Book Name:Ameer e Ahl e Sunnat Ka Ishq e Rasool

ইশকের উপর কুরবান...!! তিনি পরিবারের  সকলকে বলে দিয়েছেন যে কেউ যেনো আমার ছোট মণিকে কিছু আহার না করায়, তাকে রাসূলে করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم খাওয়াবেন, সুতরাং সকাল পর্যন্ত ছোট বাচ্চাটিকে কিছু খাওয়ানো হয়নি যখন সকাল হলো, তখন সেই নবজাতককে রাসূলে করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর দরবারে পেশ করা হলো। (বুখারি, কিতাবুল লেবাস, বাবুল খমিসাদুস সাওদায়ি, ১৪৬৭ পৃ:, হাদিস: ৫৮২৪) নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم তাকে খেজুর খাওয়ালেন এবং তার নাম রাখলেন আব্দুল্লাহ।

(মুসলিম, কিতাবু ফাযায়িলিস সাহাবা, ফাযায়িলু আবি তালহাতিল আনসারী, ৯৫৭ পৃ:, হাদিস: ২১৪৪)

 

          এরকম আরও অনেক ঘটনা রয়েছে, সাহাবায়ে কেরামদের رَضِیَ اللهُ عَنْہُمْ সেই খুশিটি খুশি মনে হতো, যেই খুশির মধ্যে মাহবুবে খোদা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم অংশিদার হতেন। একইভাবে পেরেশান অবস্থায় সাহাবায়ে কেরাম عَلَیْہِمُ الرِّضْوَان এর ধরন ছিলো যে প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর পবিত্র আঁচলে আশ্রয় নিতেন, পেরেশানের সময় তাঁদের প্রথম মনযোগ অসহায়দের সহায় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর দিকেই যেতো। * খুবই প্রসিদ্ধ ঘটনা; একবার হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর رَضِیَ اللهُ عَنْہُمَا এর পা অবস হয়ে গেলো, কেউ বললেন: এখন আপনি আপনার সবচেয়ে প্রিয় ব্যক্তিকে স্মরণ করুন! তিনি দ্রুত প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم কে ডাকলেন, সেটার বরকতে তাঁর পা (মুবারক) ঠিক হয়ে গেলো।

(কিতাবুশ শিফা বি তারিফ হুকুকিল মুস্তফা, অংশ: ২, বাবুস সানী, ২১ পৃ:)

          একইভাবে আরও অনেক রেওয়ায়েত রয়েছে যে, সাহাবায়ে কেরামগণ عَلَیْہِمُ الرِّضْوَان যুদ্ধের ময়দানে থাকতেন, শাহাদাতের সময় নিকটবর্তী হতো, শেষ নিশ্বাস বাকী থাকতো আর তাঁরা প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم কে ডাকতেন। হযরত ইমাম যয়নুল আবেদীন رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর সেই মুবারক কসিদাও দেখুন! যেটা তিনি কারবালার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বলেছিলেন, কারবালায় কিয়ামতের মতো মর্মান্তিক ঘটনা সংগঠিত হয়েছে, হযরত ইমাম যয়নুল আবেদীন رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর হৃদয় দুঃখ ভারাত্রুান্ত ছিলো, এই অবস্থায় তিনি তাঁর নানাজান নবীয়ে করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর দরবারে আরয করলেন:

اِنْ  نِّلْتِ یَا رِیْحَ الصَّبَا یَوْمًا اِلٰی اَرْضِ الْحَرَم                                   بَلِّغْ   سَلَامِیْ  رَوْضَۃً   فِیْھَا  النَّبِیُّ  الْمُحْتَشَم

یَا رَحْمَۃَ لِّلْعَالَمِیْن! اَدْرِکْ لِزَیْنِ الْعَابِدِین                                                                                     مَحْبُوسُ اَیْدِی الظَّالِمِیْن فِیْ مَرْکَبٍ وَّ الْمُزْدَحِمٖ

          সারাংশ: হে প্রভাত! যখন তুমি হেরেম শরীফের পাশ দিয়ে অতিত্রুম করবে তখন প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর দরবারে আমার সালাম পৌঁছিয়ে দিও। হে রাহমাতুল্লিল আলামীন صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم! যয়নুল আবেদীনকে রক্ষা করো! সে যালিমদের নিকট বন্দী রয়েছে।

          মোটকথা: খুশির সময় হয় তো সাহাবায়ে কেরাম عَلَیْہِمُ الرِّضْوَان এর মনযোগ প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর দিকে থাকতো আর যখন পেরেশানের অবস্থা হতো তখনোও তাঁরা পেরেশানগ্রস্তদের সহায় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم দয়ার আঁচলেই আশ্রয় খুঁজে নিতেন।