Khai Walon Ka Waqia

Book Name:Khai Walon Ka Waqia

          * ইলমে দ্বীন শিখার জন্য সম্পূর্ণ বয়ান শুনবো * আদব সহকারে বসবো * দো’জানো হয়ে বসবো * বয়ানের মাঝখানে অলসতা করা থেকে বেঁচে থাকবো * নিজের সংশোধনের জন্য বয়ান শুনবো * যা কিছু শুনবো অপরের নিকট পর্যন্ত পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করবো

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

 

সূরা বুরূজের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! সূরা বুরূজ পবিত্র কোরআনের একটি ছোট সূরা, যা ৩০তম পারায়ে রয়েছে এতে মাত্র ১টি রুকু এবং ২২টি আয়াত রয়েছে। বুরূজ শব্দের অর্থ হলো নক্ষত্রের মঞ্জিল। এই পবিত্র সূরার শুরুতে নক্ষত্রওয়ালা আসমানের উল্লেখ রয়েছে, যার কারণে একে সূরা বুরূজ বলা হয় এই সূরার শুরুতে একটি শিক্ষণীয়, উপদেশমূলক এবং ঈমান উদ্দীপক ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন:

قُتِلَ اَصْحٰبُ الْاُخْدُوْدِ ۙ(۴)  النَّارِ ذَاتِ الْوَقُوْدِ ۙ(۵)  اِذْ ھُمْ عَلَیْہَا قُعُوْدٌ ۙ(۶) وَّ ھُمْ عَلٰی مَا یَفْعَلُوْنَ بِالْمُؤْمِنِیْنَ شُہُوْدٌ  ؕ(۷) وَ مَا نَقَمُوْا مِنْہُمْ  اِلَّاۤ  اَنْ یُّؤْمِنُوْا بِاللّٰہِ الْعَزِیْزِ  الْحَمِیْدِ ۙ(۸)

(পারা ৩০, সূরা বুরূজ, আয়াত ৪-৮)           কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: কুণ্ড-অধিপতিদের উপর অভিশাপ হোক! ওই প্রজ্জ্বলিত আগুনের অধিপতিগণ, যখন তার কিনারায় বসেছিলো; এবং তারা নিজেরাই সাক্ষী রয়েছে (সে সম্পর্কে) যা কিছু তারা মুসলমানদের সাথে করছিলো। এবং তাদের নিকট মুসলমানদের খারাপ লেগেছে এটা নয় কি যে, তারা ঈমান এনেছে আল্লাহ্‌ মহা সম্মানিত, সমস্ত প্রশংসায় প্রশংসিতের উপর?

 

কুণ্ড-অধিপতিদের ঘটনা

          এই আয়াতগুলোতে কুণ্ড-অধিপতিদের আলোচনা করা হয়েছে। তারা কারা? তাদের ঘটনা কী? এর বিস্তারিত হাদীসের প্রসিদ্ধ কিতাব মুসলিম শরীফে রয়েছে হাদীসে পাকটি অনেক দীর্ঘ, এর সংক্ষিপ্ত বিবরণ হলো, পূর্ববর্তী সম্প্রদায়ের মধ্যে এক বাদশাহ ছিল, যে নিজেকে খোদা দাবি করত। লোকেরা তাকে তাদের খোদা মান্য করতো এবং তার পূজা করতো আল্লাহ পাক ঐ জাতিকে হেদায়ত প্রদান করতে চাইলেন, তাই আল্লাহ পাক সেই জাতির এক যুবককে হেদায়ত দান করলেন, সে একজন নেক ঈমানদার ব্যক্তির সাহচর্য লাভ করলো, যার বরকতে সে কালেমা পাঠ করে সত্য দ্বীনের অনুসারী হয়ে গেলো আল্লাহ পাক এই যুবককে উচ্চ মর্যাদা দান করলেন, তাকে তাঁর বেলায়তের মুকুট পরিধান করালেন এবং তার হাতে কারামত প্রকাশ হতে লাগলো, তার দোয়ার বরকতে অন্ধ এবং কুষ্ঠরোগীরা আরোগ্য লাভ করতে লাগলো, কিছুদিনের মধ্যেই তার খ্যাতি বাদশাহ পর্যন্ত পৌঁছে গেলো এখন কী হলো, বাদশার সেই মিথ্যা খোদা দাবী, তার তো সকল ধান্ধাবাজি শঙ্কায় পড়ে গেলো যদি এই ওলীয়ুল্লাহর দোয়ায় অন্ধরা আরোগ্য লাভ করতে থাকে তবে বাদশাহকে খোদা মানবে কে সুতরাং বাদশাহ এই ওলীয়ুল্লাহকে হত্যা করার সর্বাত্মক অপচেষ্টা করলো, কখনো পাহাড়ের চূড়া থেকে নিচে ফেলে দেয়ার চেষ্টা করলো, তাতেও ব্যর্থ হলো, কখনো সমুদ্রের মাঝে পানিতে ফেলে দিয়ে ডুবিয়ে মারার অপচেষ্টা করলো, তাতেও ব্যর্থ হলো, অবশেষে সেই কামিল ওলী নিজেই বললেন: হে বাদশাহ! তুমি যদি