Faizan e Syeda Khatoon e Jannat

Book Name:Faizan e Syeda Khatoon e Jannat

তাতেই খুশি থাকে শায়খ সুলতান বাহু رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ আরও বলেন: যে সকল ব্যক্তিরা ফাকরের এই মহান স্তরে পৌঁছেছে, তাঁদের মধ্যে অন্যতম একটি নাম হলো খাতুনে জান্নাত হযরত ফাতেমাতুয যাহরা رَضِیَ اللهُ عَنْہَا এর

(রিসালা রুহী শরীফ, -১২)

 

হযরত ফাতেমাতুয যাহরা رَضِیَ اللهُ عَنْہَا এর

পরোপকার করার প্রেরণা

    ইমাম হাসান মুজতাবা رَضِیَ اللهُ عَنْہُ সায়্যিদা খাতুনে জান্নাত رَضِیَ اللهُ عَنْہَا এর বড় শাহজাদা, তিনি বলেন: আমি আমার সম্মানীতা আম্মাকে দেখেছি, রাতে মসজিদে বাইতের মেহরাবে (অর্থাৎ ঘরে নামায পড়ার নির্দিষ্ট স্থানে) নামায পড়তে থাকতেন, এমনকি ফজরের ওয়াক্ত হয়ে যেতো

(মাদারিজুন নবুয়ত, কিসমে পঞ্জম, যিকরে আউলাদে কিরাম, সায়্যিদা ফাতেমাতুয যাহরা, /৪৬১)

    ইমাম হাসান মুজতাবা رَضِیَ اللهُ عَنْہُ আরও বলেন: সম্মানীতা আম্মাজান رَضِیَ اللهُ عَنْہَا মুসলমান পুরুষ নারীদের জন্য অনেক দোয়া করতেন, কিন্তু নিজের জন্য কিছু চাইতেন না আমি আরয করলাম: আম্মাজান! কি কারণে আপনি নিজের জন্য দোয়া করেন না? বললেন: বৎস! اَلْجَوَارُ ثُمَّ الدَّار আগে প্রতিবেশি এরপর ঘর

(মাদারিজুন নবুয়ত, কিসমে পঞ্জম, যিকরে আউলাদে কিরাম, সায়্যিদা ফাতেমাতুয যাহরা, /৪৬১)

 

    سُبْحٰنَ الله! হে আশিকানে রাসূল! এই ঘটনা থেকে ২টি মাদানী ফুল প্রতীয়মান হলো:

(প্রথম মাদানী ফুল হলো যে, এই ঘটনার আলোকে হযরত খাতুনে জান্নাত رَضِیَ اللهُ عَنْہَا এর ফাকর এর অবস্থা দেখুন! * হযরত খাতুনে জান্নাত رَضِیَ اللهُ عَنْہَا এর ঘর মুবারক বাহ্যিক দৃষ্টিতে সাদাসিদে দেখা যেতো * তাঁর পোশাকে তালি দেয়া থাকতো * জান্নাতের সর্দার হয়েও নিজের চাক্কি নিজেই চালাতেন * ঘরের কাজকর্ম নিজেই করতেন * দিনের পর দিন পর্যন্ত ঘরে অনাহার থাকতো * দিনের পর দিন পর্যন্ত ক্ষুধা খেদমতে হাজিরি দিতো, এরপরও তিনি رَضِیَ اللهُ عَنْہَا সারারাত ইবাদত করতেন, সকল নামায আদায় করতেন কিন্তু নিজের জন্য কিছুই চাইতেন না, এই দোয়া