Khai Walon Ka Waqia

Book Name:Khai Walon Ka Waqia

কল্যাণ আশা করা যায় এবং তার অনিষ্ট থেকে নিরাপদ থাকে আর তোমাদের মধ্যে খারাপ হলো সেই ব্যক্তি, যার নিকট কল্যাণ আশা করা যায় না এবং তার অনিষ্ট থেকে নিরাপদ নয়।

(তিরমিযী, কিতাবুল ফিতন, অধ্যায় ৭২, পৃষ্ঠা ৫৪৪, হাদীস ২২৬৩)

 

          এই হাদীসে পাকের ব্যাখ্যার সারাংশ হলো; ঐ ব্যক্তি, মানুষের অন্তর যার পক্ষ থেকে প্রশান্ত হয়, মানুষ তার ব্যাপারে বিশ্বাস রাখে যে, এই ব্যক্তি কাউকে কষ্ট দেয় না বরং যতদূর সম্ভব অন্যদের উপকারই করে, এমন ব্যক্তি খুবই ভাল, পক্ষান্তরে ঐ ব্যক্তি, যাকে মানুষ ভয় পায়, যার পক্ষ থেকে কল্যাণ আশা করে না এবং যার অনিষ্ট থেকে বাঁচার চেষ্টা করে, সে খুবই খারাপ মানুষ। (মিরআতুল মানাজীহ, /৫৭৯)

 

 

 

মুসলমানের রক্ত, সম্পদ এবং সম্মান
অপর মুসলমানের উপর হারাম

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আমাদের প্রিয় ধর্ম ইসলাম প্রতিটি মুসলমানের জীবন, সম্পদ এবং সম্মানের সুরক্ষার নিশ্চয়তা দেয়। সর্বশেষ নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: کُلُّ الْمُسْلِمِ عَلَی الْمُسْلِمِ حَرَامٌ دَمُہٗ وَمَالُہٗ وَعِرْضُہٗ অর্থাৎ প্রত্যেক মুসলমানের রক্ত, সম্পদ এবং সম্মান অন্য মুসলমানের উপর হারাম। (মুসলিম, কিতাবুল বিররে ওয়াস সিলাহ, পৃষ্ঠা ৯৯৫, হাদীস ২৫৬৪)

          প্রসিদ্ধ মুফাসসিরে কোরআন, হযরত মুফতি আহমদ ইয়ার খান رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এই হাদীসে পাকের আলোকে লিখেন: কোনো মুসলমান অন্য কোনো মুসলমানের সম্পদ তার অনুমতি ব্যতিত নিবে না, কাউকে অসম্মান করবে না, কাউকে অন্যায়ভাবে এবং অত্যাচার করে হত্যা করবে না; কারণ এগুলো সবই গুরুতর অপরাধ। (মিরআতুল মানাজীহ, /৫৫৩)

 

(৩) মাছ বৃদ্ধাঙ্গুল কাটলো

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! অন্যদের কষ্ট দেয়া এত বড় গুনাহ যে, এর ফলে আল্লাহ পাকের গযব চলে আসে এবং অনেক সময় এই মারাত্মক গুনাহের শাস্তি দুনিয়াতেই দিয়ে দেয়া হয়। হযরত ইমাম মুহাম্মদ বিন আহমদ যাহবী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ লিখেন: জনৈক বুযুর্গ এক ব্যক্তিকে দেখলেন যার হাত কাঁধ থেকে কাটা ছিলো এবং সে ঘোষণা করছিলো; যারা আমাকে দেখছো তারা যেন কারো উপর অত্যাচার না করে। আমি তার কাছে পুরো ঘটনা জিজ্ঞাসা করলাম, তখন সে বললো: আমার ব্যাপারটি খুবই অদ্ভুত, আমি কিছু দুষ্কৃতকারীর সঙ্গী ছিলাম। একদিন আমি একজন জেলে থেকে মাছ ছিনিয়ে নিলাম এবং বাড়ির দিকে চলতে লাগলাম। পথিমধ্যে মাছটি আমার বৃদ্ধাঙ্গুলে কামড় বসিয়ে দিলো যেভাবেই হোক, আমি বাড়িতে পৌঁছলাম এবং মাছটিকে একপাশে ছুড়ে মারলাম। আঙুলের ব্যথা ও যন্ত্রণার কারণে আমি সারারাত ঘুমাতে পারলাম না। সকালে আমি ডাক্তারের কাছে গেলাম এবং তাকে আমার ক্ষত হাত দেখালাম। তিনি বললেন যে, বৃদ্ধাঙ্গুল কেটে ফেলতে হবে। আমি আমার বৃদ্ধাঙ্গুলটি কাটিয়ে দিলাম। তারপর একদিন আমার হাতে আঘাত লাগলো, ফলে পুরানো ক্ষত আবার তাজা হয়ে গেল, আমি প্রচণ্ড কষ্ট পেতে লাগলাম। আমি ডাক্তারের কাছে গেলাম, তিনি হাত কাটার কথা বললেন, আমি কেটে দিলাম কিন্তু ব্যথা পুরো বাহুতে ছড়িয়ে পড়ল। আমি অত্যন্ত কষ্টে ছিলাম, একটি মুহুর্তও শান্তি পাচ্ছিলাম