Book Name:Khai Walon Ka Waqia
তাকে দিয়ে দেয়া হয়েছে (তাই আখিরাতের জন্য তার কোনো ভালো কাজ অবশিষ্ট নেই, যার বদলে তাকে কিয়ামতের দিন কোনো প্রতিদান দেয়া হবে)। তবে হ্যাঁ, একটি ভালো কাজ বাকি ছিল। জীবনের শেষ মুহূর্তে সেই অমুসলিম মাছ খেতে চেয়েছিল, অতএব মাছের সন্ধান করা হলো কিন্তু শহরজুড়ে কোথাও মাছ পাওয়া গেলো না। আল্লাহ পাক আমাকে হুকুম দিলেন যে, তার জন্য যেনো মাছের ব্যবস্থা করি, যাতে তার যে একটি ভালো কাজ অবশিষ্ট ছিলো, তার প্রতিদানও দুনিয়াতেই হয়ে যায় (এবং সে আখিরাতের জন্য সম্পূর্ণ নিঃস্ব ও খালি হাতে থাকে)। অতএব আমি সেই অমুসলিমের জন্য মাছের ব্যবস্থা করতে গিয়েছিলাম।
এই ফেরেশতা তার কথা শেষ করার পর অন্য ফেরেশতাকে জিজ্ঞাসা করলো: আপনি কোথায় যাচ্ছেন? বললো: অমুক শহরে একজন মুসলমান রয়েছে, তারও মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে এসেছে। তার যত গুনাহ ছিল, সবকিছুর প্রতিদান স্বরূপ তাকে পরীক্ষার লিপ্ত করা হয়েছে। এখন তার আমলনামায় কোনো গুনাহ অবশিষ্ট নেই, শুধু একটি গুনাহ বাকি আছে। তার শেষ মুহূর্তে তার তৃষ্ণা লেগেছে এবং সে পানি পান করতে চাইলো। আমাকে আদেশ দেওয়া হয়েছে যে, তার পানি যেনো ফেলে দিই, যাতে এই শেষ পরীক্ষার মাধ্যমে তার শেষ গুনাহটিও ক্ষমা হয়ে যায় এবং গুনাহ থেকে সম্পূর্ণ পবিত্র হয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় নেয়।
(নাওয়াদিরুল কালইউবী, পৃষ্ঠা ১১৩)
سُبْحٰنَ الله! প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! কিরূপ শান আমার রহমান ও রহীম প্রতিপালকের...!! আমরা তাঁর বান্দা, তিনি আমাদের আনন্দ দান করুন বা পরীক্ষায় ফেলুন, এটা তাঁর ইচ্ছা, প্রতিটি অবস্থায় তাঁর অনুগ্রহই বিদ্যমান। কিন্তু উৎসর্গিত হয়ে যান! তাঁর দয়া কতইনা বিস্তৃত, আমরা গুনাহ করি, নিজেদেরকে জাহান্নামের হকদার বানাই এবং আমাদের কাদীর ও কাইয়ূম প্রতিপালক আমাদের উপর পরীক্ষা পাঠিয়ে আমাদের গুনাহ মুছে দেন এবং আমাদের জন্য জান্নাতের রাস্তা সহজ করে দেন।
যাক! জীবনে পরীক্ষা আসেই, দারিদ্র্তাও আসে, অভাবও আসে, সমস্যাও আসে, চিন্তাও হয়, অনেক সময় অত্যাচার ও নিপীড়নের শিকারও করা হতে পারে। এই অবস্থায় আমাদের উচিত যে, ধৈর্য্য ধারণ করা এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব, যা এই সময়ে আমাদের উপর বর্তায়, তা হলো; আমাদের ঈমানকে পরিপূর্ণভাবে রক্ষা করা। আমরা খাদ ওয়ালাদের কোরআনী ঘটনাটি শুনেছি, এর প্রতি একটু ভেবে দেখুন! যেই বাদশাহ নিজেকে খোদার দাবী করছিলো, সে কঠোর অত্যাচারী ছিলো, সে ঈমানদারদের উপর অত্যাচার করেছিলো, তাদেরকে জীবন্ত আগুনে নিক্ষেপ করেছিলো। উৎসর্গিত হয়ে যান! সেই দৃঢ় ঈমানের লোকেরা আগুনে পোড়া, জীবন দেয়া মেনে নিয়েছিলো কিন্তু তাদের ঈমান থেকে কণা পরিমাণও পিছিয়ে যায়নি, এমনকি এক মা, তার শিশুকে কোলে নেয়া অবস্থায় আগুনে নিক্ষেপ করে দেয়া হয়েছিলো, তিনিও মৃত্যুকে তো গ্রহণ করে নিয়েছিলেন কিন্তু নিজের ঈমানের সাথে ব্যবসা করেননি।
এটি একটি অসাধারণ বিষয়, খুবই সাহসিকতা এবং মনোবলের বিষয়। এ থেকে আমাদের এই শিক্ষা অর্জিত হয় যে, একজন মুমিন বান্দা নিজের উপর সর্বদা অটল থাকে, কষ্ট এবং বিপদে আতঙ্কিত হয়ে ভেঙে পড়ে না, তার অন্তরে সন্দেহ আসে না বরং সে তার ঈমানের উপর, তার বিশ্বাসের উপর, আল্লাহ পাকের উপর ভরসায় অটল থাকে। তাকে যদি ফুলের মালা