Book Name:Hazrat Talha Bin Ubaid Ullah
সমূহের সমাধান করার জন্য শরয়ী গবেষণা বিভাগও প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। যেটাতে দাওয়াতে ইসলামীর সাথে সম্পৃক্ত উলামা ও মুফতিগণ অন্তর্ভূক্ত। আপনার নিকট মাদানী অনুরোধ যে, শরয়ী মাসআলাতে দিক নির্দেশনার জন্য দারুল ইফতা আহলে সুন্নাতের সাথে অবশ্যই যোগাযোগ করুন।
হযরত তালহা বিন উবাইদুল্লাহ رَضِیَ اللهُ عَنْہُ কে ঐসব প্রাণ উৎসর্গকারী সাহাবীগণের মধ্যে গণ্য করা হয় যারা নিজের প্রাণ ধন-সম্পদ সব কিছু আল্লাহ পাকের পথে উৎসর্গ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন। তিনি رَضِیَ اللهُ عَنْہُ ইসলামের মর্যাদা সমুন্নত করার জন্য অনেক জায়গায় বীরত্বের নৈপূন্যতা প্রদর্শন করেছেন এবং নিজের প্রাণের পরোওয়া না করে নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর হিফাযতের উদ্দেশ্যে কাফেরদের সাথে মুকাবেলা করেছেন।তাঁর সাহসিকতার আলোচনা করতে গিয়ে আমিরুল মুমিনীন হযরত আবু বকর সিদ্দীক رَضِیَ اللهُ عَنْہُ বলেন: উহুদ যুদ্ধে যখন আমরা হযরত তালহা বিন উবাইদুল্লাহ رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর দিকে তাকায়, তখন আমরা দেখলাম, হুযুর পাক صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর হিফাযত করতে গিয়ে তার পবিত্র শরীরে সত্তরটি (৭০) টিরও বেশি ছোট বড় আঘাত লেগেছে আর তার আঙ্গুলও কেটে গিয়েছিলো। (মারেফাতুস সাহাবা লিবনে নাঈম, ১/ ১১৬, হাদীস: ৩৬৯) তার বীরত্ব ও সাহসিকতা দেখে নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: তালহার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে গেলো। (তিরমিযী, ৫/ ৪১২)
তিনি رَضِیَ اللهُ عَنْہُ অনেক যুদ্ধে নিজ বীরত্ব ও সাহসিকতা প্রদর্শন করেছেন। আর অবশেষে উষ্ট্রীর যুদ্ধের সময় এগারো (১১) জমাদিউস সানি ৩৬ হিজরী (বৃহস্পতিবার) মরওয়ান বিন হেকম তাঁর পায়ে একটি তীর নিক্ষেপ করলো যার ফলে রক্তনালীর রগ মারাত্নকভাবে কেটে গেলো, যখন তাঁর মুখ বন্দ করতো তখন পা ফুলে যেতো আর যদি ছেড়ে দিতো তখন অধিকহারে রক্ত প্রবাহিত হতো। অতঃপর তিনি رَضِیَ اللهُ عَنْہُ বললেন: এটাকে এ অবস্থাতেই ছেড়ে দিন, এটা আল্লাহ পাকের তীরের মধ্যে হতে একটি তীর, অর্থাৎ আমার শাহাদাত এর সাথেই নির্ধারিত, অতঃপর এর কারণেই ৬০ বা ৬৪ বছর বয়সে তিনি رَضِیَ اللهُ عَنْہُ শাহাদাত বরণ করেন।
(ইস্তিয়াব ফি মারিফাতুস সাহাব, ২য় খন্ড, ৩২০ পৃষ্ঠা)