Book Name:Jannat Mein Aaqa Ka Parosi
اللهُ
عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ‘র অভ্যাস ছিল যে, রাতের বেলায় যখন জাগ্রত হতেন, তখন পড়তেন: سُبْحٰنَ
اللہِ رَبِّ الْعٰلَمِیْن،
سُبْحٰنَ
اللہِ وَبِحَمْدِہٖ।
(নাসায়ী, ২৮২ পৃষ্ঠা, হাদীস: ১৬১৫)
একবারের ঘটনা হলো, নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ঘুম থেকে জেগে উঠলেন, তখন আমি ওযুর জন্য পানি এবং মিসওয়াক নিয়ে উপস্থিত হলাম। (আমার এই খেদমত দেখে দয়ার সাগরে জোয়ার এলো, দাতাদের দাতা নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর দয়ার দরজা খুলে) ইরশাদ করলেন: হে রাবিয়া! চাও! আমি আরয করলাম: اَسْاَ لُكَ مُرَافَقَتَكَ فِیْ الْجَنَّۃِ অর্থাৎ ইয়া রাসূলাল্লাহ صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم! আমি জান্নাতে আপনার প্রতিবেশীত্ব প্রার্থনা করছি। (মুসলিম, ১৮৪, হাদীস: ৪৮৯)
চাওয়ার ক্ষেত্রে তো হযরত রাবিয়া رَضِیَ اللهُ عَنْہُ সবকিছুই চেয়ে নিয়েছিলেন, কিন্তু আমার প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم তো দানশীলতার প্রতীক। তাঁর দানের শানই অনন্য।
হযরত রাবিয়া رَضِیَ اللهُ عَنْہُ যখন জান্নাতে নবীর প্রতিবেশীত্ব প্রার্থনা করেছিলেন, তখন নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করলেন: اَوَ غَیْرَ ذٰلِكَ অর্থাৎ আর কিছু কি চাও? আরয করলেন: هُوَ ذٰاكَ অর্থাৎ এটিই কাম্য।
(মুসলিম, ১৮৪ পৃষ্ঠা, হাদীস: ৪৮৯)
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! হযরত রাবিয়া رَضِیَ اللهُ عَنْہُ আরয করলেন: ইয়া রাসূলাল্লাহ صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم! এটাই চাওয়া যে, জান্নাতে আপনার প্রতিবেশীত্ব যেনো নসীব হয়ে যায়। এতে নবীয়ে পাক صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করলেন: فَاَعِنِّي عَلَى نَفْسِكَ بِكَثْرَةِ السُّجُود অর্থাৎ নিজের উপর অধিকহারে সিজদা করে আমাকে সাহায্য কর। (মুসলিম, ১৮৪ পৃষ্ঠা, হাদীস: ৪৮৯)
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
আমাদের প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم সর্বাধিক ক্ষমতাশীল
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! এই ঈমান উদ্দীপক ঘটনাটি থেকে আমরা অনেক কিছু শিখতে পারি। যেমন একটি বিষয় শিখতে পারলাম যে, আমাদের প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم হলেন পরিপূর্ণ ক্ষমতার অধিকারী, তাঁকে ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে যে, যাকে ইচ্ছা, যখন ইচ্ছা, যেভাবে ইচ্ছা দান করতে পারেন। এ কারণেই তো নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم হযরত রাবিয়া رَضِیَ اللهُ عَنْہُ কে সাধারণভাবে (অর্থাৎ কোন ধরনের শর্ত ছাড়া) ইরশাদ করলেন: سَلْ অর্থাৎ চাও! কি চাওয়ার আছে? (অর্থাৎ হে রাবিয়া! কোন বাধা নেই *আমার নিকট দুনিয়া চাও * আখিরাত চাও * ধন-সম্পদ চাও * দীর্ঘ জীবন চাও * সুখ-শান্তি চাও * সম্মান ও মর্যাদা চাও * জান্নাত চাও *আল্লাহ পাকের নৈকট্য চাও, যাই চাইবে, পাবে)। নিঃসন্দেহে এমন উন্মুক্ত প্রস্তাব