Zoq e Ramzan Barqarar Rakhy

Book Name:Zoq e Ramzan Barqarar Rakhy

গুনাহগারদের ক্ষমা হয়ে থাকে, যাদের উপর জাহান্নাম ওয়াজিব হয়ে গেছে * আর জুমার দিন তো প্রতিটি মুহূর্তে ১০ লাখ লোককে ক্ষমা করে দেয়া হয়। হায়! আমারাও যেন সেই ক্ষমা প্রাপ্তদের অন্তর্ভূক্ত হয়ে যায়।

        আল্লাহ পাক আমাদেরকে ক্ষমা ও মাগফিরাতের এমন মাধ্যম দান করেছেন, আমাদের উপর আবশ্যক যে মুখ দিয়েও সেটার শোকরিয়া আদায় করা এবং সাথে সাথে আমলী ভাবেও শুকরিয়া আদায়ের জন্য গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা, মাহে রমযান এখন কিছু দিনের মেহমান, খুবই দ্রুত বিদায় নিবে, রমযানের আসল কৃতজ্ঞতা এটাই যে আমরা যেন মাহে রমযানের পরও ইবাদতের এরকম স্পৃহা অব্যাহত রাখি এবং গুনাহ থেকে বেঁচে থেকে নেকীভরা জীবন অতিবাহিত করি,আল্লাহ পাক আমাদের সামর্থ্য দান করুক। اٰمین بِجاہِ خاتَمِْالنَّبِیّٖن صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم

 

কৃতজ্ঞতা কাকে বলে

        ইমামুত তায়িফা (অর্থাৎ আউলিয়াদের ইমাম) হযরত জুনাঈদ বাগদাদী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর বয়স মুবারক ছিলো ৭ বছর, তিনি হযরত সিররি সাকতী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর খিদমতে থাকতেন, একদিন হযরত সিররি সাকতী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ উপস্থিত ছিলেন, অন্যান্য লোকও উপস্থিত ছিলো, কৃতজ্ঞতার ব্যাপারে আলোচনা হচ্ছিলো, হযরত সিরসি সাকতী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ হযরত জুনাঈদ বাগদাদী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ কে বললেন: পুত্র! তুমি বলো! কৃতজ্ঞতা কি? হযরত জুনাঈদ বাগদাদী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বললেন: اَنْ لَّا تَعْصِی اللهَ بِنِعْمَۃٍ অর্থাৎ নিয়ামতের বদলায় আল্লাহ পাকের নাফরমানী না করা, এটাই হলো কৃতজ্ঞতা। (রিসালা কুশাইরিয়া, ২১২ পৃষ্ঠা)

 

        বুঝা গেলা আসল কৃতজ্ঞতা তো এটাই যে বান্দা নিয়ামত প্রাপ্ত হলে তখন গুনাহে লিপ্ত হওয়ার পরিবর্তে আল্লাহ পাকের অনুগত হবে, আল্লাহ পাক আমাদেরকে মাহে রমযানের নিয়ামতের উপর খুব বেশি বেশি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার, রমযানের পরও রমযানের স্পৃহা অব্যাহত রাখার এবং নেকী ভরা জীবন অতিবাহিত করার সামর্থ্য দান করুক।

اٰمین بِجاہِ خاتَمِْالنَّبِیّٖن صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم

 

 নেককার লোকদের একটি দোয়া

        আল্লাহ পাক কুরআনুল করীমে বুদ্ধিমান ও নেককার লোকদের একটি দোয়ার কথা বর্ণনা করেছেন, ইরশাদ হচ্ছে:

رَبَّنَا لَا تُزِغْ قُلُوْبَنَا بَعْدَ  اِذْ ہَدَیْتَنَا وَ ھَبْ لَنَا مِنْ لَّدُنْکَ رَحْمَۃً ۚ اِنَّکَ اَنْتَ الْوَھَّابُ

(পারা: ৩, সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ৮)      কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: হে আমার প্রতিপালক! আমার অন্তর বত্রু করো না এরপর যে, তুমি হেদায়ত দান করেছো এবং আমাদেরকে তোমার নিকট থেকে রহমত দান করো, নিশ্চয় তুমি হও মহান দাতা।

 

        اَلْحَمْدُ لِلّٰه রমযান মাসে অন্তর হেদায়ত পেয়ে থাকে * নামাযীদের সংখ্যা বৃদ্ধি হয় * তিলাওয়াতকারীদের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়ে থাকে * তারাবীহ * ইতিকাফ * সদকা * খয়রাত *