Book Name:Faizan e Syeda Khatoon e Jannat
করতেন না যে, মাওলা! ঘরের অভাব দূর করে দাও, উঁচু উঁচু দালান চাইতেন না, নতুন নতুন কাপড় চাইতেন না, অথচ আল্লাহ পাকের দরবারে তাঁর মকবুলিয়্যতের অবস্থা এমন যে, যদি তিনি শুধুমাত্র অন্তরে আশা করতেন তবে আল্লাহ পাক তাঁর আকাঙ্খার চেয়েও বেশি দান করতেন, কিন্তু তিনি চাইতেন না....কেনো? এজন্য যে, তাঁর স্বভাব ছিলো “আল্লাহ পাক যেই অবস্থায় রেখেছেন, সেই অবস্থায় খুশি থাকেন।”
এটাই হলো সেই মর্যাদা, যাকে প্রকৃত অর্থে ফাকর বলা হয়।
(২) অতঃপর এই ঘটনার মধ্যে আরও একটি মাদানী ফুল রয়েছে, দেখুন! সায়্যিদা ফাতেমা رَضِیَ اللهُ
عَنْہَا নিজের জন্য কিছু চাইতেন না কিন্তু এর এই অর্থ নয় যে, আল্লাহ পাকের নিকট চাইতেনই না, এরকম নয়, দোয়া করা তো ইবাদত, দোয়া অবশ্যই করতেন কিন্তু নিজের জন্য না, মুসলমানদের জন্য, নিজের আব্বাজান, রাসূলে আকরাম
صَلَّی اللهُ
عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর অসহায় উম্মতদের জন্য দোয়া করতেন। سُبْحٰنَ الله
অনেক সময় গরীব লোক আফসোস করে বলে যে, আহ! আল্লাহ পাক আমাকেও যদি সম্পদ দান করতেন তবে আমিও অপরকে সাহায্য করতাম, নেকী করতাম। এমন লোকদের জন্য এই ঘটনায় অনেক শিক্ষা রয়েছে। আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন:
وَ مِمَّا رَزَقۡنٰہُمۡ یُنۡفِقُوۡنَ ۙ﴿۳﴾
(পারা: ১, সূরা বাকারা, আয়াত: ৩)
কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: আর আমার দেয়া জীবিকা থেকে আমার পথে ব্যয় করে।
এতে “رِزْق (রিযিক)” শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে, ওলামায়ে কিরাম এই শব্দটি ব্যাপক হিসেবে নিয়েছেন, অর্থাৎ রিযিক শুধুমাত্র সম্পদকে বলা হয় না বরং আল্লাহ পাকের দেয়া প্রতিটি নেয়ামতই রিযিক এবং আল্লাহ পাকের দেয়া প্রতিটি নেয়ামত আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করা সদকা। (তাফসীরে নঈমী, পারা: ১, সূরা বাকারা, আয়াত: ৩, ১/১৩৭) উদাহরণ স্বরুপ * আল্লাহ পাক হাত প্রদান করেছেন, * হাত দ্বারা রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু সরিয়ে নেয়া সদকা * আল্লাহ পাক পা প্রদান করেছেন, * তা দিয়ে হেঁটে মুসলমান ভাইয়ের সাহায্যের জন্য এগিয়ে যাওয়া সদকা * আল্লাহ পাক জ্ঞান দান করেছেন, অন্যদেরকে ইলম শেখানো