Book Name:Shair e Khuda Ka Zuhad

কেন? তিনি বলেন: يَخْشَعُ الْقَلْبُ وَ يَقْتَدِى بِهِ الْمُؤْمِنُ অর্থাৎ এর দ্বারা অন্তরে বিনয় সৃষ্টি হয় এবং লোকেরা মুমিনের আদর্শ অনুসরণ করে। (হিলয়াতুল আউলিয়া, ১/১২৪) سُبْحَانَ الله হায়, হযরত আলীউল মুরতাদ্বা শেরে খোদা رَضِیَ اللهُ عَنْہُ -এর ওসিলায় আমাদেরও যেন তাকওয়া ও পরহেযগারীতার সম্পদ নসীব হয়ে যায়। হায়, আমাদেরও হৃদয় থেকে যেন দুনিয়ার ভালোবাসা বের হয়ে যায়, আমরাও যেন পার্থিব ভোগ বিলাসিতার পরিবর্তে আখেরাতের আরাম ও শান্তির প্রত্যাশী হয়ে যাই।

اٰمِين بِجا هِ خَاتَمِ النَّبِيّٖن  صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم

 

পরহেযগারিতা অবলম্বন করার প্রতি উৎসাহ প্রদান

          হযরত নওফ বিকালী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বর্ণনা করেন: এক রাতে আমীরুল মুমিনীন মাওলা মুশকিল কুশা হযরত আলীউল মুরতাদ্বা رَضِیَ اللهُ عَنْہُ ঘরের বাইরে এসে আকাশের তারকারাজির দিকে তাকান, অতঃপর বলেন: হে নওফ, ঘুমিয়ে আছ নাকি জেগে আছ? আমি বললাম: হে আমীরুল মুমিনীন, জেগে আছি। তিনি বলেন: হে নওফ, দুনিয়ায় পরহেযগারিতা অবলম্বনকারী এবং পরকালের প্রতি আগ্রহীদের জন্য সুসংবাদ। তারাই সেসব লোক যারা (বসবাসের জন্য উঁচু দালান নির্মাণ না করে) শূন্য জমিনকে বেছে নিয়েছে এবং এর মাটিকে বিছানা বানিয়ে নিয়েছে এবং এর পানিকে সুগন্ধ বলে মনে করেছে। পবিত্র কুরআনের তিলাওয়াত ও দোয়াকে তাদের পরিচয় ও নীতিবাক্য বানিয়ে নিয়েছে। হযরত ঈসা রূহুল্লাহ عَلٰی نَبِیِّنَا وَعَلَیْہِ الصَّلٰوۃُ وَالسَّلَام‌ -এর মতো দুনিয়া থেকে তারা নিজেদের বিচ্ছিন্ন করে নিয়েছে। (হিলয়াতুল আউলিয়া, ১/১২০)

 

পরহেযগারিতার উপকারিতা

          আমীরুল মুমিনীন হযরত আলীউল মুরতাদ্বা رَضِیَ اللهُ عَنْہُ বর্ণনা করেন: প্রিয় নবী রাসূলে আরবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: যে পৃথিবীতে পরহেযগারিতা অবলম্বন করে, আল্লাহ পাক তাকে ইলমে লাদুনি দান করেন, কোনো মাধ্যম ছাড়াই তাকে হেদায়েত দান করেন, অন্তর্দৃষ্টির নূর দান করেন এবং গুমরাহী ও পথভ্রষ্টতা থেকে রক্ষা করুন।

(হিলয়াতুল আউলিয়া, ১/১১৩, হাদিস: ২২৫)

 

হে আলী! তখন তুমি ওই সময়ে কী করবে?

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা, আমরা যখন তাকওয়া, পরহেযগারিতা ও দুনিয়া বিমুখতার বয়ান শুনি, তখন শয়তান অন্তরে কুমন্ত্রণা দেয় এই বলে যে, এগুলো বর্তমান সময়ের সাথে যায় না, পৃথিবী বদলে গেছে, সমাজকে সঙ্গে নিয়ে চলতে হবে ইত্যাদি। আসুন, এই কুমন্ত্রণা দূর করার জন্য একটি পবিত্র হাদিস শ্রবণ করি। মুসলমানদের চতুর্থ খলিফা, মাওলা আলী মুশকিল কুশা, শেরে খোদা رَضِیَ اللهُ عَنْہُ বলেন: একদিন আল্লাহ পাকের শেষ নবী রাসূলে আরবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم আমাকে বললেন: হে আলী, মানুষ যখন পরকালের প্রতি অনাসক্ত হয়ে পড়বে, দুনিয়াকে ভালবাসবে, উত্তরাধিকারের সম্পদ আত্মসাৎ করবে, ধন-সম্পদকে সর্বাধিক প্রাধান্য দিবে, ধর্মকে বিকৃত করবে এবং ক্ষমতার প্রতি ঝুঁকে পড়বে, তখন তুমি কী করবে? জবাবে