Zoq e Ramzan Barqarar Rakhy

Book Name:Zoq e Ramzan Barqarar Rakhy

(পারা: ২৭, সূরা তুর, আয়াত: ১৫)          কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: তবে কি এটা যাদু? না তোমরা দেখতে পাচ্ছো না।

 

এরপর তিনি বললেন: সকলেই আল্লাহ পাকের দরবারে উপস্থিত হয়ে তাওবা করো! তাঁর এই প্রভাব সম্পন্ন বাণী শুনে উপস্থিত সকলে উচ্চ আওয়াজে চিৎকার চেঁচামেচি ও কান্না করতে লাগলো, এরই মধ্যে এক যুবক কান্নারত অবস্থায় দাঁড়িয়ে গেলো আর বলতে লাগলো: হে সায়্যিদি! (অর্থাৎ হে আমার আক্বা!) বলুন! আমার রোযা কি কবুল হয়েছে? রমযানের রাতে আমার ইবাদতের মাধ্যমে অতিবাহিত করাটা কবুল হওয়া ইবাদত গুজার কারীদের সাথে কি লিখা হবে? কেননা আমার মাধ্যমে অনেক গুনাহ সম্পাদিত হয়েছে, আমি তো আমার সারা জীবন অবাধ্যতার মধ্যে নষ্ট করে দিয়েছি, হায়! আমি আযাবের দিনের ব্যাপারে উদাসীন ছিলাম, হযরত মানসুর বিন আম্মার رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: হে যুবক! আল্লাহ পাকের দরবারে তাওবা করো, কেননা তিনি কুরআনে করীমে ইরশাদ করেছেন:

وَ اِنِّیْ لَغَفَّارٌ لِّمَنْ تَابَ

(পারা: ১৬, সূরা ত্বহা, আয়াত: ৮২)    কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: আর নিঃসন্দেহে আমি খুবই  ক্ষমাকারী হই, যে তাওবা করেছে।

 

          অতঃপর হযরত মানসুর বিন আম্মার رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ ক্বারী সাহেবকে এই আয়াতটি পাঠ করার হুকুম দিলেন:

وَ ھُوَ الَّذِیْ یَقْبَلُ  التَّوْبَۃَ  عَنْ عِبَادِہٖ وَ یَعْفُوْا عَنِ السَّیِّاٰتِ
وَ  یَعْلَمُ مَا تَفْعَلُوْنَ

(পারা: ২৫, সূরা শূরা, আয়াত: ২৫)              কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: আর তিনিই হন, যিনি আপন বান্দাদের তাওবা কবুল করেন ও পাপসমূহ ক্ষমা করেন,এবং জানেন যা কিছু তোমারা করো।

 

        ঐ যুবক এই আয়াতটি শুনে জোরে একটি চিৎকার দিলো আর বলল: আমার সৌভাগ্য যে, আল্লাহ পাকের দয়া আমার নিকট পর্যন্ত পৌঁছতে রইলো কিন্তু তারপরও আমি নাফরমানী বৃদ্ধি করতে রইলাম এবং ভুল রাস্তা থেকে ফিরে আসলাম না। অতিবাহিত করা স্থানে কি অন্য কোন সময় হবে যেটাতে আল্লাহ পাকের আনুগত্য করবো? অতঃপর পুনরায় চিৎকার দিলো এবং তার রূহ মাটির দেহ থেকে আলাদা হয়ে গেলো (অর্থাৎ সেই যুবক ইন্তেকাল করলো)

 

        আল্লামা হারিফীশ رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এই হৃদয়গ্রাহী ঘটনা লিখার পর বলেন: হে আমার ভাইয়েরা! মাহে রমযানের বিচ্ছেদে কেনো কান্না করবো না..!! ক্ষমা ও মার্জনার এই মুবারক মাস বিদায় নিচ্ছে, এটার উপর কেনো আফসোস করবো না! এই মাসের বিদায়ে কেনো চিন্তিত হবেন না কেননা এটাতে গুনাহগারদেরকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি নসীব হয়ে থাকে।

(আর রাওজুল ফায়িক, ৪৫ পৃষ্ঠা)

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد