Book Name:Jannat Mein Aaqa Ka Parosi
বড় বরকত হলো যে, ফজরের নামায থেকে ইশরাকের নামায পর্যন্ত মসজিদে অবস্থান করা রাসূলের সুন্নাত, এতে আমলেরসৌভাগ্য নসীব হয়ে যাবে। *হাদীসে পাক অনুযায়ী যে ব্যক্তি ফজরের নামাযের পর আল্লাহ পাকের যিকির করতে থাকে, অতঃপর ইশরাক, চাশতের নফল নামায পড়বে, তাকে জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবে না। (শুয়াবুল ঈমান, ৩/৪২০, হাদীস: ৩৯৫৭)
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আসুন! মীমাংসা করার মাদানী ফুল শুনার সৌভাগ্য লাভ করি। * মুসলমানদের মাঝে সমঝোতা তথা মীমাংসা করা আল্লাহ পাকের সুন্নাত। (মীমাংসা করার মাদানী ফুল, পৃষ্ঠা ৩১) * হাদীসে পাকে রয়েছে: সৃষ্টির মধ্যে সমঝোতা করে দাও, কারণ আল্লাহ পাকও কিয়ামত দিবসে মুসলমানদের মাঝে সমঝোতা করাবেন। (মুস্তাদরাক, ৫/৭৯৫, হাদীস: ৮৭৫৮) * মুসলমানদের মাঝে ভালোবাসা সৃষ্টি করা এবং সমঝোতা করানো প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এরও সুন্নাত। (সিরাতুল জিনান, ২/১৯) * সুতরাং আমাদের প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم আউস ও খাযরায দুই গোত্রের মাঝে সমঝোতা করিয়েছিলেন। (দুররে মনসুর, সূরা আলে ইমরান, ১০০ নং আয়াতের পাদটীকা, ২/২৭৯) * মিথ্যা বলে দুজন পুরুষ বা পুরুষ ও মহিলার মাঝে সমঝোতা করানো জায়িয। (জাহান্নাম মে লে জানে ওয়ালে আমাল, ২/২১৩) * সুতরাং হাদীসে পাকে রয়েছে: মিথ্যা কখনো সঠিক নয়, তবে তিনটি স্থান ব্যতীত: (১) স্বামীর স্বীয় স্ত্রীকে সন্তুষ্টি করার জন্য (মিথ্যা) বলা, (২) যুদ্ধে মিথ্যা বলা এবং (৩) মানুষের মাঝে সমঝোতা করার জন্য মিথ্যা বলা। (তিরমিযী, হাদীস১৯৪৫, ৩/৩৭৭) *তিনটি অবস্থায় মিথ্যা বলা জায়িয অর্থাৎ এতে গুনাহ নেই: (১) যখন জালেম জুলুম করতে চায় তার জুলুম থেকে বাঁচার জন্যও মিথ্যা বলা জায়িয। (২) দুইজন মুসলমানের মধ্যে মতবিরোধ হলে তাদের উভয়ের মাঝে সমঝোতা করতে চাইলো যেমন; একজনের সামনে এটা বলা যে, সে তোমাকে ভালো মনে করে, তোমার প্রশংসা করে বা সে তোমাকে সালাম দিয়েছে এবং অপর জনের সামনে গিয়েও এরকম কথাবার্তা বলা যাতে উভয়ের মধ্যে শত্রুতা কমে যায়। (৩) (স্বামী তার) স্ত্রীকে খুশি করার জন্য কোন কথা বলা যা সত্য নয়। (বাহারে শরীয়ত, ১৬/৫১৭)
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
মীমাংসার অবশিষ্ট মাদানী ফুল তরবিয়তী হালকায় বলা হবে, সুতরাং সেগুলোর জানার জন্য তরবিয়তি হালকায় অবশ্যই অংশগ্রহন করুন।
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
দা’ওয়াতে ইসলামীর সাপ্তাহিক ইজতিমায় পঠিত
৬টি দরূদ শরীফ ও ২টি দোয়া