Sakhawat e Mustafa

Book Name:Sakhawat e Mustafa

          অনেক সময় এমনও হয়ে থাকে যে, রাসূলে করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم কারো কাছ থেকে কোন কিছু ক্রয় করতেন, মূল্য পরিশোধ করার পর তাকেই দান করে দিতেন। একবার হযরত জাবের বিন আব্দুল্লাহ رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর কাছ থেকে প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم একটি উট কিনে নিলেন অতঃপর সেই উটটি তাঁকে উপহার হিসেবে দিয়ে দিলেন। (বুখারী, কিতাবুল বুয়ুউ, ২/১৮ পৃ:, হাদীস: ২০৯৭) একইভাবে আমীরুল মু’মিনীন হযরত ওমর ফারূক رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর কাছ থেকে একটি উটের বাচ্চা ক্রয় করলেন, এরপর সেই উটের বাচ্চা তাঁরই ছেলে হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর رَضِیَ اللهُ عَنْہُ কে দিয়ে দিলেন।

(বুখারী, ২/২৩ পৃ:, হাদীস: ২১১৫)

 

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আমাদের প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم কি পরিমাণ দানশীল ছিলেন যে, যেই জিনিস নিজের প্রয়োজনের জন্য ক্রয় করতেন, সেটাও উপহার স্বরুপ দান করে দিতেন, আমাদেরও উচিত আমরা যেনো প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর এই প্রিয় সুন্নাতের উপর আমল করার ও মুসলমানদের হৃদয়ে আনন্দ দেয়ার নিয়্যতে একে অপরকে উপহার দেয়ার অভ্যাস করা কেননা উপহার দেয়ার দ্বারা ভালোবাসা বৃদ্ধি পায় আর শত্রুতা দূরীভূত হয়হযরত আতা খুরাসানী رَضِیَ اللهُ عَنْہُ হতে বর্ণিত, নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: একে অপরের সাথে মুসাফাহা করো (অর্থাৎ হাত মিলাও), এর দ্বারা ক্ষোভ চলে যাবে আর উপহার পাঠাও, পরস্পরের মধ্যে ভালোবাসা বাড়বে আর শত্রুতা দূরীভূত হতে থাকবে। (মিশকাতুল মাসাবীহ, কিতাবুল আদাব, , ২/১৭১ পৃ:, হাদীস: ৪৬৯৩)

 

          হাকিমুল উম্মত মুফতি আহমদ ইয়ার খান নঈমী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: এই দুইটি আমল খুবই পরীক্ষিত যার সাথে মুসাফাহা করা হয়, তার সাথে শত্রুতা হয় না, যদি কোন কারণে হয়েও যায় তবে সেটার বরকতে স্থির থাকে না, একইভাবে একে অপরকে উপহার দেয়ার দ্বারা শত্রুতা চলে যায়।

(মিরআতুল মানাজীহ, ৬/৩৬৮ পৃ:)

 

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! মনে রাখবেন! উপহার আদান প্রদান হোক বা অন্য কোন বিষয় তা হালাল পন্থায় অবলম্বন করা উচিত, কারণ হারাম পন্থায় অর্জিত সম্পদ আহার করা, পান করা, পরিধান করা অথবা কোন কাজে ব্যবহার করা হারাম ও গুনাহ, সেটার শাস্তি দুনিয়াতে সম্পদের অভাব ও অপমান এবং বরকতহীনতা ও আখিরাতে শাস্তি হলো জাহান্নামের প্রজ্বলিত আগুনের বেদনাদায়ক আযাব। প্রিয় নবী, হুযুর পুরনূর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর বাণী: যেই ব্যক্তি হারাম মাল উপার্জন করে এরপর সদকা করে, তার সদকা কবুল করা হবে না আর সেখান থেকে খরচ করলে এটার জন্য তাতে কোন বরকত হবে না এবং সেগুলো রেখে মারা গেলে সেগুলো তার জন্য দোযখের পাথেয় হবে। (শরহুস সুন্নাহ, লিল বাগবী, ৪/২০৫-২০৬, হাদীস: ২০২৩, দারুল কুতুবুল ইলমিয়া বৈরূত) সুতরাং আমাদের উচিত জায়িয পদ্ধতিতে সম্পদ উপার্জন করা এবং নিজের প্রয়োজন ব্যতীত যা বেঁচে যায়, সেগুলো অযথা কাজে ব্যবহার করার পরিবর্তে নিজের দরিদ্র ও গরিব মুসলমান ভাইকে আর্থিক সহযোগিতা করা, মসজিদ, মাদরাসা ও নেকীর কাজে উন্নতীর জন্য বেশি থেকে