Book Name:Shair e Khuda Ka Zuhad

দান করা হয়েছে, ইসলামের সুমহান ছায়াতলে তোমাদের আশ্রয় দেয়া হয়েছে। মহিমান্বিত কুরআন প্রদান করা হয়েছে। সর্বপোরি তোমাদের এক করুণাময়ী নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم-এর দয়ালু আঁচলের নিচে স্থান দেয়া হেয়েছে। অতঃপর প্রিয় নবী রাসূলে আরবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم -এর ওসিলায় اِنْ شَآءَ الله তোমাদের জান্নাতের চিরস্থায়ী নেয়ামত দান করা হবে। আর এসব কিছু থেকে অমুসলিমরা বঞ্চিত। অতএব অমুসলিমরা যে পার্থিব ও নশ্বর সম্পদ পেয়েছে তার দিকে তাকিও না। সেগুলোর প্রতি কখনও লোভনীয় দৃষ্টিতে তাকিও না।

 

 

দুনিয়া নশ্বর, পরকাল অবিনশ্বর

          হে আশিকানে রাসূল, সত্য তো এটাই যে পৃথিবী নশ্বর এক সৃষ্টি, শীঘ্রই ধ্বংস হয়ে যাবে। এখানে যতই ভোগ বিলাসিতা করুন, যতই সম্পদ সঞ্চয় করুন, ধ্বংসের ঘাঁটিতে নামতেই হবে, শূন্য হাতেই পৃথিবী ত্যাগ করতে হবে। আমাদের এই অকাট্য সত্য জানার পরও পৃথিবীর ঐশ্বর্য আর নশ্বর নেয়ামতের মোহে ডুবে আছি। এগুলোর ভালবাসা উন্মাদ হয়ে আছি। হায় আফসোস! আমরা যেন দুনিয়ার পরিবর্তে পরকালের প্রত্যাশী হয়ে যাই।

          আল্লাহ পাক বলেন:

قُلْ اَؤُنَبِّئُکُمْ بِخَیْرٍ مِّنْ ذٰلِکُمْ ؕ لِلَّذِیْنَ اتَّقَوْا عِنْدَ رَبِّهِمْ جَنّٰتٌ تَجْرِیْ مِنْ تَحْتِهَا الْاَنْهٰرُ خٰلِدِیْنَ فِیْهَا

(পারা: ৩, সূরা: আলে ইমরান, আয়াত: ১৫)   কানযুল ঈমানের অনুবাদ: (হে হাবীব!) আপনি বলুন, আমি কি তোমাদেরকে এগুলো অপেক্ষা উৎকৃষ্টতর বস্তুর কথা বলে দেবো? খোদাভীরুদের জন্য তাদের প্রতিপালকের নিকট জান্নাতসমূহ রয়েছে, যেগুলোর পাদদেশে নহরসমূহ প্রবাহিত; (তারা) সেগুলোর মধ্যে স্থায়ীভাবে থাকবে।

 

          অর্থাৎ হে মাহবুব صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم! আপনি লোকদের বলে দিন! আমি কি তোমাদের দুনিয়ার ধন-সম্পদ, স্বর্ণ-রৌপ্য, ব্যবসা-বাণিজ্য, বাগান, উত্তম বাহন ও সর্বোত্তম ঘরের চেয়েও উত্তম ঘর ও ভালো বস্তু সম্পর্কে অবগত করাব? তাহলে শোন, সেটি হলো আল্লাহর নৈকট্যের ঘর জান্নাত। যেখানে দুধ, মধু ও পবিত্র শরাবের নদী প্রবাহমান। এই জান্নাত পরহেযগারদের জন্য এবং তারা এতে চিরকাল থাকবে।

(তাফসিরে সিরাতুল-জিনান, পারা: ৩, সূরা: আলে ইমরান, ১৫ নং আয়াতের পাদটীকা, ১/৪৪৬)

 

পরকালের প্রত্যাশী হয়ে যাও...!!

          মুসলিম উম্মার চতুর্থ খলিফা, শেরে খোদা হযরত আলীউল মুরতাদ্বা رَضِیَ اللهُ عَنْہُ বলেন: শোন, নিশ্চয়ই দুনিয়া মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে এবং পরকাল এগিয়ে আসছে। মানুষ উভয়েরই প্রত্যাশা করে। তোমরা দুনিয়ার প্রত্যাশী হয়ো না! পরকালের  প্রত্যাশী হও! নিশ্চয়ই, আজই হচ্ছে আমলের জন্য, আজ হিসাব নয়। আগামীকাল হবে হিসাব-নিকাশের, আমলের সুযোগ নেই।

(ফাযায়িলুস সাহাবা, লিআহমদ ইবনে হাম্বল, অধ্যায়: ১৫৩০ পৃষ্ঠা, হাদীস: ৮৮১)

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد