Wah Kya Baat Ghous e Azam Ki

Book Name:Wah Kya Baat Ghous e Azam Ki

          হযরত আল্লামা মাওলানা মুফতী আমজাদ আলী আযমী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: আউলিয়ায়ে কিরামের কারামত হলো সত্য, তা অস্বীকারকারী পথভ্রষ্ট। (বাহারে শরীয়ত, ১ম অংশ, ১/২৬৮) কারামতের অনেক ধরন রয়েছে, যেমন; মৃতকে জীবিত করা, অন্ধকে আরোগ্য প্রদান করা, দীর্ঘ দূরত্ব মুহুর্তেই অতিক্রম করে নেয়া, পানির উপর হাঁটা, বাতাসে উড়া, মনের খবর জেনে নেয়া এবং দূরের জিনিস দেখে নেয়া ইত্যাদি।

 

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আপনারা শুনলেন যে, কারামতের কয়েকটি ধরন হয়ে থাকে, কিন্তু হুযুর গাউসে পাক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর প্রতি আল্লাহ পাকের বিশেষ দয়া ও অনুগ্রহ ছিলো যে, আল্লাহ পাক তাঁকে অন্যান্য আউলিয়ায়ে কিরামদের থেকে বেশি কারামত প্রদান করেছেন, তিনি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ আল্লাহ পাকের দয়ায় কখনো মৃতকে জীবিত করে দিতেন তো কখনো অন্ধকে দৃষ্টি শক্তি প্রদান করেন। কখনো কুষ্ট রোগীকে আরোগ্য প্রদান করেছেন তো কখনো অসুস্থ ও পেরেশানগ্রস্তদের সাহায্য করতেন। কখনো দূর থেকে সাহায্যের জন্য আহবানকারীতের সাহায্য করতেন তো কখনো চাহিদা সম্পন্নদের চাহিদা পূরণ করে দিতেন। কখনো কারো মনে আসা ধারনা জেনে নিতেন তো কখনো নিজের দরবারে আগতদের সমস্যা দূর করে দিতেন। কখনো চোর ও ডাকাতের প্রতি কৃপাদৃষ্টি নিক্ষেপ করে নেককার বানিয়ে দিতেন তো কখনো ফাসিক ও ফাজির (গুনাহগার) দের তাঁর বেলায়তের দৃষ্টি দ্বারা আল্লাহ পাকের প্রিয় বান্দা বানিয়ে দিতেন। আসুন! তাঁর কয়েকটি কারামত সম্পর্কে শুনি:

গাউসে পাক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর দোয়ার বরকত

          হযরত শায়খ সালেহ ইসমাইল বিন আলী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: হযরত শায়খ আলী বিন হায়তামী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ যখন অসুস্থ হতেন, তখন কখনো কখনো আমার জমিনের দিকে তাশরীফ নিয়ে আসতেন এবং সেখানে কয়েকদিন অতিবাহিত করতেন। একবার তিনি সেখানে অসুস্থ হয়ে গেলেন তখন তাঁর নিকট গাউসে সামদানী, কুতুবে রাব্বানী, শায়খ আব্দুল কাদের জিলানী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বাগদাদ থেকে শশ্রুষার জন্য তাশরীফ নিয়ে এলেন, উভয়ে আমার এখানে একত্রিত হলেন, তাতে দু’টি খেজুর গাছ ছিলো, যা চার বছর ধরে শুকিয়ে গিয়েছিলো এবং এতে ফর ধরতো না। আমি তা কেঁটে ফেলার ইচ্ছা পোষন করলাম, তখন হযরত শায়খ আব্দুল কাদের জিলানী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ দাঁড়ালেন এবং এর মধ্যে একটির নিচে অযু করলো এবং অপরটির নিচে দুই রাকাত নফল নামায পড়লেন, তখন তা সতেজ হয়ে গেলো এবং এর পাতা বের হয়ে গেলো আর সেই সপ্তাহেই এতে ফল এসে গেলো, অথচ তখন খেজুরের ফলনের সময় ছিলো না। আমি আমার জমি থেকে কিছু খেজুর নিয়ে তাঁর খেদমতে উপস্থিত হলাম, তিনি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ তা থেকে খেলেন এবং আমাকে বললেন: আল্লাহ পাক তোমার জমি, তোমার দিরহাম, তোমার সা (ওজন বিশেষ) এবং তোমার দুধে বরকত দান করুন।

 

          হযরত শায়খ ইসমাঈল বিন আলী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: আমার জমিতে অন্যান্য বছরের তুলনায় দুই থেকে চারগুণ বেশি ফলন হতে শুরু করে, এখন আমার অবস্থা যে, যখন আমি এক