Zoq e Ramzan Barqarar Rakhy

Book Name:Zoq e Ramzan Barqarar Rakhy

জান্নাতে প্রবেশ করবো। ইরশাদ করলেন: রোযা রাখাকে নিজের জন্য আবশ্যক করে নাও কেননা সেটার মতো কোন আমল নেই। বর্ণনাকারী বলেন: হযরত আবু উমামা رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর ঘরে দিনের সময় মেহমান আসা ছাড়া কখনো ধোঁয়া দেখা যায়নি (অর্থাৎ তিনি দিনে খাবারই খেতেন না বরং রোযা রাখতেন) (সহীহ ইবনে হিব্বান, খন্ড: ৫, পৃষ্ঠা: ১৭৯, হাদীস: ৩৪১৬)

 

 

শাওয়ালের ছয় রোযা রাখার ২টি ফযীলত

নবজাতক সন্তানের মত গুনাহ থেকে পবিত্র

        (১) যে রমযানের রোযা রাখলো অতঃপর ৬দিন শাওয়াল মাসের রোযা রাখলো তবে (সে) গুনাহ থেকে এমনভাবে বের হয়ে গেলো যেন সে আজই মায়ের পেট থেকে জন্ম নিলো।

(মাজমাউয যাওয়ায়িদ, খন্ড: ৩, পৃষ্ঠা: ৪২৫, হাদীস: ৫১০২)

 

(সে যেন) জীবনভর রোযা রাখলো

        (২) যে ব্যক্তি রমযানের রোযা রাখলো অতঃপর সেগুলোর পর ৬দিন শাওয়ালের রোযা রাখলো, তবে (সেগুলো) এমন যেন সে দাহর (অর্থাৎ সারা বছর) রোযা রাখলো। (মুসলিম, পৃষ্ঠা: ৪২৪, হাদীস: ১১৬৪)

 

কুরআন বুঝার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখুন!

        পারা ২, সূরা বাকারা, আয়াত: ১৮৫ তে ইরশাদ হচ্ছে:

شَہْرُ رَمَضَانَ الَّذِیْۤ اُنْزِلَ فِیْہِ الْقُرْاٰنُ ھُدًی لِّلنَّاسِ وَ بَیِّنٰتٍ مِّنَ الْہُدٰی وَ الْفُرْقَانِ

(পারা: ২, সূরা বাকারা, আয়াত: ১৮৫)        কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: রমযানের মাস, যাতে কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে, মানুষের জন্য হিদায়ত ও পথ নির্দেশ এবং মীমাংসার সুস্পষ্ট বাণীসমূহ।

 

        ওলামায়ে কেরাম বলেন: এই আয়াতে করীমার মধ্যে রমযানুল মুবারকের রোযা ফরয হওয়ার হিকমত বর্ণনা করা হয়েছে, সেই হিকমতটি হলো রমযান মাস হলো ঐ মাস, যেটাতে কুরআনে করীম অবতীর্ণ করা হয়েছে, এখন আল্লাহ পাক এই মুবারক মাসের রোযা ফরয করে দিয়েছেন! এজন্য রোযা রাখার, ক্ষুধা পিপাসা সহ্য করার বরকতে বিবেক সতেজ হয়ে থাকে, সুতরাং কুরআন নাযিলের মাসে রোযা ফরয করা হয়েছে যাতে মানুষ রোযা রাখে, তাদের অনুধাবন শক্তি মযবুত হয় আর সেটার বরকতে কুরআন বুঝা সহজ হয়ে যায়।

 

        প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! প্রতীয়মান হলো রমযানুল মুবারকের একটি বড় উদ্দেশ্য হলো কুরআনে করীমের সাথে সম্পৃক্ততা সৃষ্টি করা, কুরআন মজিদ পাঠ করা, সেটাকে অনুধাবন করার খুব বেশি বেশি চেষ্টা করা। এজন্য যদি আমরা রমযানের স্পৃহা অব্যাহত রাখতে চায়  তবে আমাদের উপর আবশ্যক যে আমরা মাহে রমযানের পরও যেন কুরআনে করীম পাঠ করি, সেটাকে বুঝা এবং সেটার সাথে নিজের সম্পর্ক মযবুত রাখি। যদি আমরা রমযানের পরও নিজের সম্পর্ক মযবুত রাখতে সফল হয়ে যায় তবে আল্লাহ পাকের দয়া ও অনুগ্রহে আশা করা যায় যে اِنْ شَآءَ الله রমযানের স্পৃহাও অব্যাহত থাকবে, নেকীর সামর্থ্যও মিলতে থাকবে, অন্তরও