Wah Kya Baat Ghous e Azam Ki

Book Name:Wah Kya Baat Ghous e Azam Ki

নামায কাযাকারী নিয়মিত নামাযী হয়ে যাবে, প্রতিটি ঘর থেকে কোরআন তিলাওয়াতের আওয়াজ আসতে থাকবে, গুনাহকে প্রসারকারীরা নেকীর দাওয়াত প্রদানকারী হয়ে যাবে।

নেক আমল নম্বর ৩ এর প্রতি তাকিদ

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! দাওয়াতে ইসলামী হলো মসজিদ ভরা সংগঠন আর দাওয়াতে ইসলামী চাই যে কিভাবে উম্মতে মুসলিমার বড় থেকে ছোট সকলে নামাযী হয়ে যাক। আসুন! সকলে মিলে এই নেকীর কাজে দাওয়াতে ইসলামীর সঙ্গ দিই, স্বয়ং নিজেও জামআত সহকারে নামায আদায় করি এবং অন্যকেও নামাযী বানানোর তৎপরতাও বৃদ্ধি করি, যখনই জামআত সহকারে নামায পড়ার জন্য মসজিদের দিকে রওনা করবেন, আমীরে আহলে সুন্নাত دَامَتْ بَرَکَاتُہُمُ الْعَالِیَہ এর পক্ষ থেকে দেয়া ৭২ নেক আমলের মধ্য হতে নেক আমল নম্বর ৩ এর উপর আমলের নিয়্যতে অপরকেও নামাযের প্রতি তাকিদ দিয়ে নিজের সাথে নিয়ে যান। নেক আমল নম্বর ৩ আপনি কি আজ আপনার ঘর, বাজার, মার্কেট ইত্যাদি যেখানেই ছিলেন, সেখানে নামাযের সময়ে নামায পড়ার পূর্বে নামাযের দাওয়াত দিয়েছেন? (যদি পাঁচ ওয়াক্ত নামাযে যেকোন একজনকে নিজের সাথে মসজিদে নিয়ে যাওয়ার সৌভাগ্য হতো!)

          যদি আমাদের মধ্যে প্রত্যেক ইসলামী ভাই নেক আমল নম্বর ৩ এর আমলকারী হয়ে যায় তবে সেদিন আর দূরে নয় যখন আমাদের মসজিদে নামাযীদের বাহার এসে যাবে। اِنْ شَآءَ الله

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                     صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

দানশীলতা ও ইসার

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আমাদের গাউসে পাক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ তাকওয়া ও পরহেযগারীতা, অল্পেতুষ্ট এবং নেকীর দাওয়াতকে প্রসার করার পাশাপাশি গরীব, অভাবী এবং চাহিদা সম্পন্নদের সাহায্য করার মতো গুণাবলীতেও নিজেই নিজের উদাহরন ছিলেন, গরীব, অভাবী এভং চাহিদা সম্পন্নদের সমস্যার সমাধানের প্রেরণাও তাঁর পবিত্র স্বভাবের অংশ ছিলো, তিনি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ কখনো কোন ভিক্ষুককে ফিরিয়ে দেননি, কখনো কোন চাহিদা সম্পন্নকে খালি হাতে ফিরিয়ে দেননি বরং এরূপ বলতেন: আমি সমস্ত আমল সমূহকে পরীক্ষা করেছি, তার মধ্যে আমি খাবার খাওয়ানো থেকে উত্তম কোন আমল পাইনি। আহ! আমার হাতে যদি হতো তবে ক্ষুধার্তদের খাবার খাওয়াতাম। (কালাইদুজ জাওয়াহের, ৩৭ পৃষ্ঠা)

          শায়খ আব্দুল্লাহ জাবাঈ رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বর্ণনা করেন: একবার হুযুর গাউসে পাক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ আমাকে ইশারা করে বললেন: আমার নিকট ক্ষুধার্তকে খাবার খাওয়ানো এবং মানুষের সাথে সদাচরন করা পরিপূর্ণ এবং অধিক ফযীলত সম্পন্ন আমল। অতঃপর বলেন: আমার হাতে টাকা আটকায় না, যদি সকালে আমাকে এক হাজার দীনার আসে কবে সন্ধ্যা পর্যন্ত তা থেকে এক পয়সাও অবশিষ্ট থাকবে না, কেননা তা গরীব ও অভাবীদেরকে বন্টন করে দিবো আর ক্ষুধার্ত লোকদের খাবার খাইয়ে দিবো। (কালাউদুজ জাওয়াহের, ৮ পৃষ্ঠা)