Book Name:Shair e Khuda Ka Zuhad

সাহাবীদের মধ্যে সর্বাধিক পরহেযগার

          মাওলা আলী শেরে খোদা رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর সুমাহন ও প্রশংসিত বৈশিষ্ট্যসমূহের মধ্যে অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য হলো: তিনি অত্যন্ত  পরহেযগার ও দুনিয়া বিমুখ ছিলেন। যুগের শ্রেষ্ঠ ও মহান মুহাদ্দিস হযরত সুফিয়ান বিন উয়াইনা رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: সাহাবায়ে কিরাম عَلَیْہِمُ الرِّضْوَان -এর মধ্যে সর্বাধিক পরহেযগার ছিলেন আমীরুল মুমিনীন হযরত আলীউল মুরতাদ্বা رَضِیَ اللهُ عَنْہُ(ইহইয়াউল উলুমুদ্দীন, ৪/২৯০)

 

হযরত আলী رَضِیَ اللهُ عَنْہُর সৌন্দর্যের পোশাক ছিল পরহেযগারিতা

          সাহাবীয়ে রাসূল হযরত আম্মার বিন ইয়াসির رَضِیَ اللهُ عَنْہُ থেকে বর্ণিত: আল্লাহর সর্বশেষ নবী, রাসূলে আরবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم একদিন হযরত মওলা আলী رَضِیَ اللهُ عَنْہُ-কে ডেকে বললেন: হে আলী, আল্লাহ পাক তোমাকে এমন সৌন্দর্য্যে সুসজ্জিত করেছেন যে, এর চেয়ে পছন্দনীয় সৌন্দর্যে আর কাউকে তিনি সুসজ্জিত করেননি। হ্যাঁ, এটাই হলো আল্লাহ পাকের নেককার বান্দাদের সৌন্দর্য অর্থাৎ দুনিয়ার প্রতি অনাসক্ততা। কাজেই তোমার সাথে দুনিয়ার কোনো সম্পর্ক নেই, আর না তোমারও তার সাথে কোনো সম্পর্ক আছে। (হে আলী) আল্লাহ পাক তোমাকে গরিবদের প্রতি ভালবাসা দান করেছেন। (হিলয়াতুল আউলিয়া ১/১১৩, হাদিস: ২২৩)

 

পরহেযগারিতাও একটি সৌন্দর্য

          سُبْحَانَ الله! প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা, উক্ত পবিত্র হাদিসে পাক থেকে জানা গেলো পরহেযগারিতা হলো এক ধরনের সৌন্দর্য। আর সেই সৌন্দর্য নামক সুন্দর বৈশিষ্ট্যটি আল্লাহ পাকের নেককার বান্দাদের বৈশিষ্ট্য যা আল্লাহ পাক পছন্দ করেন। আর মাওলা আলী শেরে খোদা رَضِیَ اللهُ عَنْہُ 'র মর্যাদার প্রতি উৎসর্গ হোন, যাঁকে আল্লাহ পাক এই সৌন্দর্যের পোশাক পড়িয়ে সুসজ্জিত করেছেন।

          হায়! আমরাও যদি দুনিয়া বিমুখ হতে পারতাম। হায়, আমাদের হৃদয় থেকেও যদি দুনিয়ার মোহ চলে যেতে। আমাদের অন্তরে যদি আল্লাহ ও রাসূলের ভালবাসা এমনভাবে বদ্ধমূল হয়ে যেত, যাতে অন্য কিছুর জন্য কোনো জায়গায় না থাকতো।

 

বান্দাকে দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তির নির্দেশ

          আল্লাহ পাক পবিত্র কুরআনে বলেন:

لَا تَمُدَّنَّ عَیْنَیْکَ اِلٰی مَا مَتَّعْنَا بِهٖۤ اَزْوَاجًا مِّنْهُمْ

(পারা: ১৪, সূরা: হাজার, আয়াত: ৮৮)       কানযুল ঈমানের অনুবাদ: আপন চক্ষুদ্বয় প্রসারিত করে সেই বস্তুর প্রতি তাকাবেন না, যা আমি তাদের কিছু সংখ্যক যুগলকে উপভোগ করার জন্য প্রদান করেছি।

 

          ওলামায়ে কেরাম বলেন: এ নির্দেশটি মূলত আমরা গোলামে মোস্তফার জন্য। অর্থাৎ মুসলমানদের বলা হয়েছে যে, হে মাহবুবের গোলামরা, তোমাদের মাহবুব صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّمর ওসিলায় তোমাদের কত উত্তম উত্তম নেয়ামত প্রদান করেছেন। তোমাদের ঈমানের মতো দৌলত