Faizan e Syeda Khatoon e Jannat

Book Name:Faizan e Syeda Khatoon e Jannat

শাহজাদা (-) ইমাম হাসান ইমামে হোসাইন رَضِیَ اللهُ عَنْہُمَا) এরই সদকা খাচ্ছে, তাঁদের সদকায় পৃথিবীর সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পাচ্ছে

 

    মূলত ফাকর সুফিয়ায়ে কিরামদের একটি পরিভাষা, এর অর্থ হলো: আল্লাহ পাক ব্যতীত প্রতিটি জিনিসের প্রতি অমুখাপেক্ষি হয়ে যাওয়া হযরত আবু বকর শিবলি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: যদি কারো দুনিয়ার সমস্ত দৌলত মিলে যায় আর সে একদিনেই তা সদকা খয়রাত করে দেয়, অতঃপর তার অন্তরে এই খেয়াল আসে যে, আহ! কিছু টাকা যদি নিজের জন্য রেখে দিতাম, তাহলে এমন ব্যক্তি ফাকরে সত্যবাদী নয়

 

    হযরত আবু আলী দাক্কাক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর খেদমতে একটি সত্যিকারের ফকির আসলো, তাঁর পরনে ছিলো চটের পোশাক, হযরত  আবু আলী দাক্কাক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর একজন শাগরেদ এমনিতেই মজা করতে গিয়ে সেই ফকিরকে বললো: এই পোশাকটি কত দিয়ে কিনেছেন? এখন শুনুন! প্রকৃত ফকির কে হয়ে থাকে, সেই ফকিরটি বললো: এই পোশাকটি আমি দুনিয়ার বিনিময়ে কিনেছি আর আমাকে বলা হয়েছে পরকালের বিনিময়ে এটা বিক্রি করে দিতে কিন্তু আমি সেটাকে বিক্রি করিনি উদ্দেশ্য হলো যে, এই পোশাকটি আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টির জন্য পরিধান করেছি, এখন এর বিনিময়ে দুনিয়া তো নয়, জান্নাতও মিলে গেলে তবুও রাজি হবো না, কেননা আমি জান্নাত সৃষ্টিকারী আল্লাহ পাককে চাই

(রিসালা কুশাইরিয়া, ৪৮০ পৃ:)

    এটা হলো প্রকৃত ফাকর, এই ফাকর যখন বান্দার নসিব হয়ে যায় তখন মুসলমানদের উপকার করার স্পৃহাও নিজে নিজে অন্তরে সৃষ্টি হয়ে যায় সায়্যিদায়ে কায়েনাত হযরত ফাতেমাতুয যাহরা رَضِیَ اللهُ عَنْہَا এই অর্থেই ফাকর অসাধারণ উৎকর্ষতা সম্পন্ন মহিলা ছিলেন

    সুলতানুল ফাকর হযরত শায়খ সুলতান বাহু رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: ফাকরের সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছে লোকফানাফিল্লাহহয়ে যায়, অতঃপর অবস্থা এরূপ হয় যে لَایَحْتَاجُ اِلیٰ رَبِّہٖ وَلَا اِلیٰ غَیْرِہٖ অর্থাৎ এরপর বান্দা নিজের প্রতিপালকের নিকট নিজের জন্য কিছু চায় না আর না তিনি ব্যতীত কারো কাছে কোন আশা রাখে বরং আল্লাহ পাক যেই অবস্থায় রাখেন