয়ে যাবে, এখানকার নেয়ামত শেষ হয়ে যাবে, এখানকার আনন্দ শেষ হয়ে যাবে, ব্যস! সফরের সরঞ্জাম প্রস্তুত করো! নিঃসন্দেহে সফরের উত্তম সরঞ্জাম হল তাকওয়া, আল্লাহ পাককে ভয় করো! যাতে তুমি সফল হয়ে যাও...!!
(তারিখে মদীনা দামেশক, ১৪/২১৮)