Zoq e Ramzan Barqarar Rakhy

Book Name:Zoq e Ramzan Barqarar Rakhy

অবশিষ্ট সময়গুলোকে গণিমত মনে করুন...!

        হে আশিকানে রাসূল! আল্লাহ পাক আমাদেরকেও মাহে রমযানের ভালোবাসা এবং সেটার দুঃখ নসীব করুক। রমযানুল মুবারকের এখন মাত্র আর কিছু দিন বাকী রয়েছে, আহ! এই মোবারক সময়গুলো খুবই দ্রুত শেষ হয়ে যাবে, মাহে রমযান আমাদেরকে داغِ مُفارقَت (অর্থাৎ বিচ্ছেদের দুঃখ) দিয়ে বিদায় নিবে, এজন্য ঐ মোবারক সময়গুলোকে গণিমত মনে করে খুব তাওবা ও ইস্তিগফার করে নিন, যতো বেশি সম্ভব নেকী করে নিন কেননা আমরা জানি না যে, আমাদের জীবনে দ্বিতীয়বার রমযান আসবে কি আসবে না, সেই ব্যাপারে আমাদের কোন নিশ্চয়তা নেই।

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

কৃতজ্ঞ পাথর

        ইমাম আবুল কাসিম কুশাইরী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ লিখেন: আল্লাহ পাকের একজন নবী عَلَیْہِ السَّلَام কোথাও যাচ্ছিলেন, তিনি রাস্তায় একটি ছোট পাথর দেখলেন, সেটা থেকে ধারাবাহিক ভাবে পানি বের হচ্ছিলো, বড় পাহাড় থেকে ঝর্ণা প্রবাহিত হওয়াটা স্বাভাবিক বিষয় কিন্তু ছোট একটি পাথর থেকে পানি বের হওয়া ও ধারাবাহিক ভাবে বের হতে থাকাটা অবাক করার মতো, আল্লাহ পাকের নবী عَلَیْہِ السَّلَام পাথর থেকে পানি বের হওয়াটা দেখে আশ্চার্য হলেন তখন আল্লাহ পাক ঐ পাথরকে কথা বলার শক্তি দান করলেন, পাথর বলল: হে আল্লাহ পাকের নবী عَلَیْہِ السَّلَام যখন থেকে আমি জানতে পারলাম যে, জাহান্নামের ইন্ধন হবে মানুষ এবং পাথর, তখন থেকে আমি আল্লাহ পাকের ভয়ে কান্না করছি, আপনি আমার থেকে যেই পানি বের হতে দেখছেন, এগুলো পানি নয় বরং আমার চোখের অশ্রু। পাথরের এই ব্যথা ভরা কথা শুনে আল্লাহ পাকের নবী عَلَیْہِ السَّلَام এর দয়া আসলো, তিনি হাত উঠালেন, আল্লাহ পাকের দরবারে দোয়া করলেন: হে আল্লাহ পাক! এই পাথরটিকে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দান করো। আল্লাহ পাক তাঁর দোয়া কবুল করলেন এবং তৎক্ষণাৎ অহী প্রেরণ করলেন আমি এই পাথরটিকে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্ত করে দিলাম। আল্লাহ পাকের নবী عَلَیْہِ السَّلَام পাথরকে এই সুসংবাদ শুনালেন এবং সামনে অগ্রসর হলেন, যখন পুনরায় ফিরে আসলেন তখন দেখলেন, পাথর থেকে এখনও পানি প্রবাহিত হচ্ছে, আল্লাহ পাকের নবী عَلَیْہِ السَّلَام জিজ্ঞাসা করলেন: তোমার তো জাহান্নাম থেকে মুক্তির সুসংবার মিলে গেছে, এখন কি হলো? এখন কেনো কান্না করছো? পাথর বলল: ذٰلِکَ کَانَ بُکَاءَ الْخَوْفِ وَ ہٰذَا بُکَاءُ الشُّکْرِ অর্থাৎ পূর্বে আল্লাহর ভয়ে কান্না করছিলাম, এখন কৃতজ্ঞতার অশ্রু প্রবাহিত করছি। (রিসালা কুশাইরিয়া, ২১৩ পৃষ্ঠা)

 

        প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আল্লাহ পাকের দয়া ও অনুগ্রহে আমাদেরও রমযানুল করীম নসীব হয়েছে, যদিওবা আমাদের মধ্যে কেউ নিশ্চিতভাবে বলতে পারবে না যে মাগফিরাত হয়ে গেছে, অবশ্যই আমাদের মাগফিরাতের অনেক বড় মাধ্যম হয়েছে * মাহে রমযানের প্রতিটি মুহূর্ত বরকত সম্পন্ন * রমযানুল মুবারকে প্রতিদিন ইফতারের সময় ১০ লক্ষ এমন