Book Name:Faizan e Syeda Khatoon e Jannat
বয়ান শোনার নিয়্যত
প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: اَفْضَلُ الْعَمَلِ اَلنِّيَّۃُ الصَّادِقَۃُ অর্থাৎ সত্য নিয়্যত সবচেয়ে উত্তম আমল। (জামে সগীর, ৮১ পৃষ্ঠা, হাদীস: ১২৮৪)
হে আশিকানে রাসূল! প্রতিটি কাজের পূর্বে ভালো ভালো নিয়্যত করার অভ্যাস গড়ুন, কেননা ভালো নিয়্যত বান্দাকে জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে দেয়। বয়ান শুনার পূর্বেও ভালো ভালো নিয়্যত করে নিন! যেমন; নিয়্যত করুন! * ইলমে দ্বীন শেখার জন্য সম্পূর্ণ বয়ান শুনবো * আদব সহকারে বসবো * বয়ান চলাকালীন উদাসীনতা থেকে বেঁচে থাকবো
* নিজের সংশোধনের জন্য বয়ান শুনবো * যা শুনবো অপরের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করবো।
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! اَلْحَمْدُ لِلّٰه রমযানুল মুবারকের বরকতময়, নুরানী, বসন্তময় সময় অতিবাহিত হচ্ছে, রহমতের অবিরাম বর্ষণ হচ্ছে, প্রতিটি মূহুর্ত বরকতময়, সৌভাগ্যবান ঐ সকল লোক, যারা বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ আদব সহকারে রোযা রেখে, খুশিমনে ২০ রাকাত তারাবি পড়ে, সেহেরি ও ইফতারের বরকত অর্জন করে রমযানুল মুবারকের বরকত অর্জন করছে এবং সীমাহীন বঞ্চিত ও হতভাগা হলো ঐসকল লোক, যারা এই মুবারক সময়েও নেকী থেকে বঞ্চিত রয়েছে, রোযা রাখে না, তারাবি পড়ে না বা পড়লেও তবে পরিপূর্ণ পড়ে না, ক্ষমা ও মাগফিরাত এবং রহমতের এই আজিমুশশান মাসেও আল্লাহ পাক ও রাসূলে করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর সন্তুষ্টিমূলক কাজ থেকে দূরে রয়েছে। প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: আমার উম্মত অপমানিত ও অপদস্ত হবে না, যতক্ষণ না তারা মাহে রমযানের হক আদায় করতে থাকবে। আরয করা হলো: ইয়া রাসূলাল্লাহ صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ! রমযানের হক নষ্ট করাতে তাদের অপমানিত ও অপদস্ত হওয়া কী? ইরশাদ করলেন: এই মাসে এর হারাম কাজ করা। অতঃপর ইরশাদ করলেন: যে ব্যক্তি এই মাসে ব্যভিচার করলো অথবা মদ পান করলো, তবে আগামী রমযান পর্যন্ত আল্লাহ পাক এবং আসমানে যতো ফেরেশতা আছে সবাই তার উপর অভিশাপ করতে থাকবে, যদি সে ব্যক্তি পরবর্তী রযমান আসার পূর্বে মারা যায়, তবে তার