Wah Kya Baat Ghous e Azam Ki

Book Name:Wah Kya Baat Ghous e Azam Ki

          আসন! হুযুর গাউসে পাক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর দানশীলতা এবং গরীবদের সাহায্য করা সম্পর্কে একটি খুবই সুন্দর ঘটনা শুনি।

এক রাতের বরকত

          তাঁর শাহজাদা হযরত আল্লামা সৈয়দ আব্দুর রাযযাক কাদেরী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বর্ণনা করেন: যখন আমার সম্মানিত আব্বাজান প্রসিদ্ধ হয়ে গেলেন তখন তিনি শুধু একবার হজ্ব করেছেন, সেই হজ্বের আসা যাওয়াতে, আমি তাঁর বাহনের রশি ধরেছিলাম, যখন আমরা বাগদাদের দিকে একটি শহরে পৌঁছলাম কভন তিনি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বললেন: এখানকার সবচেয়ে গরীব ঘরের সন্ধান কররো, তাই আমরা একটি বিরান ভূমি দেখলাম, যাতে উলের একটি তাবু ছিলো, তাতে এক বৃদ্ধ, এক বৃদ্ধা এবং একটি মেয়ে ছিলো। তিনি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ সেই বৃদ্ধ থেকে অনুমতি নিলেন এবং সাথীরা সহ সেই বিরান ভূমিতে নেমে পরলেন, সেই শহরের মাশায়িক এবং ধনী লোকেরা তাঁর খেদমত করার জন্য এলো আর আবেদন করলো: আপনি আমরা গরীবের ঘরে বা কোন ভাল বাড়িতে তাশরীফ নিয়ে আসুন, কিন্তু তিনি তা মঞ্জুর করলেন না। শহরের মেয়র তাঁর জন্য অসংখ্য গরু, ছাগল, খাবার, স্বর্ণ, রূপা এবং মালামাল পাঠালো আর সফর করার জন্য বাহন পাঠানো, লোকেরা চারিদিক থেকে তাঁর খেদমত করার জন্য উপস্থিত হলো, তিনি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ তাঁর সাথীদের বললেন: এই সকল মালামাল থেকে আমি আমার অংশ এই ঘরের মালিককে দিয়ে দিলাম। একথা শুনে তারা বললো: আমরাও আমাদের অংশ দিয়ে দিলাম, এভাবে সে সমস্ত মালামাল বৃদ্ধ, বৃদ্ধা ও মেয়েটিকে দিয়ে দেয়া হলো, রাতে তিনি  رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ সেখানে অবস্থান করলেন এবং সকালে যাত্রা করলেন, (তাঁর সাহবজাদা বলেন:) অনেক বছর পর সেই শহরে আমার গমন হলো, দেখলামকি, সেই বৃদ্ধ সেখানকার অধিবাসীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ধনী। সে আমাকে বললো: এগুলো সবই সেই রাতের বরকত, এই গরু ও ছাগলগুলো বাচ্চা দিলো এবং তা বড় হয়ে গেলো, এটি তা থেকেই। (বাহজাতুল আসরার, ১৯৮ পৃষ্ঠা)

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                     صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

বাইয়াত হওয়ার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মাসআলা ও আদব

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! বয়ান শেষ করার পূর্বে বাইয়াত হওয়ার ব্যাপারে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আদব বর্ণনা করার সৌভাগ্য অর্জন করছি। * দুনিয়ায় কোন নেককার ব্যক্তিকে নিজের ইমাম বানিয়ে নেয়া উচিৎ, শরীয়তের অনুসরন করে এবং তরীকতে বাইয়াত হয়ে, যাতে হাশর ভালদের সাথে হয়। (আদাবে মুর্শিদে কামিল, ১৩ পৃষ্ঠা) * ঈমানের নিরাপত্তার একটি মাধ্যম হলো কোন কামিল মুর্শিদের মুরীদ হওয়া। (আদাবে মুর্শিদে কামিল, ১২ পৃষ্ঠা) * হুযুর গাউসে পাক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর মুরীদ হওয়াতে ঈমানের নিরাপত্তা, মৃত্যুর পূর্বে তাওবার তৌফিক, জাহান্নাম থেকে মুক্তি এব জান্নাতে প্রবেশের মতো মহান উপকারিতা বিদ্যমান। (ফিকরে মদীনা, ১৬১ পৃষ্ঠা)

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                     صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد