Zoq e Ramzan Barqarar Rakhy

Book Name:Zoq e Ramzan Barqarar Rakhy

একটি ভুল শব্দের ক্ষতি

        আমাদের প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: লোক (নেকী করতে গিয়ে) জান্নাতের নিকটবর্তী হয়ে যায়, খুবই নিকটবর্তী হয়ে যায়, এই পর্যন্ত যে তার এবং জান্নাতের মধ্যবর্তী এক গজ দূরত্ব রয়ে যায়, অতঃপর ঐ বান্দা তার মুখ দিয়ে এমন একটি শব্দ বের করে, যেটার কারণে তাকে জান্নাত থেকে দূর করে দেয়া হয়।

(মুসনদে ইমাম আহমদ, খন্ড: ৪৬৯, হাদীস: ২৩৮৪৩)

 

        প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আপনারা শুনলেন তো! মুখ কেমন ভয়ংকর জিনিস, আল্লাহ পাক আমাদেরকে মুখের হেফাযত নসীব করুক, নফসে আম্মারার সংশোধনের জন্য প্রথম হাতিয়ার যেটা প্রয়োজন সেটা হলো: নিরবতার হাতিয়ার, নিরবতা অবলম্বন করুন, মুখের সঠিক ব্যবহার করুন, বলার পূর্বে চিন্তা করার অভ্যাস করুন, اِنْ شَآءَ الله নফসে আম্মারার সংশোধন হবে এবং রমযানের স্পৃহা অব্যাহত থাকবে।

 

ক্ষুধার ফযীলত

        প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! নফসে আম্মারার সংশোধনের জন্য দ্বিতীয় হাতিয়ার হলো: شمشیرِ (অর্থাৎ ক্ষুধার তলোওয়ার। ইমাম গাযালি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: اَلْجُوْعُ رَاْسُ مَالِنَا অর্থাৎ ক্ষুধা হলো আমাদের মূলধন, উদ্দেশ্য এঁটা যে, আমাদের আউলিয়ায়ে কেরামদের যেই মর্যাদা, নিরাপত্তা, ইবাদতে স্বাদ ও কল্যাণকর ইলম অর্জিত হতো, এসবকিছু আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টির জন্য ক্ষুধা সহ্য করার কারণেই অর্জন হতো(মিনহাজুল আবেদীন, ২২৯ পৃষ্ঠা) ক্ষুধা হলো আল্লাহ পাকের ভান্ডারসমূহ থেকে একটি ভান্ডার, যেটা আল্লাহ পাক শুধুমাত্র তাঁর পছন্দনীয় বান্দাদেরকেই দান করে থাকেন।

(ইহয়াউল ঊলুম, খন্ড: ৩, পৃষ্ঠা: ১০৭)

 

        হে আশিকানে রাসূল! যেমনিভাবে আমরা রমযান মাসের রোযা পালন করে দিনভর ক্ষুধা পিপাসা সহ্য করে থাকি, রমযানের স্পৃহা অব্যাহত রাখার জন্য রমযান মাসের পরও ক্ষুধা পিপাসা সহ্য করি তবে  اِنْ شَآءَ الله নফসে আম্মারা দূর্বল হয়ে পড়বে এবং তাকওয়া নসীব হবে।

 

নফল রোযার ফযীলত ও উপকারীতা

        ক্ষুধার বরকত অর্জন করার সর্বোত্তম মাধ্যম হলো রোযা, প্রচেষ্টা চালিয়ে রমযান মাসের পরও নফল রোযা রাখার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখা যায় তবে اِنْ شَآءَ الله সারা বছর রমযানের স্পৃহা অব্যাহত থাকবে।

 

নফল রোযার ২টি ফযীলত

        (১) যে আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টির জন্য একদিন নফল রোযা রাখলো তবে আল্লাহ পাক তার ও জাহান্নামের মাঝখানে একটি দ্রুতগামী বাহনের ৫০ বছরের দূরত্ব পর্যন্ত দূরে করে দিবেন। (কানযুল উমাল, অংশ: ৮, পৃষ্ঠা: ২৫৫, হাদীস: ২৪১৪৯) (২) হযরত আবু উমামা رَضِیَ اللهُ عَنْہُ বলেন: আমি আরজ করলাম: ইয়া রাসূলাল্লাহ صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم আমাকে এমন আমলের কথা বলুন যেটার কারণে