Wah Kya Baat Ghous e Azam Ki

Book Name:Wah Kya Baat Ghous e Azam Ki

দিরহাম খরচ করি তখন তা দ্বারা আমার নিকট দুই থেকে তিন গুণ এসে যেতো এবং যখন আমি গমের একশত বস্তা কোন স্থানে রাখি, অতঃপর তা থেকে পঞ্চাশ বস্তা খরচ করে ফেলি এবং অবশিষ্টগুলো দেখলে দেখা যেতো একশত বস্তা এখনো বিদ্যমান, আমার গৃহপালিত পশুরা এত বেশি বাচ্চা প্রসব করতো যে, আমি তাদের সংখ্যা ভূলে যেতাম এবং এই অবস্থা হযরত শায়খ আব্দুল কাদের জিলানী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর বরকতে এখনো চলছে। (বাহজাতুল আসরার, ৯১ পৃষ্ঠা)

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                     صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! এটি হুযুর গাউসে পাক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর মুবারক সত্তার বরকত। নিঃসন্দেহে আমরা এরূপ ভাবছি যে, হুযুর গাউসে পাক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর এরূপ শান ও মহত্ব এবং উচ্চ মর্যাদা কিভাবে নসীভ হলো, তো মনে রাখবেন! যারা নিজের জীবনকে আল্লাহ পাকের আনুগত্যে অতিবাহিত করে, তবে আল্লাহ পাক তাদের আপন সত্যিকার হাকীকি ভালবাসা প্রদান করেন এবং তাঁদের অসংখ্য কারামত দ্বারা ধন্য করেন। এই কারণেই যে,

 

শানে গাউসে পাক

          * আমাদের গাউসে পাক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর জীবনের প্রতিটি মুহুর্ত পবিত্র শরীয়তের প্রতি আমল করে অতিবাহিত হতো। * ফরয ও ওয়াজিবের নিয়মিত অনুসারী ছিলো। * জন্মগ্রহন করেই রোযা রেখে ছিলেন। * যখন চার বা পাঁচ বছর বয়সে بِسْمِ الله পাঠের প্রথা আদায় করা হয় তখন তিনি তা’উয (اَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشَّیْطٰنِ الرَّجِیْمِ) এবং তাসমিয়া
(
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ) এরপর ১৮ পারা মুখস্ত শুনিয়ে দিলেন এবং বললেন: আমার মায়ের (رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہَا) এতটুকুই মুখস্ত ছিলো, তিনি তা পড়তেন তখন আমি শুনে শুনে মুখস্ত করে নিয়েছি। (মুন্নার লাশ, ৪ পৃষ্ঠা) * ৪০ বছর পর্যন্ত ইশার অযুতে ফজরের নামায আদায় করেছেন। * যখন অযু ভঙ্গ হয়ে যেতো তখনই অযু করে দুই রাকাত নফল নামাযা পড়ে নিতেন। (বাহজাতুল আসরার, ১৬৪ পৃষ্ঠা) * প্রতিদিন এক হাজার রাকাত নফল নামায আদায় করতেন। (গাউসে পাক কে হালাত, ৩২ পৃষ্ঠা) * তাঁর কারামত সম্পন্ন হাতে পাঁচ শতাধিক অমুসলিম ইসলাম গ্রহন করে এবং লক্ষাধিক ডাকাত, চোর, ফাসিক, ফ্যাসাদি এবং বড় বড় গুনাহগার তাওবা করে।

(বাহজাতুল আসরারম ১৮৪ পৃষ্ঠা)

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                     صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আামদের গাউসে পাক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ অসংখ্য গুণাবলীর অধিকারী হওয়ার পাশাপাশি ইবাদত ও যিয়াযত, বেলায়ত ও কারামতে তিনিই ছিলেন তাঁর উদাহরন, কিন্তু তিনি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ তাকওয়া ও পরহেযগারীতা এবং অল্পেতুষ্টতা পছন্দ করাতেও অতুলনীয় ছিলেন, দুনিয়াবী ধন সম্পদের আকাঙ্ক্ষী একেবারেই ছিলেন না, যদি কোন সম্পদশালী তাঁকে ধন সম্পদ দিতো তবে তিনি তা গ্রহন করতেন না বরং তাদে নেকীর দাওয়াত দিতেন এবং সংশোধনের চেষ্টা করতেন।