Wah Kya Baat Ghous e Azam Ki

Book Name:Wah Kya Baat Ghous e Azam Ki

সাপ্তাহিক ইজতিমার হালকার সিডিউল ১৭ অক্টোবর ২০২৪ইং

() সুন্নাত আদব শিখা: মিনিট () দোয়া মুখস্ত করানো মিনিট, () যাচাই: মিনিট, সর্বমোট ১৫ মিনিট

 

বায়আতের অবশিষ্ট আদব

          * পীর পরকালের জন্য বানানো হয়ে থাকে যাতে তার নির্দেশনা ও বাতেনী পর্যবেক্ষণের বরকতে মুরিদ আল্লাহ পাক ও তাঁর প্রিয় রাসূল
صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর অসন্তুষ্টমূলক কার্যাদি থেকে বেঁচে থেকে দ্বীনি কাজ অনুযায়ী নিজের জীবনের দিন ও রাত অতিবাহিত করতে পারে। (আদাবে মূর্শিদ, ১৩ পৃ:) * বার্তাবাহক বা চিঠির মাধ্যমে মুরিদ হতে পারবে। (ফতোওয়ায়ে রযবীয়া, ২৬/ ৫৮৫) বিভিন্ন ধরনের হাজারো সুন্নাত শিখার জন্য মাকতাবাতুল মদীনার দুইটি কিতাব “বাহারে শরীত” ১৬ খন্ড (৩১২ পৃষ্ঠা) এবং ১২০ পৃষ্ঠা সম্বলিত কিতাব “সুন্নাত ও আদব” হাদিয়ার বিনিময়ে সংগ্রহ করুন, সুন্নাত প্রশিক্ষণের সর্বোত্তম মাধ্যমে হলো দাওয়াতে ইসলামীর কাফেলায় আশিকানে রাসূলের সাথে সফর করা।

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

যখনই চাঁদের দিকে দৃষ্টি পড়ে ঐসময় পড়ার দোয়া

          দাওয়াতে ইসলামীর সপ্তাহিক সুন্নাতে ভরা ইজতিমার সিডিউল অনুযায়ী “যখনই চাঁদের দিকে দৃষ্টি পড়ে ঐসময় পড়ার দোয়া” মুখস্ত করানো হবে। সে দোয়াটি হলো:

اَعُوْذُ بِاللهِ مِنْ شَرِّ ھٰذَا الْغَاسِقِ

          অনুবাদ: আমি আল্লাহ পাকের নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি এই অন্ধকার হয়ে যাওয়া অনিষ্টতা থেকে। (খযিনায়ে রহমত, ৬৭ পৃ:)  

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

সম্মিলিতভাবে পর্যবেক্ষণের পদ্ধতি

 

 

          প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: (আখিরাতের বিষয়ে) এক মুহূর্তের  জন্য চিন্তা ভাবনা করা ৬০ বছরের (নফল) ইবাদত থেকে উত্তম।

(জামিউস সগীর লিস সুয়ুতী, পৃষ্ঠা- ৩৬৫, হাদীস নং-৫৮৯৭)

          আসুন! নেক আমলের পুস্তিকা পূরণ করার আগে ভালো ভালো নিয়্যতকরে নিই।

১.  আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টির জন্য নিজে নেক আমলের পুস্তিকা থেকে আজকের আখিরাতের বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করবো এবং অপরকেও উৎসাহিত করবো।

২.  যে সকল নেক আমলের উপর আমল হয়েছে, তার জন্য আল্লাহ পাকের হামদ (শুকরিয়া আদায়)  করবো।

৩.  যার উপর আমল হয় নি, তার জন্য অনুতাপ এবং ভবিষ্যতে আমল করার চেষ্টা করবো।

৪.  গুনাহ থেকে বিরতকারী কোনো নেক আমলের উপর (আল্লাহ না করুক) আমল না হলে, তবে তাওবা ও ইস্তিগফার করার পাশাপাশি ভবিষ্যতে গুনাহ না করার সংকল্প করবো।