Book Name:Shair e Khuda Ka Zuhad

شَآءَ الله এর অধ্যয়ন দক্ষ মুবাল্লিগ হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সহায়ক হবে। আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে আমল করার তৌফিক দান করুন। আমিন!

 

          এ ঘটনায় আমাদের জন্য আরো একটি শিক্ষণীয় বিষয় হলো: মুসলিম জাহানের চতুর্থ খলিফা, আলীউল মুরতাদ্বা, শেরে খোদা رَضِیَ اللهُ عَنْہُ যাঁকে দুনিয়ায়-ই জান্নাতের সুসংবাদ দিয়ে দেয়া হয়েছিল, যাঁর শাহজাদা, ইমাম হাসান ও ইমাম হোসাইন رَضِیَ اللهُ عَنْہُما হচ্ছেন জান্নাতী যুবকদের সরদার। সেই আলীউল মুরতাদ্বা رَضِیَ اللهُ عَنْہُ যাঁর দুয়ার থেকে সমস্ত জগত কৃপা লাভ করে, যিনি বিপদ-আপদ দূরকারী, প্রয়োজন পূরণকারী, প্রত্যেক মুসলমানের মাওলা, সেই মাওলায়ে কায়েনাত, মাওলা আলী মুশকিল কুশা, শেরে খোদা  رَضِیَ اللهُ عَنْہُ কেমন দুনিয়া বিমুখ ছিলেন? তিনি ছিলেন আমাদের পূর্ববর্তী বুযুর্গদের অন্যতম একজন। সুতরাং আমাদের বুযুর্গগণ যেহেতু দুনিয়া ও দুনিয়ার ভালোবাসা অপছন্দ করেছেন, সেহেতু আমাদেরও তাঁদের অনুসারী হিসাবে হৃদয় থেকে দুনিয়ার মোহকে অপসারণ করে দুনিয়া বিমুখ হওয়া উচিত।  

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

হযরত আলী رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা, হযরত মাওলা আলী رَضِیَ اللهُ عَنْہُ মুসলিম জাহানের চতুর্থ খলিফা। তিনি মক্কায় জন্ম গ্রহণ করেন এবং ১০ বছর বয়সে ইসলাম গ্রণহণ করেন। (কারামতে শেরে খোদা, ১২: পৃষ্ঠা) জন্মের পর তাঁর মা তাঁর নাম রাখেন হায়দার, আর পিতা নাম রাখেন আলী। রাসূলে আকরাম নূরে মুজাসসাম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم তাঁকে আসাদুল্লাহ উপাধিতে ভূষিত করেন। আসাদুল্লাহ অর্থ: আল্লাহর সিংহ (মিরাতুল-মানাজিহ, ৮/৪১২)

          মাওলা আলী رَضِیَ اللهُ عَنْہُ ছিলেন প্রাথমিক মুহাজিরীনদের একজন (অর্থাৎ যারা শুরুতে হিজরত করেছিলেন) এবং আশারায়ে মুবাশশরায় (অর্থাৎ সেই ১০ জন সাহাবী, যাদেরকে প্রিয় নবী, মুহাম্মদ মুস্তফা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছিলেন) অন্তর্ভুক্ত। তিনি বদর, উহুদ সহ ইসলামের আরও অসংখ বড় বড় যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। (উসদুল গাবা, ৪ / ৮৮) তাঁর সাহসিকতা ও বীরত্ব সকলের কাছেই প্রসিদ্ধ ও সমাদৃত।  মুসলমানদের তৃতীয় খলিফা হযরত ওসমান গনি رَضِیَ اللهُ عَنْہُ -এর শাহাদাত বরণের পর তিনি খেলাফতের আসনে সমাসীন হন। (তারিখুল-খোলাফা, ১১১ পৃষ্ঠা) তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে তাঁর খেলাফতের গুরু দায়িত্ব পালন করেন এবং তাঁর খেলাফতের সময়কাল ছিল চার বছর ৮ মাস ৯ দিন। ১৭/১৯ই রমযানুল মুবারক ৪০ হিজরিতে একজন খারেজীর প্রাণঘাতী আক্রমণে তিনি গুরুতর আহত হন এবং ২১ই রমযান রবিবার রাতে তিনি শাহাদাতের অমিয় সুধা পান করেন। (মারেফাতুস সাহাবা, ১/১০০) আল্লাহ পাকের রহমত তাঁর প্রতি বর্ষিত হোক এবং তাঁর সদকায় আমাদের বিনা হিসাবে ক্ষমা হোক। اٰمِين بِجا هِ خَاتَمِ النَّبِيّٖن  صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم