Jannat Mein Aaqa Ka Parosi

Book Name:Jannat Mein Aaqa Ka Parosi

صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করলেন: আরবীর চাওয়া এবং বনী ইসরাঈলের বৃদ্ধার চাওয়ার মধ্যে কত পার্থক্য (Difference)! অতঃপর নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم বনী ইসরাঈলের বৃদ্ধার ঘটনা বর্ণনা করলেন: (যার সারাংশ হলো যে,) যখন হযরত মূসা عَلَیْہِ السَّلَام বনী ইসরাঈলকে নিয়ে মিসর থেকে চলে যাচ্ছিলেন, তখন আল্লাহ পাকে পক্ষ থেকে নির্দেশ এলো: হযরত ইউসুফ عَلَیْہِ السَّلَام এর দেহ মুবারককেও তাঁদের সঙ্গে নিয়ে নিন! 

          (হযরত ইউসুফ عَلَیْہِ السَّلَام দুনিয়া থেকে বিদায় নেয়ার পর শতাব্দী অতিবাহিত হয়ে গিয়েছিল এবং তাঁকে নীল নদীর মাঝখানে দাফন করা হয়েছিলো, অতএব এত শত বছর পর কেউ জানতো না যে, হযরত ইউসূফ عَلَیْہِ السَّلَام কে কোথায় দাফন করা হয়েছিলো, শুধু একজন বৃদ্ধা ঐ জায়গা সম্পর্কে জানতো), হযরত মূসা عَلَیْہِ السَّلَام ঐ বৃদ্ধাকে জিজ্ঞাসা করলেন: আপনি কি জানেন হযরত ইউসূফ عَلَیْہِ السَّلَام এর কবর কোন জায়গায়? বললো: জি হ্যাঁ! বললেন: আমাকে বলো! বৃদ্ধা বললো: আল্লাহর শপথ! যতক্ষণ আপনি আমার চাহিদা পূরণ করবেন না, ততক্ষণ আমি কিছু বলবো না। হযরত মূসা عَلَیْہِ السَّلَام বললেন: চান! কী চাওয়ার আছে, আপনাকে দেয়া হবে বৃদ্ধা বুদ্ধিমতি ছিলো, বললো: আমি আপনার সাথে জান্নাতে প্রতিবেশী (Neighborhood) হতে চাই। 

          হযরত মূসা عَلَیْہِ السَّلَام বললেন: শুধু জান্নাত চেয়ে নিন! বৃদ্ধা বললো: না.....!! আল্লাহর শপথ! আমি এর কমে একদমই সন্তুষ্ট নই, আমি শুধু জান্নাত চাই না, বরং জান্নাতে আপনার প্রতিবেশীত্বই চাই। হযরত মূসা عَلَیْہِ السَّلَام তাঁকে আরো বুঝালেন, কিন্তু তিনি তার দাবীতে দৃঢ় ছিলেন, তখন আল্লাহ পাক হযরত মূসা عَلَیْہِ السَّلَام কে অহী প্রেরণ করলেন এবং ইরশাদ করলেন: হে মূসা! তোমার ক্ষতি কী....!!, যা চাইছে তাই দিয়ে দিন!! অতএব হযরত মূসা عَلَیْہِ السَّلَام তার চাওয়া পূরণ করলেন এবং হযরত ইউসূফ عَلَیْہِ السَّلَام র পবিত্র দেহ নিয়ে যাত্রা করলেন

(মাকারিমুল আখলাক, /২৬৪, হাদীস: ৭৩১)

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! এটাই হচ্ছে চাওয়ার পদ্ধতি! বৃদ্ধার চিন্তা দেখুন! খেদমত কতটুকু আর প্রার্থনা কতটুকু করছে...! এই বর্ণনা থেকে আমরা দুটি বিষয় শিক্ষা পাই: (১) একটি বিষয় তো ঐ সাহাবী رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর আমল থেকে শিখলাম, তিনি সাহাবী ছিলেন, তিনি প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর নিকট দুনিয়াবী জিনিস চেয়েছিলেন এবং নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم তা প্রত্যাখ্যান করেননি। এ থেকে জানা গেলো;দুনিয়ার ছোট ছোট চাহিদা হোক, প্রয়োজনীয়তা হোক, আমরা তাও প্রিয় নবীর দরবার থেকে চাইতে পারি, এতে কোন দোষ নেই। (২) দ্বিতীয় বিষয়টি জানতে পারলাম যে, আমাদের প্রিয় নবী রাসূলে আরবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّمচান যে, আমরা জান্নাতে তাঁর প্রতিবেশীত্ব প্রার্থনা করি। দেখুন! আরবী সাহাবী رَضِیَ اللهُ عَنْہُ যা কিছু চেয়েছিলেন, প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم তা তাঁকে দিয়ে দিয়েছেন কিন্তু পাশাপাশি বনী ইসরাঈলের বৃদ্ধার ঘটনা বর্ণনা করে এই উৎসাহও দিলেন যে, যখন কিছু চাইবে, তখন তাই