Book Name:Wah Kya Baat Ghous e Azam Ki
যান! সর্দারে আউলিয়া, হুযুরে গাউসে পাক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর বরকতময় সত্তা শুধু শিশুকালে নয় বরং যখন তাঁর জন্মই হয়নি, তখনো তাঁর অবস্থা ছিলো অনন্য। তিনি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ শিশুকাল থেকেই কারামত সম্পন্ন ছিলেন বরং এই দুনিয়ায় আগমনের পূর্বে এবং জন্মের পরে তাঁর থেকে অনেক কারামত প্রকাশিত হয়েছে।
তিনি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ রমযানুল মুবারকের প্রথম তারিখে সোমবার সুবহে সাদিকের সময় দুনিয়ায় আগমন করেন, তখন তাঁর ঠোঁট ধীরে ধীরে নড়ছিলো এবং আল্লাহ আল্লাহ আওয়াজ করছিলেন। (মুন্নার লাশ, ৩ পৃষ্ঠা)
হে আশিকানে গাউসে আযম! নিঃসন্দেহে আল্লাহ পাকের দয়া ও অনুগ্রহ ছিলো যে, তিনি তাঁকে শিশুকালেই অসংখ্য কারামত দ্বারা ধন্য করেছিলেন। তাঁর শান ও মহত্ব এবং কারামত সম্পর্কে হযরত শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দীস দেহলভী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন:
মাশায়িকে আউলিয়াদের মধ্যে কেউই কারামতের দিক দিয়ে তাঁর সমকক্ষ নয়, এমনকি অনেক মাশায়িক বলেন: হুযুর গাউসে পাক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর কারামতের অবস্থা তো মুক্তোর মালার মতো ছিলো যে, যখনই ছিড়ে যায় তখন একটির পর একটি মুক্তো পরতে থাকে, গাউসে পাক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর কারামত গননার অযোগ্য। (আশিয়াতুল লুমআত, কিতাবুল ফিতন, ৪/৬১০) হুযুর গাউসে পাক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর মুবারক সত্তা তো কারামত ও উৎকর্ষতার সমষ্টি, শুধু তাঁর মুবারক নামেরই এমন বরকত যে, যেখানে ডাকা হয়, হিংস্র প্রাণী থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। ভাবুন তো একবার! যখন হুযুর গাউসে পাক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর নামের এই বরকত ও মহত্ব এবং কারামত যে, হিংস্র প্রাণী তাঁর নাম শুনে আক্রমন করে না, বিষাক্ত প্রাণী কষ্ট দেয় না তবে তাঁর পবিত্র সত্তা কিরূপ বরকতময় ও উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন হবে।
আসুন! কারামতের সংজ্ঞা শুনে নিই:
মাকতাবাতুল মদীনার
কিতাব “কারামাতে সাহাবা” এর ৩৬ পৃষ্ঠায় রয়েছে: মুমিন মুত্তাকী থেকে এমন
কোন অলৌকিক এবং আশ্চার্যজনক বিষয় সংগঠিত ও প্রকাশ পায়, যা সাধারনত
হয়না,
তবে তাকে কারামত বলে। এই ধরনের বিষয় যদি আম্বিয়ায়ে কিরামের
عَلَیْهِمُ السَّلَام নবুয়ত ঘোষণার পূর্বে প্রকাশ পায় তবে
তা হলো ইরহাস আর নুবয়ত ঘোষণার পর হয় তবে তাকে মুজিযা বলা হয় আর যদি সাধারন মুসলমান
থেকে এই ধরনের বিষয় প্রকাশ পায় তবে তাকে মাউনাত বলা হয় এবং যদি অমুসলিমের থেকে আর ইচ্ছা
অনুযায়ী এই ধরনের বিষয় প্রকাশ পায় তবে তাকে ইসতিদরাজ বলা হয়। (নাবরাস, ২৭২ পৃষ্ঠা)