Buri Sohbat Ka Wabal

Book Name:Buri Sohbat Ka Wabal

          তাফসীরে সীরাতুল জিনান ৩ খন্ড ২৪ পৃষ্ঠায় রয়েছে: (১) জুয়ার কারণে জুয়াড়ীদের মধ্যে শত্রুতা, বিদ্বেষ এবং প্রতিশোধের সৃষ্টি হ এবং অনেক সম তা হত্যা ও সংঘর্ষের পরিস্থিতিতে পৌঁছা (২) জুয়া খেলার কারণে ধনী ব্যক্তি মুহূর্তের মধ্যে দরিদ্র ও অভাবের শিকার হয়ে যায়, সুখী পরিবারগুলো অসচ্ছলতায় পর্যবসিত হয়, ভালো একজন মানুষ খাবার ও পানীয়ের জন্যও মুখাপেক্ষী হয়ে পড়ে। সমাজে তার তৈরি করা সম্মান শেষ হয়ে যায় এবং সমাজে তার কোনো মূল্য ও মর্যাদা অবশিষ্ট থাকে না।
(৩) একজন জুয়াড়ী অনেক সময় ঋণ নিতে বাধ্য হয় এবং কখনও কখনও সুদে ঋণ নিতে বাধ্য হয় এবং যখন সে ঋণ পরিশোধ করতে অক্ষম হয় বা ঋণ পায় না তখন সে ডাকাতি, চিনতাই ও চুরি ইত্যাদিতে আসক্ত হয়ে পড়ে এমনকি জুয়াড়ীকে চারদিকের বিপদ এমনভাবে ঘিরে ফেলে যে, শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়। (সীরাতুল জিনান, ৩/২৪)

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!         صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

        প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! একটি বিখ্যাত প্রবাদ আছে, "তরমুজের দিকে তাকিয়েই তরমুজের রং আসে।" ব্যস সাহচর্যেরও কিছু এ রকম প্রভাব থাকে; যেমন সঙ্গ, তেমন প্রভাব। কারণ اَلصُّحْبَۃُ مُؤَثِّرَۃٌ "সঙ্গ তার প্রভাব বিস্তার করে" যে সৌভাগ্যবান  ব্যক্তির সৎ সাহচর্য নসীব হয়, তার জীবনও সাফল্যমণ্ডিত হয় এর ফলে তার জীবনে এমন পরিবর্তন আসে যে সৎ সাহচর্যের বরকতে তার মধ্যে ভালো অভ্যাস গড়ে ওঠে এবং খারাপ অভ্যাসগুলো থেকে মুক্তি পায় আমলের স্পৃহা নসীব হয় এবং সে সমাজে একটি বিশেষ স্থান অর্জন করে। কিন্তু দূর্ভাগ্যবশতঃ যদি কারো অসৎ সাহচর্য নসীব হয় তাহলে এটা মনে রাখবেন যে, তার ধ্বংসের দিন শুরু হয়ে গেছে, কারণ অসৎ সাহচর্যের প্রভাব অত্যন্ত ধ্বংসাত্মক। একজন সৎ চরিত্রবান এবং সরল মানুষও অসৎ সাহচর্যের ফলে উচ্চতা থেকে গভীর অতলে পতিত হয় অসৎ বন্ধুরাই অপরাধ বৃদ্ধি এবং সমাজ ধ্বংসে ভূমিকা রাখে। তাদের সাথে ওঠা বসা করা ব্যক্তিও একদিন তাদের রঙে রঙিন হয়ে ওঠে এবং সমাজের অবক্ষয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায়

 

 

কার সাথে বন্ধুত্ব করা উচিত এবং কার সাথে উচিত নয়

          আমীরুল মুমিনীন হযরত ওমর ফারুক رَضِیَ اللهُ عَنْہُ বলেন: এমন কিছুতে জড়িয়ো না যা তোমার জন্য উপকারী নয় এবং শত্রু  থেকে দূরে থাকো, বন্ধুদের থেকেও সাবধান থাকো, তবে যখন তারা নির্ভরযোগ্য হয়, তখন তাদের সাথে সম্পর্ক রেখো, কারণ নির্ভরশীলতার তুলনা হয় না। গুনাহগার ব্যক্তির সাথে থাকা উচিত নয়, কারণ সে তোমাকে গুনাহের শিক্ষা দিবে। তার সামনে গোপন কথা বলো না এবং তোমার কাজের ক্ষেত্রে তাদের সাথে পরামর্শ করো যারা আল্লাহ পাকের প্রতি ভয় রাখে।

(শুয়াবুল ঈমান, ২/২৫৭, হাদীস: ২৯৯৫)

 

          আমীরুল মুমিনীন হযরত মওলা আলী کَرَّمَ اللهُ وَجْہَہُ الْکَرِیْم বলেন: "ফাজির (সাধারণত প্রকাশ্যে গুনাহকারী) এর সাথে বন্ধুত্ব করো না, কারণ সে তার কর্মকে তোমার জন্য সাজিয়ে উপস্থাপন করবে এবং এটা চাইবে যে, তুমিও তার মতো হয়ে যাও। সে তার মন্দ স্বভাবকে সুন্দর করে দেখাবে।" তোমার নিকট তার আসা-যাওয়া দোষণীয় এবং লজ্জার কারণ। আর বোকা