Buri Sohbat Ka Wabal

Book Name:Buri Sohbat Ka Wabal

          হাকিমুল উম্মত মুফতি আহমদ ইয়ার খান رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: কাউকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করার আগে তাকে পরীক্ষা করে দেখো যে, সে কি আল্লাহ পাক এবং রাসূল صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর অনুগত কিনা। আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন:

وَ کُوۡنُوۡا مَعَ الصّٰدِقِیۡنَ ﴿۱۱۹

(পারা ১১, সূরা তাওবা, আয়াত ১১৯)                 কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: আর সত্যবাদীদের সাথে থাকো

 

          সুফীগণ رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِمْ اَجْمَعِیْن বলেন: মানব প্রকৃতিতে 'اَخْذ' অর্থাৎ গ্রহণ করার একটি স্বভাব রয়েছে। লোভী ব্যক্তির সাহচর্য থেকে লোভ আসবে, আর যিনি زاهد (দুনিয়া থেকে বিমুখ) তার সাহচর্য থেকে তাকওয়া ও পরহেগারীতা অর্জিত হবে। (মিরআতুল মানাজীহ, ৬/৫৯৯)

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!         صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

        প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আমাদের উচিত যে, বন্ধুত্বের ক্ষেত্রে সকলের প্রতি অন্ধ বিশ্বাস না রাখা এবং তাদের সঙ্গেও বসা থেকে বিরত থাকা, যাদের পেছনে বিভিন্ন ধরনের গুনাহের ছাপ রয়েছে, কারণ নানা ধরনের গুনাহে নিমজ্জিত মানুষের ওপর যখন খারাপ সময় আসে, তখন তাদের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত লোকরাও কখনো কখনো সেই বিপদের শিকার হয়ে যায়

 

অসৎ মতাদর্শের সাহচর্য মৃত্যুতুল্য বিষ

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! যেভাবে মদ্যপায়ী, জুয়াড়ী এবং গুনাহে লিপ্ত থাকা লোকদের সাহচর্যে ওঠাবসা প্রাণঘাতী, তেমনই অসৎ মতাদর্শের সঙ্গে মেলামেশা, তাদের বক্তব্য শোনা, বই পড়া, তাদের অডিও শোনা, ভিডিও দেখা অথবা অন্য কাউকে শেয়ার করা, তাদের সঙ্গে পানাহার করা বা সম্পর্ক স্থাপন করা, সবই ঈমানের জন্য মৃত্যুতুল্য বিষ এবং দুনিয়া ও আখিরাতে কঠিন ধ্বংসযজ্ঞতার কারণ।

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!         صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! তাফসীরে সীরাতুল জিনান ৩য় খণ্ডের ১৩৪ পৃষ্ঠায় লিখা রয়েছে: অসৎ মতাদর্শের লোকদের সভায় যাওয়া এবং তাদের বক্তৃতা শোনা নিষিদ্ধ ও হারাম এবং এটি নিজেকে অসৎ মতাদর্শ ও বিভ্রান্তির দিকে ঠেলে দেওয়ার মতো কাজ। তাদের বক্তব্যগুলি যদি কুরআনের আয়াত বা হাদীসের উপর ভিত্তি করে হয়, তাও ভালো কথা বেছে নেওয়ার ধারণা নিয়ে শোনা একদমই জায়িয নয়  

          অনেকসময় বরং প্রায়ই ঘটে যে, পথভ্রষ্ট ব্যক্তি তার বক্তৃতায় কুরআন ও হাদীসের ব্যাখ্যা এবং বিশ্লেষণের আড়ালে কিছু নিজের অসৎ মতাদর্শ যুক্ত করে দেয় এর ফলে অনেক ব আশঙ্কা রয়েছে, এমনকি তা বাস্তবে ঘটার সম্ভাবনাও দেখা যায় যে, সেই কথা বা বক্তৃতা শ্রবণকারীর মনে গেঁথে যায় এবং হৃদয়ে প্রভাব বিস্তার করে। এই কারণে পথভ্রষ্ট ও বেদ্বীন ব্যক্তির বক্তৃতা শোনার ফলে সাধারণত শ্রোতা নিজেও বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে। আমাদের পূর্বপুরুষরা তাদের ঈমানের ব্যাপারে খুবই সতর্ক ছিলেন, তাই যদিও তারা আকিদায় অত্যন্ত পাকা ছিলেন,