Shair e Khuda Ka Zuhad

Book Name:Shair e Khuda Ka Zuhad

বুঝানোর অনন্য পন্থা

          আলা হযরত رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ 'র প্রতিবেশী একজন সৈয়্যদ সাহেব ছিলেন। তিনি প্রায়ই সায়্যিদি আলা হযরত رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ 'র সাথে সাক্ষাৎ করতে আসতেন এবং কথায় কথায় নিজের অভাব অনটন ও দারিদ্রতার ব্যাপারে অভিযোগ করতেন। প্রতিদিনের ন্যায় আবারও একদিন তিনি আলা হযরত رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ -এর নিকটে এলেন এবং ভারাক্রান্ত হৃদয়ে সেই অভাব-অনটনের ব্যাপারে অভিযোগ করতে আরম্ভ করেন। সায়্যিদি আলা হযরত رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ-এর বুঝানোর ধরনের প্রতি শত মারহাবা!! তিনি সৈয়্যদ সাহেবকে কৌশলে বুঝিয়ে বলেন: সাহেবজাদা, বলুন তো, কেউ যদি কোনো নারীকে তালাক দিয়ে দেয়, সেই নারীকে কি তাঁর ছেলের জন্য বৈধ হতে পারে? সৈয়্যদ সাহেব বললেন: না। অতঃপর আলা হযরত رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: একদা আপনার সম্মানিত দাদা, মুসলিম জাহানের চতুর্থ খলিফা, হযরত আলীউল মুরতাদ্বা, শেরে খোদা رَضِیَ اللهُ عَنْہُ নির্জনে স্বীয় মুখের উপর হাত বুলিয়ে বলেন: হে দুনিয়া, অন্য কাউকে ধোঁকা দাও, আমি তোমাকে সেই তালাক প্রদান করছি যার পর প্রত্যাবর্তনের (দ্বিতীয়বার মীমাংসা করার) কোনো সুযোগ নেই। অতঃপর তিনি  رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: শাহজাদা হুজুর, এই পবিত্র বাণীর পরও কি সৈয়্যদ বংশের শাহজাদাদের অভাব-অনটন ও দরিদ্রতায় জর্জরিত হওয়া অদ্ভুত কোনো ব্যাপার? সৈয়্যদ সাহেব বলেন: আল্লাহ পাকের শপথ, আপনার এই কথাগুলো আমাকে মানসিক শান্তি দিয়েছে। اَلْحَمْدُ لِلّٰه! এরপর শাহজাদা আর কখনো তাঁর দারিদ্র্যতার ব্যাপারে অভিযোগ করতে আসেননি। (মালফুযাতে আলা হযরত, ১২৭: পৃষ্ঠা)

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা, উক্ত ঘটনা থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার রয়েছে। সর্বপোরি আমাদের জন্য শিক্ষণীয় বিষয় হলো: সায়্যিদি আলা হযরত ইমাম আহলে সুন্নাত رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বুঝানোর অসাধারণ পদ্ধতি যে, তিনি লোকদের কীভাবে বুঝাতেন। সৈয়্যদ সাহেব তাঁর দারিদ্রতার অভিযোগ করতেন, এক পর্যায়ে আলা হযরত رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ অত্যন্ত চমৎকারভাবে তাঁকে বুঝিয়ে দিলেন। এতে করে সৈয়্যদ সাহেবের সম্মানও বহাল রইলো এবং তাঁর সংশোধনও হয়ে গেল।

          সুতরাং আমাদেরও উচিত কোমল সুরে অত্যন্ত কৌশলে নেকীর দাওয়াত প্রদান করা। কখন, কোথায়, কী কথা বলতে হবে, কাকে কীভাবে বোঝাতে হবে, তা চিন্তা-ভাবনা করে বলা। আর এই বিষয়গুলো আমরা শিখেতে পারি শায়খে তরিকত, আমীরে আহলে সুন্নাত হযরত আল্লামা মাওলানা মুহাম্মাদ ইলইয়াস আত্তার কাদেরী دَامَتْ بَرَکَاتُہُمُ الْعَالِیَہ -এর লিখিত গ্রন্থ "নেকীর দাওয়াত" থেকে। এতে রয়েছে নেকীর দাওয়াত দেয়ার ফযিলত, নেকীর দাওয়াত বর্জনের ক্ষতি সমূহ ও নেকীর দাওয়াত কীভাবে প্রদান করতে হবে। উক্ত কিতাবে এ সকল বিষয়াদি ছাড়াও আরও অসংখ্য তথ্য সম্বলিত বিষয় রয়েছে। সুতরাং এই গ্রন্থটি অবশ্যই আমাদের পড়া উচিত। اِنْ