Zoq e Ramzan Barqarar Rakhy

Book Name:Zoq e Ramzan Barqarar Rakhy

আল বিদা আল বিদা মাহে রমযান...!!

        প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! কিছু দিন পূর্বেরই কথা, আশিকানে রমযান অপেক্ষায় ছিলো যে, রমযানুল মুবারক আগমন করবে * রমযানুল মুবারকের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছিলো * প্রস্তুতকারী নিজের নেক আমলের রুটিন প্রস্তুত করছিলো * রমযানুল মোবারক কিভাবে অতিবাহিত করতে হবে? এটার জন্য আগাম লক্ষ্য নির্ধারণ করা হচ্ছিলো * আশিকানে রমযানের মনে ব্যাকুলতা ছিলো * অতঃপর আল্লাহ পাকের দয়ায়, তাঁর অনুগ্রহে একটি দিন আসলো * আত্মাকে শীতলকারী একটি আওয়াজ কানে আসলো: মুবারক হোক! মাহে রমযানের চাঁদ দেখা গিয়েছে * এই সংবাদটি শুনতেই হৃদয় খুশিতে মেতে উঠলো
* মসজিদ সমূহে বাহার এসে গেলো * তিলাওয়াতের আগ্রহী ব্যক্তিরা তিলাওয়াতে ব্যস্ত হয়ে গেলো * সাহরী ও ইফতারের শোভা বয়তে লাগলো * দেখতে দেখতেই রহমতের দশদিন তার বরকত ছড়িয়ে দিয়ে তাশরিফ আনলো * এরপর মাগফিরাতের দশদিন শুরু হলো
* সৌভাগ্যবানদের রহমান ও রহীম মাওলার দরবার থেকে ক্ষমার উপহার নসীব হলো * রমযানুল মুবারকের গুরুত্ব প্রদানকারীরা মাগফিরাতের দশদিনের বরকত অর্জন করেছে * অতঃপর দ্রুত মাগফিরাতের দশদিনও বিদায় নিলো * এর সাথে সাথে জাহান্নাম থেকে মুক্তির দশদিন এসে গেলো * ইতিকাফকারীরা উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে মসজিদের দিকে চলে গেলো * ইতিকাফের উজ্জ্বলতা ছড়িয়ে পড়লো * হায়! এখন মাহে রমযানের শেষ দশদিনও সমাপ্তির দিকে অগ্রসর হচ্ছে, হায়! অতিশীঘ্রই কিছু দিনের মধ্যেই মাহে রমযান আমাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে নিবে।

 

বিদায়ী জুমার বয়ানে প্রাণ দিয়ে দিলো

        এক বুযুর্গ رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: আমি মাহে রমযানের বিদায়ী জুমার দিন হযরত মানসুর বিন আম্মার رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর মাহফিলে উপস্থিত হলাম, তিনি রমযান শরীফের রোযার ফযীলত, রাতে ইবাদত ও একনিষ্ঠতার সাথে ইবাদতকারীর জন্য যেই প্রতিদান রাখা হয়েছে সেই ব্যাপারে বলছিলেন, এ রকম মনে হচ্ছিলো যেন তাঁর বয়ানের প্রভাব কঠিন পাথর থেকে আগুন বের হচ্ছে কিন্তু তাঁর মাহফিলে না কেউ কথা বলেছে, আর না কেউ নিজের গুনাহের উপর তিরস্কার করেছে, যখন তিনি মাহফিলের এই অবস্থা দেখলেন তখন বললেন: হে লোকেরা! নিজের গুনাহের ব্যাপারে অবগত হয়ে কোন ত্রুন্দনকারী কি নেই? * এটা কি তাওবা ইস্তিগফারের মাস নয়? এটা কি ক্ষমা ও মাগফিরাত (অর্থাৎ ক্ষমা পাওয়ার ও ক্ষমা হয়ে যাওয়ার) মাস নয়? * এই মোবারক মাসে কি জান্নাতের দরজা খুলে দেয়া হয় না? * এই মাসে কি জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেয়া হয়না? * এই মাসে কি শয়তানকে বন্দী  করা হয়না? রমযানের এই মাসে কি নিয়ামত ও দয়ার বৃষ্টি হয়না? * এই বরকত সম্পন্ন মাসে কি আল্লাহ পাক তাজাল্লী দেন না? * এই মোবারক মাসে কি প্রতি রাতে ইফতারের সময় ১০ লক্ষ গুনাহগারকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেয়া হয়না?
* তোমাদের কি হয়েছে এই মহান সাওয়াব থেকে নিজেদেরকে বঞ্চিত রাখছো এবং গুনাহের পোশাক পরিধান করে বসে আছো (অর্থাৎ আমল করছো না আর গুনাহের মধ্যে নিমজ্জিত রয়েছো।) আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন:

اَفَسِحْرٌ  ھٰذَاۤ   اَمْ  اَنْتُمْ لَا تُبْصِرُوْنَ