Book Name:Imam Hussain Ki Seerat
বিদ্যুৎ চমকালো এবং গলিটি আলোকিত হয়ে গেল, যতক্ষণ শাহাজাদারা নিজেদের বাড়িতে পৌঁছলো না, ততক্ষণ পর্যন্ত আলো বিদ্যমান ছিল। (তারিখে মদীনা দামেশক, ১৪/১৫৮-১৫৯)
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! ইমামে আলী মকাম, হযরত ইমাম হোসাইন رَضِیَ اللهُ عَنْہُ অত্যন্ত উচ্চ নৈতিকতা ও চরিত্রের অধিকারী ছিলেন, আসুন! এখানে তাঁর পবিত্র জীবনী থেকে কিছু উল্লেখযোগ্য দিক শ্রবণ করি:
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আমাদের আক্বা, সুলতানে কারবালা, ইমামে আলী মকাম, ইমাম হোসাইন رَضِیَ اللهُ عَنْہُ অনেক বড় ইবাদতগুজার, মুত্তাকী এবং পরহেযগার ছিলেন,
* আল্লামা ইবনে আসীর জাযরী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ লিখেন: ইমাম হোসাইন رَضِیَ اللهُ عَنْہُ প্রচুর নামায পড়তেন, রোযা রাখতেন, হজ করতেন, সদকা ও খয়রাত করতেন এবং প্রতিটি কল্যাণের কাজ করে নিতেন।
(উসদুল গাবা, ২/২৭, নাম্বার ১১৭৩)
* শাহজাদায়ে ইমামে আলী মকাম, হযরত ইমাম যায়নুল আবেদীন رَضِیَ اللهُ عَنْہُ বলেন: আমার আব্বাজান ইমাম হোসাইন رَضِیَ اللهُ عَنْہُ দিনেরাতে এক হাজার রাকাত নফল নামায আদায় করতেন।
(আল ইকদুল ফরিদ, ৩/১১৪)
* ইমাম হোসাইন رَضِیَ اللهُ عَنْہُ সম্পর্কে এটাও বর্ণিত আছে যে, তিনি পায়ে হেঁটে ২৫ বার হজ করেছেন। (তারিখে মদীনা দামেশক, ১৪/১৮০)
ইমাম হোসাইনের ৪টি পছন্দনীয় ইবাদত
আশুরার রাতে যখন ইমামে আলী মকাম رَضِیَ اللهُ عَنْہُ কারবালার ময়দানে ছিলেন, তখন তিনি তাঁর ভাই হযরত আব্বাস আলম্বরদার رَضِیَ اللهُ عَنْہُ কে বললেন: কোনোভাবে যুদ্ধকে আগামীকাল পর্যন্ত স্থগিত করে দিন! যাতে আজ রাতে আমরা আল্লাহ পাকের ইবাদত করতে পারি, আল্লাহ পাক ভালো করেই জানেন যে, আমার (১) নামায পড়া (২) কুরআনে করীম তিলাওয়াত করা (৩) অধিকহারে দোয়া করা এবং (৪) প্রচুর পরিমাণে ইস্তিগফার করা অনেক পছন্দ। (আল কামিলু ফিত তারিখ, ৩/১৬৬)
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! ভালোবাসা আনুগত্য করায়, ইমামে আলী মকাম, ইমাম হোসাইন رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর প্রতি আমাদের ভালোবাসা কতটুকু? আমরা একটু ভাবী? ১০ মুহাররামুল হারামের রাতটি ছিল ইমাম হোসাইন رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর জাহেরী মুবারক জীবনের শেষ রাত, কিন্তু আল্লাহ পাকের ইবাদতের আগ্রহ ও স্পৃহা দেখুন?
হায়! হায়! হায়! আমরা ইমাম হোসাইনের গোলামরাও যেন আমাদের প্রিয়তমের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ইবাদত ও রিয়াযত করে নিজের জীবনের দিনরাত কাটাই! মনে রাখবেন! হাদীসে পাকে রয়েছে: বান্দা তারই সাথে থাকবে, যাকে সে ভালোবাসে। (বুখারী, ৯৩৪ পৃষ্ঠা, হাদীস ৩৬৮৮)